সানজিদা সামরিন, ঢাকা
আর কদিন পরেই মাঘ মাস। ‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁদে’ বলে প্রবাদ আছে আমাদের দেশে। তীব্র শীত যে মাঘেই পড়ে—এ প্রবাদ সে কথাই জানিয়ে দেয়।
শীত ঠেকাতে কত আয়োজন আমাদের। শীতের পোশাকের সঙ্গে হাতমোজা, পা-মোজা, পা-ঢাকা জুতা, মাফলার কত কিছুই-না আমরা ব্যবহার করি। থাকে বিভিন্ন ঢঙের কানকো অর্থাৎ কান ঢাকার অনুষঙ্গ। পাশাপাশি বাড়তি সুরক্ষা পেতে মাথায় থাকে টুপি। ধুলোবালি থেকে চুল রক্ষা করতে পুরো বছরই বিভিন্ন ধরনের টুপির ব্যবহার দেখা গেলেও এর ভিন্ন ধারার ট্রেন্ড দেখা যায় শীতে। ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা পেতে এ সময় টুপির উপকরণে আসে পরিবর্তন। রং হয় আরও উজ্জ্বল।
তবে শীতের টুপি হওয়া চাই আরামদায়ক, পোশাকের রঙের সঙ্গে মানানসই ও ট্রেন্ডি। একটা সময় আমাদের দেশের মেয়েরা শীত ঠেকাতে ওড়না কিংবা শাড়ির আঁচলই ব্যবহার করতেন। কিন্তু এখন শীতের ফ্যাশনেবল অনুষঙ্গ হিসেবে নারীরাও ব্যবহার করছেন বাহারি টুপি। পোশাকের সঙ্গে টুপির ধরনের মেলবন্ধন থাকলে তবেই পাওয়া যাবে পারফেক্ট উইন্টার লুক!
বাকেট হ্যাট
নব্বই দশকে ওয়েস্টার্ন গেটআপে দারুণ সঙ্গ পেয়েছিল এই বাকেট হ্যাট। পপ তারকাদের ছবিগুলো ঘাঁটলেই চোখে পড়বে নানা ধরনের বাকেট হ্যাটের চিত্র। এ জমানার ট্রেন্ডি ফ্যাশন মেনে চলা নারী-পুরুষের শীত-সংগ্রহে বাকেট হ্যাট থাকবেই—এ কথা নিশ্চিত। শীতে উষ্ণতা ও স্টাইলিশ লুক দিতে এই হ্যাটগুলো দুর্দান্ত। বাকেট হ্যাট ফার, লেদার বা সোয়েডের হয়ে থাকে। সুতি কাপড়েরও পাওয়া যায়। একরঙা ও প্রিন্ট দুই রকমেরই বাকেট হ্যাট পাওয়া যায়। শীতে ডেনিম বা লেদার জ্যাকেটের সঙ্গে খুব ভালো মানিয়ে যায় এই হ্যাট।
বিনি টুপি
শীতে উষ্ণতা পেতে বেশি যে টুপি ব্যবহৃত হয়, তা হলো বিনি টুপি। সহজলভ্য ও বিভিন্ন রঙের এই টুপিগুলো পশ্চিমা ঘরানার পোশাক ছাড়াও সালোয়ার-কামিজ, কুর্তির সঙ্গে পরা যায়। নারী-পুরুষ উভয়ের পরার উপযোগী এই বিনি টুপি।
পম পম বিনি টুপি
একটু এক্সক্লুসিভ ঘরানার এই বিনি টুপির একেবারেই ওপরে শোভা পায় পম পম। পেনসিল স্কার্ট, ডিসট্রেসড ডেনিম বা জগিং স্যুটের সঙ্গে খুব ভালো মানায় এই টুপিগুলো। পাশাপাশি শীতের রাতে বাড়ি ফেরার সময়ও উষ্ণতা জোগাবে এই পম পম বিনি টুপি।
বেসবল ক্যাপ
হিপহপ ট্রেন্ডি লুকের জন্য লেদার, ডেনিম ও সোয়েড বেসবল ক্যাপ তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা লুফে নিচ্ছে। শীত-পোশাকের সঙ্গেও জুতসই এই ক্যাপ। ডেনিম জ্যাকেট ও প্যান্টের সঙ্গে রং মিলিয়ে ডেনিমের বেসবল ক্যাপ পরা যেতে পারে। এসব টুপি ছাড়াও এখন শপিং মলগুলোয় শীতে পরার উপযোগী নানা ধরনের উলের হালকা ও মোটা টুপি পাওয়া যায়। বেশি শীতে পরার জন্য মুখ, কান ও মাথা ঢাকার টুপিও পাওয়া যায়। এ ধরনের টুপিগুলো মাংকি ক্যাপ নামে পরিচিত।
কেনাকাটার টুকিটাকি
কেনার সময় এমন টুপি বাছাই করুন, যা আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানিয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে রঙের ব্যাপারটাও বিবেচনায় রাখতে পারেন। এ ধরনের টুপি যেহেতু একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে পরা হয়, তাই এমন কয়েকটি রঙের টুপি কিনুন, যা মোটামুটি সব রঙের ও ধরনের পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যাবে। সাদা, কালো, খয়েরি, আকাশি, ধূসর ইত্যাদি রঙের টুপি মানিয়ে যাবে যেকোনো পোশাকের সঙ্গে। টুপি কেনার সময় যদি ট্রায়াল দিয়ে কেনা যায় তাহলে ভালো। বেশি টাইট বা ঢিলেঢালা হলে দেখতে ভালো লাগে না। বেশি টাইট হলে টুপিতে লাগানো ইলাস্টিক আঁটসাঁট হয়ে অস্বস্তির কারণ হতে পারে। ঘরে পরার জন্য উলের হালকা টুপি কিনুন। এগুলো পরতে আরাম এবং ধোয়াও সহজ। উলের মতো কাপড়ে অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে। টুপি কেনার সময় আপনার অ্যালার্জির বিষয়টিও বিবেচনায় রাখুন।
কোথায় পাবেন
রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নুরজাহান মার্কেট, বঙ্গবাজার, গুলিস্তান, মৌচাক, সুবাস্তু নজর ভ্যালি, বসুন্ধরা সিটিসহ প্রায় সব শপিং মলেই পাওয়া যাবে শীতের বাহারি টুপি। এ ছাড়া ঢাকার বাইরের শহরগুলোর প্রায় প্রতিটি পোশাকের দোকানে ও বিভিন্ন ফেসবুক পেজকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানেও পাওয়া যাবে পছন্দের টুপি। এগুলোর দামও হাতের নাগালে। টুপির ধরন ও কাপড়ের উপকরণ অনুযায়ী ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যাবে এই টুপিগুলো।
আর কদিন পরেই মাঘ মাস। ‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁদে’ বলে প্রবাদ আছে আমাদের দেশে। তীব্র শীত যে মাঘেই পড়ে—এ প্রবাদ সে কথাই জানিয়ে দেয়।
শীত ঠেকাতে কত আয়োজন আমাদের। শীতের পোশাকের সঙ্গে হাতমোজা, পা-মোজা, পা-ঢাকা জুতা, মাফলার কত কিছুই-না আমরা ব্যবহার করি। থাকে বিভিন্ন ঢঙের কানকো অর্থাৎ কান ঢাকার অনুষঙ্গ। পাশাপাশি বাড়তি সুরক্ষা পেতে মাথায় থাকে টুপি। ধুলোবালি থেকে চুল রক্ষা করতে পুরো বছরই বিভিন্ন ধরনের টুপির ব্যবহার দেখা গেলেও এর ভিন্ন ধারার ট্রেন্ড দেখা যায় শীতে। ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা পেতে এ সময় টুপির উপকরণে আসে পরিবর্তন। রং হয় আরও উজ্জ্বল।
তবে শীতের টুপি হওয়া চাই আরামদায়ক, পোশাকের রঙের সঙ্গে মানানসই ও ট্রেন্ডি। একটা সময় আমাদের দেশের মেয়েরা শীত ঠেকাতে ওড়না কিংবা শাড়ির আঁচলই ব্যবহার করতেন। কিন্তু এখন শীতের ফ্যাশনেবল অনুষঙ্গ হিসেবে নারীরাও ব্যবহার করছেন বাহারি টুপি। পোশাকের সঙ্গে টুপির ধরনের মেলবন্ধন থাকলে তবেই পাওয়া যাবে পারফেক্ট উইন্টার লুক!
