তৃতীয় ধাপে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ৩ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে দুইটি ইউপি দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা থাকলেও, একটিতে ‘অনুপ্রবেশকারী’ নেতাও মনোনয়ন পেয়েছেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের নেতা-কর্মীরা।

গত মঙ্গলবার দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৩ ইউপিতে দলীয় প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

দলীয় চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা হলেন মেরুং ইউনিয়নে মাহমুদা বেগম লাকী, বোয়ালখালী ইউনিয়নে মো. মোস্তফা ও কবাখালী ইউপিতে মো. আবদুল বারেক।

মেরুং ইউপিতে মনোনীত প্রার্থী মাহমুদা বেগম লাকী ছাত্রলীগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করে ২০১৪ সাল থেকে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

বোয়ালখালী ইউপিতে দলীয় থেকে মনোনয়নপত্র কিনে ছিলেন মাত্র একজন। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় মনোনীত হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি মো. মোস্তফা।

এদিকে কবাখালী ইউপিতে দল মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল বারেক। তিনি ২০১৩ সালে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২০১৪ সালে হাচিনসনপুর উচ্চ বিদ্যালয় নির্বাচনী ভোটকেন্দ্র সংগ্রাম কমিটির সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।

এদিকে আবদুল বারেক দলীয় মনোনয়নপত্র কেনার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কবাখালী ইউপিতে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি, বিএনপি থেকে অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যাদের কারণে আমরা একসময় বাড়িতে নিরাপদে ঘুম যেতে পারি নাই, মামলা দিয়ে ঘর ছাড়া করে রেখেছে, আজ তাঁকেই আওয়ামী প্রার্থিতা করা হয়েছে।’

আবদুল বারেক বলেন, ‘বিএনপি ত্যাগ করেছি বহু আগেই, আওয়ামী লীগকে ভালো লাগায় এর পতাকা তলে এসেছি। দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছি।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কাশেম বলেন, কবাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রয়োজনেই জেলা সংগঠনের অনুমতিতে আবদুল বারেককে প্রার্থী করা হয়েছে। দলের বিধি মোতাবেক জেলা সভাপতির হাতে ফুল দিয়েই তিনি বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগের যোগদান করেছেন।