জামালপুর প্রতিনিধি
চলছে আমনের ভরা মৌসুম। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই বললেই চলে। অন্যদিকে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ এবং সব ধরনের সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমন চাষ নিয়ে দিশেহারা জামালপুরে কৃষকেরা। এতে দেখা দিয়েছে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার শঙ্কা।
কৃষকেরা বলছেন, অনাবৃষ্টির কারণে জমির বীজতলার মাটি ফেটে যাচ্ছে। সময়মতো বিদ্যুৎ না থাকায় খেতে পানি দেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে সব ধরনের সারের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচও বাড়ছে। তাতে আসল উঠবে বলে মনে হয় না। এই অবস্থা অব্যাহত থাকায় অনেকেই আবাদ না করার চিন্তা করছেন। তবে কৃষি অফিস বলছে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছেন কর্মীরা।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, জেলায় এবার ১ লাখ ৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৯১ শতাংশ জমিতে আবাদ করা হয়েছে।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ভাবকী এলাকার কৃষক ইদ্রিস আলী তিন বিঘা জমিতে আমন রোপণ করেছেন। তিনি জানান, ৮ হাজার টাকা খরচ করে বীজতলা লাগানো হয়েছে। অথচ পানির অভাবে খেতের মাটি ফেটে গেছে। সময়মতো বিদ্যুৎ না থাকায় পানি দিতে পারছেন না। এরপর সার ও কীটনাশকের দাম অতিমাত্রায় বৃদ্ধির কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। একই অবস্থা জেলার প্রায় সব কৃষকের।
নয়ানগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর চর এলাকার কৃষক আব্দুস সামাদ ব্যাপারী বলেন, ‘কৃষিকাজ ছেড়ে দিতে হবে। সরকার কৃষকদের সার, তেল, বিদ্যুৎ—সবই বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন পরিবার নিয়ে মরণ ছাড়া উপায় নেই।’
সামাদ ব্যাপারী আরও বলেন, ‘একজন কৃষকের জমি তৈরি করে বীজ রোপণ করতে প্রতি বিঘায় খরচ হয় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। এরপর উচ্চমূল্যে সার কীটনাশক কিনে ফসল ঘরে তুলতে যে খরচ হয়, বাজারে বিক্রির সময় আসলই ওঠে না।
এই অবস্থায় আমাদের ফসল ফলানো সম্ভব না।’ জানা গেছে, ইউরিয়া সারের দাম ৮০০ থেকে বেড়ে ১ হাজার ১০০ টাকা হয়েছে। আর কৃষকদের কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
জৈব সার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, পটাশ ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সারের ডিলাররা কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কৃষি অফিসের মাঠ পরিদর্শকের উপস্থিতিতে কার্ডের মাধ্যমে সরকারনির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করা হচ্ছে।
ভাবকি বাজারের সার ব্যবসায়ী রিফাত বলেন, ‘আমরা কৃষি অফিসের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কৃষকদের সার দিচ্ছি। লাল ব্যানার টাঙিয়ে কৃষকদের কার্ড অনুযায়ী সার দেওয়া হচ্ছে।’
মেলান্দহ কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, কৃষকদের এনআইডি এবং কৃষি কার্ড দেখে জমি পরিমাপ করে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী সার দেওয়া হচ্ছে। তবে এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি অফিস থেকে কবে কোথায় কার্ড দেওয়া হয়েছে, সেটা তাঁরা জানেন না।
জামালপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, জামালপুরের ডিলারদের ৪ হাজার ৩৬৫ মেট্রিক টন সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সারের সুষম বণ্টনে প্রত্যেক ডিলারের দোকানে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করা হচ্ছে। কোনো ডিলার অনিয়ম করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগকে রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য বলা হয়েছে।
চলছে আমনের ভরা মৌসুম। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই বললেই চলে। অন্যদিকে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ এবং সব ধরনের সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমন চাষ নিয়ে দিশেহারা জামালপুরে কৃষকেরা। এতে দেখা দিয়েছে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার শঙ্কা।
কৃষকেরা বলছেন, অনাবৃষ্টির কারণে জমির বীজতলার মাটি ফেটে যাচ্ছে। সময়মতো বিদ্যুৎ না থাকায় খেতে পানি দেওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে সব ধরনের সারের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচও বাড়ছে। তাতে আসল উঠবে বলে মনে হয় না। এই অবস্থা অব্যাহত থাকায় অনেকেই আবাদ না করার চিন্তা করছেন। তবে কৃষি অফিস বলছে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছেন কর্মীরা।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, জেলায় এবার ১ লাখ ৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৯১ শতাংশ জমিতে আবাদ করা হয়েছে।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ভাবকী এলাকার কৃষক ইদ্রিস আলী তিন বিঘা জমিতে আমন রোপণ করেছেন। তিনি জানান, ৮ হাজার টাকা খরচ করে বীজতলা লাগানো হয়েছে। অথচ পানির অভাবে খেতের মাটি ফেটে গেছে। সময়মতো বিদ্যুৎ না থাকায় পানি দিতে পারছেন না। এরপর সার ও কীটনাশকের দাম অতিমাত্রায় বৃদ্ধির কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। একই অবস্থা জেলার প্রায় সব কৃষকের।
নয়ানগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর চর এলাকার কৃষক আব্দুস সামাদ ব্যাপারী বলেন, ‘কৃষিকাজ ছেড়ে দিতে হবে। সরকার কৃষকদের সার, তেল, বিদ্যুৎ—সবই বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন পরিবার নিয়ে মরণ ছাড়া উপায় নেই।’
সামাদ ব্যাপারী আরও বলেন, ‘একজন কৃষকের জমি তৈরি করে বীজ রোপণ করতে প্রতি বিঘায় খরচ হয় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। এরপর উচ্চমূল্যে সার কীটনাশক কিনে ফসল ঘরে তুলতে যে খরচ হয়, বাজারে বিক্রির সময় আসলই ওঠে না।
এই অবস্থায় আমাদের ফসল ফলানো সম্ভব না।’ জানা গেছে, ইউরিয়া সারের দাম ৮০০ থেকে বেড়ে ১ হাজার ১০০ টাকা হয়েছে। আর কৃষকদের কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
জৈব সার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, পটাশ ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সারের ডিলাররা কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কৃষি অফিসের মাঠ পরিদর্শকের উপস্থিতিতে কার্ডের মাধ্যমে সরকারনির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করা হচ্ছে।
ভাবকি বাজারের সার ব্যবসায়ী রিফাত বলেন, ‘আমরা কৃষি অফিসের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কৃষকদের সার দিচ্ছি। লাল ব্যানার টাঙিয়ে কৃষকদের কার্ড অনুযায়ী সার দেওয়া হচ্ছে।’
মেলান্দহ কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, কৃষকদের এনআইডি এবং কৃষি কার্ড দেখে জমি পরিমাপ করে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী সার দেওয়া হচ্ছে। তবে এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি অফিস থেকে কবে কোথায় কার্ড দেওয়া হয়েছে, সেটা তাঁরা জানেন না।
জামালপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, জামালপুরের ডিলারদের ৪ হাজার ৩৬৫ মেট্রিক টন সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সারের সুষম বণ্টনে প্রত্যেক ডিলারের দোকানে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করা হচ্ছে। কোনো ডিলার অনিয়ম করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগকে রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য বলা হয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে