বৃষ্টি হলেই বাড়ে দুর্ভোগ

মো. মাসুম, টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ)
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২২, ০৬: ৩৬
আপডেট : ১৯ জুন ২০২২, ১১: ০৭

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের কলমা সড়কে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে নাকাল হয় এলাকাবাসী। যানবাহন ও পথচারীদের পোহাতে হয় ভোগান্তি। প্রতিনিয়ত এমন দুর্ভোগে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, বালিগাঁও থেকে কলমা যাওয়ার প্রধান সড়ক এটি। এই পথে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। সামান্য বৃষ্টির হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চায় তারা।

গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, হালকা বৃষ্টিতে সড়ক পানিতে ডুবে আছে। সড়কের কোথায় গর্ত রয়েছে, তা অনুমান করতে পারছেন না যানবাহনের চালকেরা। এতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে। এ ছাড়া সড়কের পাশে চলমান নালার কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ময়লা-আবর্জনাময় পানি বৃষ্টির সঙ্গে মিশে আরও ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। 
স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে। রাস্তার পাশে নালা করা হলেও তা পরিপূর্ণ না করে বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে সহজে পানি সরতে পারছে না। বৃষ্টির পানির সঙ্গে নালার পচা দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি মিশে একাকার হয়ে যায়। এই ময়লাপানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।’

এ পথে চলাচলকারী বালিগাঁও ক্লিনিকের আবাসিক চিকিৎসক মো. মোহাইমিনুল ইসলাম তপু বলেন, ‘এই নোংরা পানিতে এডিস মশা বংশবিস্তার করে এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিতে পারে। এসব ময়লাপানি ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।’ স্থানীয়দের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘এই পানি মাড়িয়ে বাড়িতে এসে পরিষ্কার পানি দিয়ে পা ধুয়ে নিতে হবে এবং জুতা শুকিয়ে নিতে হবে। ডায়াবেটিক ফুট রোগ থেকে বাঁচার জন্য ডায়াবেটিসের রোগীদের এ সময় পায়ের যত্ন নিতে হবে।’ 
অটোচালক সোলায়মান বলেন, ‘এই সড়কে রয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ।

বৃষ্টির পানিতে রাস্তাটি তলিয়ে গেলে খানাখন্দ অনুমান করা মুশকিল হয়। অনেক সময় গাড়ি পড়ে গিয়ে যাত্রীসহ ময়লাপানিতে পড়তে হয়। ফলে গাড়ির যন্ত্রাংশ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। কাজ বন্ধ করে গাড়ি মেরামত করতে পড়ে থাকতে হয় গ্যারাজে। আবার গাড়ি ঠিক করতে লাগে টাকা। এই অবস্থায় আমাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। সড়ক সংস্কার ও নালার কাজটি সম্পন্ন করলে আমাদের গাড়ি চালাতে সুবিধা হবে। এতে গাড়ির যন্ত্রাংশ সহজে নষ্ট হবে না।’ এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সড়কটি উন্নয়নের ব্যবস্থা করা হবে। নালার কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত