সম্পাদকীয়
পেছনে শক্তিশালী কেউ থাকলে হয়তো কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অপরাধ করেও ছাড় পেয়ে যেতে পারেন। আমাদের দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ছোট-বড় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অপরাধ করার অভিযোগ উঠে থাকে। কিন্তু তাঁদের সাধারণত শাস্তির আওতায় আনা হয় না। কেন এ কথা বলা হচ্ছে? কারণ ১৬ জুলাইয়ের আজকের পত্রিকায় ‘অপরাধ প্রমাণিত হলেও অধরা প্রকৌশলীরা’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের একাধিক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। যেমন একজন প্রকৌশলী বিনা বেতনে দীর্ঘদিন ধরে ছুটি কাটিয়েছেন। লিয়েনে এডিবিসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থায় কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি বেতন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আরেকজন প্রকৌশলী তিন বছরের বেশি সময় কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না বলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একপর্যায়ে তিনি দেশে ফিরে মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তার সাহায্যে নথি পরিবর্তন করে চাকরিতে যোগ দেন। নির্বাহী প্রকৌশলী হওয়ার পরেও ক্যাডার পরিবর্তন করে বর্তমানে তিনি যুগ্ম সচিব হয়েছেন।
একইভাবে আরেকজন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হলো, তিনি এক প্রতিষ্ঠানকে কাজ ছাড়াই বিল বাবদ সাড়ে ১০ কোটি টাকা বেশি দিয়েছিলেন। আরেকজনের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জের একটি প্রকল্পের দায়িত্বে থাকাকালে ক্রয় বিধিমালা না মেনে সীমানাপ্রাচীর, ভবনের ছাদসহ বেশ কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই ঠিকাদারকে বিল দেওয়ার অভিযোগ আছে।
অনিয়ম করে বিদেশে অবস্থান এবং সরকারি টাকা এভাবে নষ্ট করার অধিকার কারও নেই। অথচ এ রকম অপরাধ করে ছাড় পাওয়ার নজির দেখা যাচ্ছে। যেকোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অপরাধ করার পর বিভাগীয় আইনে শাস্তি পাওয়ার কথা ছিল অভিযুক্ত ব্যক্তিদের। যখন কোনো প্রতিষ্ঠানে কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, তখন ঢাকঢোল পিটিয়ে তদন্ত শুরু হয়, পরে তেলে-জলে কীভাবে যেন মিশে যায়। ফলে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া কর্মকর্তাদের আর শাস্তির সম্মুখীন হতে হয় না। এসব ঘটনায় শাস্তি না পাওয়ার কারণ হলো ‘ছাড় দেওয়ার প্রবণতা’।
যাঁদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন করার, তাঁদের কাউকে কাউকে সারাক্ষণ সচেষ্ট থাকতে দেখা যায় নিজ নিজ আখের গোছাতে। বলার অপেক্ষা রাখে না, নৈতিক অবক্ষয় সীমা ছাড়িয়ে যাওয়াতেই এমনটা হচ্ছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুতি কিংবা নগদ অর্থদণ্ড হওয়ার কথা। দেখা যায় তাঁদের কোনো শাস্তি হওয়া তো দূরের কথা, উল্টো চাকরিতে পদোন্নতি হচ্ছে। কীভাবে এটা সম্ভব? তবে কি শর্ষের মধ্যেই ভূত আছে? অপরাধ করে কেউ যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেতেন, তাহলে নতুন করে কেউ হয়তো অপরাধ করার সাহস পেতেন না। ছাড় দেওয়ার মনোভাব নাকি অন্য কোনো কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পার পেয়ে যাচ্ছেন? প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য যে নিয়মবিধি আছে, সেসবে কোনো ধরনের ত্রুটি বা ফাঁকফোকর আছে কি না, সেগুলো খতিয়ে দেখা দরকার।
দেশে আইন ও বিচারব্যবস্থা এখনো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়নি। তাই অপরাধীদের আইনি প্রক্রিয়ায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না।