বাকেট হ্যাট
নব্বই দশকে ওয়েস্টার্ন গেটআপে দারুণ সঙ্গ পেয়েছিল এই বাকেট হ্যাট। পপ তারকাদের ছবিগুলো ঘাঁটলেই চোখে পড়বে নানা ধরনের বাকেট হ্যাটের চিত্র। এ জমানার ট্রেন্ডি ফ্যাশন মেনে চলা নারী-পুরুষের শীত-সংগ্রহে বাকেট হ্যাট থাকবেই—এ কথা নিশ্চিত। শীতে উষ্ণতা ও স্টাইলিশ লুক দিতে এই হ্যাটগুলো দুর্দান্ত। বাকেট হ্যাট ফার, লেদার বা সোয়েডের হয়ে থাকে। সুতি কাপড়েরও পাওয়া যায়। একরঙা ও প্রিন্ট দুই রকমেরই বাকেট হ্যাট পাওয়া যায়। শীতে ডেনিম বা লেদার জ্যাকেটের সঙ্গে খুব ভালো মানিয়ে যায় এই হ্যাট।
বিনি টুপি
শীতে উষ্ণতা পেতে বেশি যে টুপি ব্যবহৃত হয়, তা হলো বিনি টুপি। সহজলভ্য ও বিভিন্ন রঙের এই টুপিগুলো পশ্চিমা ঘরানার পোশাক ছাড়াও সালোয়ার-কামিজ, কুর্তির সঙ্গে পরা যায়। নারী-পুরুষ উভয়ের পরার উপযোগী এই বিনি টুপি।
পম পম বিনি টুপি
একটু এক্সক্লুসিভ ঘরানার এই বিনি টুপির একেবারেই ওপরে শোভা পায় পম পম। পেনসিল স্কার্ট, ডিসট্রেসড ডেনিম বা জগিং স্যুটের সঙ্গে খুব ভালো মানায় এই টুপিগুলো। পাশাপাশি শীতের রাতে বাড়ি ফেরার সময়ও উষ্ণতা জোগাবে এই পম পম বিনি টুপি।
বেসবল ক্যাপ
হিপহপ ট্রেন্ডি লুকের জন্য লেদার, ডেনিম ও সোয়েড বেসবল ক্যাপ তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা লুফে নিচ্ছে। শীত-পোশাকের সঙ্গেও জুতসই এই ক্যাপ। ডেনিম জ্যাকেট ও প্যান্টের সঙ্গে রং মিলিয়ে ডেনিমের বেসবল ক্যাপ পরা যেতে পারে। এসব টুপি ছাড়াও এখন শপিং মলগুলোয় শীতে পরার উপযোগী নানা ধরনের উলের হালকা ও মোটা টুপি পাওয়া যায়। বেশি শীতে পরার জন্য মুখ, কান ও মাথা ঢাকার টুপিও পাওয়া যায়। এ ধরনের টুপিগুলো মাংকি ক্যাপ নামে পরিচিত।
কেনাকাটার টুকিটাকি
কেনার সময় এমন টুপি বাছাই করুন, যা আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানিয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে রঙের ব্যাপারটাও বিবেচনায় রাখতে পারেন। এ ধরনের টুপি যেহেতু একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে পরা হয়, তাই এমন কয়েকটি রঙের টুপি কিনুন, যা মোটামুটি সব রঙের ও ধরনের পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যাবে। সাদা, কালো, খয়েরি, আকাশি, ধূসর ইত্যাদি রঙের টুপি মানিয়ে যাবে যেকোনো পোশাকের সঙ্গে। টুপি কেনার সময় যদি ট্রায়াল দিয়ে কেনা যায় তাহলে ভালো। বেশি টাইট বা ঢিলেঢালা হলে দেখতে ভালো লাগে না। বেশি টাইট হলে টুপিতে লাগানো ইলাস্টিক আঁটসাঁট হয়ে অস্বস্তির কারণ হতে পারে। ঘরে পরার জন্য উলের হালকা টুপি কিনুন। এগুলো পরতে আরাম এবং ধোয়াও সহজ। উলের মতো কাপড়ে অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে। টুপি কেনার সময় আপনার অ্যালার্জির বিষয়টিও বিবেচনায় রাখুন।
কোথায় পাবেন
রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নুরজাহান মার্কেট, বঙ্গবাজার, গুলিস্তান, মৌচাক, সুবাস্তু নজর ভ্যালি, বসুন্ধরা সিটিসহ প্রায় সব শপিং মলেই পাওয়া যাবে শীতের বাহারি টুপি। এ ছাড়া ঢাকার বাইরের শহরগুলোর প্রায় প্রতিটি পোশাকের দোকানে ও বিভিন্ন ফেসবুক পেজকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানেও পাওয়া যাবে পছন্দের টুপি। এগুলোর দামও হাতের নাগালে। টুপির ধরন ও কাপড়ের উপকরণ অনুযায়ী ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যাবে এই টুপিগুলো।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