চিরকুটকে এখন নতুনভাবে চিনিয়ে দিতে হয় না। শারমিন সুলতানা সুমীর হাতে গড়া এ ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা পৌঁছে গেছে দেশের প্রতি কোনায়। ‘জাদুর শহর’, ‘মরে যাব’, ‘কানামাছি’, ‘খাজনা’সহ চিরকুটের অসংখ্য গান মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ব্যান্ডটির প্রতিটি কনসার্টে উপচে পড়ে দর্শকের ভিড়। শুধু তো একক গান নয়, সিনেমার গানেও বেশ জনপ্রিয় চিরকুট। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ডটি পথচলার দুই দশক পূর্ণ করল এ বছর।

এ উপলক্ষে আগামী বছর ৬ জানুয়ারি ‘লাইভ. বিলিভ. ২০’ নামে একটি কনসার্টের আয়োজন করা হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় হবে কনসার্টটি। এশিয়াটিক ইএক্সপির আয়োজনে ওই কনসার্টে চিরকুটের সঙ্গে চমক হিসেবে থাকবে আরও কয়েকটি দল। সম্প্রতি এ বিষয়ে এশিয়াটিক ইএক্সপির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে চিরকুট।

সুমী বলেন, ‘হিসাবমতো এ বছরই আমাদের কনসার্টটি করার কথা ছিল। কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বকাপ ও ফুটবল বিশ্বকাপ থাকার কারণে আমরা কনসার্টটি পিছিয়েছি। যেহেতু আমরা দুই দশক পার করলাম, তাই একটু জমকালোভাবেই উদ্‌যাপন করতে চাই।’

দুই দশক পূর্তির বছরে দেশের সীমানা পেরিয়ে চিরকুট পৌঁছে গেছে ভিনদেশিদের কাছেও। এ বছর নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে প্রথমবার বাংলাদেশের ব্যান্ড হিসেবে পারফর্ম করেছে দলটি। ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’-এ তারা পারফর্ম করেছে বিশ্ববিখ্যাত ব্যান্ড ‘স্করপিয়ন্স’-এর সঙ্গে। এ বছর নদীরক্স নামে আরেকটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে চিরকুট। দেশের নদী বাঁচাতে, পরিবেশ বাঁচাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য বেশ কয়েকটি নদী নিয়ে গান করেছে। করেছে বিশেষ কনসার্টও।