পেছনে শক্তিশালী কেউ থাকলে হয়তো কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অপরাধ করেও ছাড় পেয়ে যেতে পারেন। আমাদের দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ছোট-বড় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অপরাধ করার অভিযোগ উঠে থাকে। কিন্তু তাঁদের সাধারণত শাস্তির আওতায় আনা হয় না। কেন এ কথা বলা হচ্ছে? কারণ ১৬ জুলাইয়ের আজকের পত্রিকায় ‘অপরাধ প্রমাণিত হলেও অধরা প্রকৌশলীরা’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটি।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের একাধিক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। যেমন একজন প্রকৌশলী বিনা বেতনে দীর্ঘদিন ধরে ছুটি কাটিয়েছেন। লিয়েনে এডিবিসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থায় কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি বেতন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আরেকজন প্রকৌশলী তিন বছরের বেশি সময় কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না বলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একপর্যায়ে তিনি দেশে ফিরে মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তার সাহায্যে নথি পরিবর্তন করে চাকরিতে যোগ দেন। নির্বাহী প্রকৌশলী হওয়ার পরেও ক্যাডার পরিবর্তন করে বর্তমানে তিনি যুগ্ম সচিব হয়েছেন।
একইভাবে আরেকজন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হলো, তিনি এক প্রতিষ্ঠানকে কাজ ছাড়াই বিল বাবদ সাড়ে ১০ কোটি টাকা বেশি দিয়েছিলেন। আরেকজনের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জের একটি প্রকল্পের দায়িত্বে থাকাকালে ক্রয় বিধিমালা না মেনে সীমানাপ্রাচীর, ভবনের ছাদসহ বেশ কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই ঠিকাদারকে বিল দেওয়ার অভিযোগ আছে।
অনিয়ম করে বিদেশে অবস্থান এবং সরকারি টাকা এভাবে নষ্ট করার অধিকার কারও নেই। অথচ এ রকম অপরাধ করে ছাড় পাওয়ার নজির দেখা যাচ্ছে। যেকোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অপরাধ করার পর বিভাগীয় আইনে শাস্তি পাওয়ার কথা ছিল অভিযুক্ত ব্যক্তিদের। যখন কোনো প্রতিষ্ঠানে কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, তখন ঢাকঢোল পিটিয়ে তদন্ত শুরু হয়, পরে তেলে-জলে কীভাবে যেন মিশে যায়। ফলে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া কর্মকর্তাদের আর শাস্তির সম্মুখীন হতে হয় না। এসব ঘটনায় শাস্তি না পাওয়ার কারণ হলো ‘ছাড় দেওয়ার প্রবণতা’।
যাঁদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন করার, তাঁদের কাউকে কাউকে সারাক্ষণ সচেষ্ট থাকতে দেখা যায় নিজ নিজ আখের গোছাতে। বলার অপেক্ষা রাখে না, নৈতিক অবক্ষয় সীমা ছাড়িয়ে যাওয়াতেই এমনটা হচ্ছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুতি কিংবা নগদ অর্থদণ্ড হওয়ার কথা। দেখা যায় তাঁদের কোনো শাস্তি হওয়া তো দূরের কথা, উল্টো চাকরিতে পদোন্নতি হচ্ছে। কীভাবে এটা সম্ভব? তবে কি শর্ষের মধ্যেই ভূত আছে? অপরাধ করে কেউ যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেতেন, তাহলে নতুন করে কেউ হয়তো অপরাধ করার সাহস পেতেন না। ছাড় দেওয়ার মনোভাব নাকি অন্য কোনো কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পার পেয়ে যাচ্ছেন? প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য যে নিয়মবিধি আছে, সেসবে কোনো ধরনের ত্রুটি বা ফাঁকফোকর আছে কি না, সেগুলো খতিয়ে দেখা দরকার।
দেশে আইন ও বিচারব্যবস্থা এখনো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়নি। তাই অপরাধীদের আইনি প্রক্রিয়ায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে