শিমুল চৌধুরী, ভোলা
ইউপি নির্বাচন ঘিরে ভোলা ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় তৃণমূল আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। দুই উপজেলার ১৯টি ইউপির মধ্যে অধিকাংশ ইউপিতেই বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা পুরোদমে ভোটের মাঠে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দলের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে বিপুল উদ্যমে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের জোরালো সমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের ভোটযুদ্ধে ঘাম ঝড়াতে হচ্ছে। এতে দলের মনোনীত প্রার্থীরা অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে বেকায়দায় আছেন আওয়ামী লীগের নেতারাও। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় প্রায় দেড় ডজন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী একযোগে বিদ্রোহ করে দলীয় পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েছেন আওয়ামী লীগ। বিদ্রোহের আগুনে পুড়ছে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। এদিকে, বিএনপি প্রকাশ্যে এই নির্বাচনে অংশ না নিলেও গোপনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছে বলে জানা গেছে। এতে নৌকার প্রার্থীরা চাপে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৭টি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ১০ জন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারেরা বলেছেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এবার ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ৭ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে একরকম দুশ্চিন্তায় রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা দলের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য একাধিকবার নির্দেশ দিলেও বিদ্রোহী প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী, গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৯ জন বিদ্রোহী নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ভোটের কোন্দলে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় পদ ত্যাগ করছেন। এর মধ্যে ৫ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ৬ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ইতিমধ্যে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এতে নৌকার প্রার্থীরা বিদ্রোহের আগুনে জ্বলছে। নির্বাচন অফিস সূত্র, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের এই চিত্র পাওয়া গেছে।
ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘দলীয় পদে থেকে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করা মানে দলীয় নীতিমালা ভঙ্গ করা। যদি কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান, তখন মনোনয়নপত্র দাখিলের পূর্বে দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের পরে কোনো দলীয় কর্মীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার নিয়ম নেই। যাঁরা এখন পর্যন্ত এই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘শনিবার দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে এক সভা হয়েছে। ওই সভায় ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৩ জন ও ধনিয়া ইউনিয়নের ১ জন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ভোট থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন। যাঁরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন না তাদের আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা। আগামী ৫ জানুয়ারি এই উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ভোট হবে।’
ইউপি নির্বাচন ঘিরে ভোলা ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় তৃণমূল আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। দুই উপজেলার ১৯টি ইউপির মধ্যে অধিকাংশ ইউপিতেই বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা পুরোদমে ভোটের মাঠে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দলের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে বিপুল উদ্যমে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের জোরালো সমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের ভোটযুদ্ধে ঘাম ঝড়াতে হচ্ছে। এতে দলের মনোনীত প্রার্থীরা অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে বেকায়দায় আছেন আওয়ামী লীগের নেতারাও। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় প্রায় দেড় ডজন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী একযোগে বিদ্রোহ করে দলীয় পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েছেন আওয়ামী লীগ। বিদ্রোহের আগুনে পুড়ছে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। এদিকে, বিএনপি প্রকাশ্যে এই নির্বাচনে অংশ না নিলেও গোপনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছে বলে জানা গেছে। এতে নৌকার প্রার্থীরা চাপে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৭টি ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ১০ জন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারেরা বলেছেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এবার ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ৭ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে একরকম দুশ্চিন্তায় রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা দলের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য একাধিকবার নির্দেশ দিলেও বিদ্রোহী প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী, গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৯ জন বিদ্রোহী নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ভোটের কোন্দলে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় পদ ত্যাগ করছেন। এর মধ্যে ৫ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ৬ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ইতিমধ্যে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এতে নৌকার প্রার্থীরা বিদ্রোহের আগুনে জ্বলছে। নির্বাচন অফিস সূত্র, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের এই চিত্র পাওয়া গেছে।
ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘দলীয় পদে থেকে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করা মানে দলীয় নীতিমালা ভঙ্গ করা। যদি কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান, তখন মনোনয়নপত্র দাখিলের পূর্বে দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের পরে কোনো দলীয় কর্মীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার নিয়ম নেই। যাঁরা এখন পর্যন্ত এই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘শনিবার দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে এক সভা হয়েছে। ওই সভায় ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৩ জন ও ধনিয়া ইউনিয়নের ১ জন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ভোট থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন। যাঁরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন না তাদের আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা। আগামী ৫ জানুয়ারি এই উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ভোট হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে