নোয়াখালীর চাটখিলের পৌর কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। বর্ষা শেষে শীতের আগমনীতে বাজারে শীতকালীন শাকসবজির দেখা মিললেও এসবের দাম অনেকটাই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। গতকাল বুধবার চাটখিল পৌর বাজার, কড়িহাটি বাজার ও দশঘরিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৬০ টাকার নিচে কোনো শাকসবজি নেই। গত বছর এই সময়ে শাকসবজির দাম তুলনামূলক অনেক কম ছিল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাটখিল পৌর কাঁচাবাজারে শিম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, টমেটো ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, মুলা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৯০ থেকে ২২০ টাকা, ঝিঙে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, ধনে পাতা ৩০০-৩১০ টাকা, ফুলকপি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বাঁধাকপি ৭০ থেকে ৯০ টাকা, লালশাক ৬০ থেকে ৭০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

অথচ গত বছর এ সময়ে শিম ৭০ টাকা, টমেটো ৭০-৮০ টাকা, মুলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, ঝিঙে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ধনে পাতা ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লালশাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা ছিল। এ ছাড়া মাছের দামও বেড়েছে। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল প্রতিকেজি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা।

এদিকে ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই অবস্থা উপজেলার অন্য বাজারগুলোতেও।

তরকারি বিক্রেতা মো. সজীব মিয়া বলেন, গত বছরের তুলনায় প্রতিটি পণ্যের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। পাইকারি বাজারেও দাম বেশি। যে কারণে বেশি দাম দিয়ে কেনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

চাটখিল পৌর বাজারের খুদে ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম, মো. রাসেল, ৭ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য দেলোয়ার হোসেন, রামনারায়ণপুরে প্রবাসী মোহাম্মদ উল্যা বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

স্থানীয় চাষি মো. মানিক হোসেন ও মো. বেল্লাল হোসেন জানান, শীতের শুরুতে এ এলাকার কৃষকেরা বিভিন্ন সবজির চাষাবাদ করলেও বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টির কারণে পচে গেছে তরকারি গাছের গোড়া। তা ছাড়া এলাকার কৃষকেরা চাষাবাদে আগের মতো মনোযোগী না। অনেকেই কৃষিকাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।

চাটখিল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বাজারে তরি-তরকারির দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে বলেন, এ সময় সাধারণত তরি-তরকারির দাম কম থাকে। তবে নতুন কিছু তরকারি বাজারে এলেও চাটখিলে সব কিছুর অস্বাভাবিক দাম।