হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি ক্ষোভ পথচারীদের

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২২, ১১: ২৪

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বিভিন্ন দোকান ও যানবাহনে হাতি দিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে। হাতির শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত গাড়ি যেতে দেয় না মাহুত। টাকা না দিলে উল্টো ভয় দেখান মাহুত। এতে পথচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ব্যাপারীর বাজার এলাকায় হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুত। সর্বনিম্ন ১৫ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরন অনুযায়ী ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। শুধু দোকানেই সীমাবদ্ধ নয়, সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা গেছে এই মাহুতকে।

থানাহাট ইউনিয়নের ব্যাপারী বাজার এলাকায় হাতি দিয়ে উলিপুর উপজেলা থেকে আসা অটোচালক শাহ আলম মিয়ার কাছ থেকে ২০ টাকা নেন।

টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই অটোচালক বলেন, ‘টাকা না দিলে হাতিটি যাবে না। তা ছাড়া অনেক সময় গাড়িতে ভাঙচুরও করে। এ জন্য ঝামেলা হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে বিদায় করেছি।’

উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের এলাকার ব্যবসায়ী মো. রহিম মিয়া জানান, মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা দাবি করে মাহুত। প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হয়। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরে না। অনেক সময় ক্রেতারা হাতি দেখে ভয় পান। এতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে।

হাতির মাহুত আশরাফুল বলেন, ‘হাতির ভরণপোষণের জন্য সবাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেয়। কেউ খুশি হয়ে টাকা দিলে তা আবার চাঁদাবাজি হয় কীভাবে? তবে আমি কাউকে জোর করি না। যার ইচ্ছা দেয়, মন না চাইলে দেয় না।’

চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘হাতি দিয়ে টাকা তোলার বিষয়ে এখনো কেউ আমাকে জানায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত