চাপে আছেন নারী সার্জেন্ট মহুয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ১৯
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ০৯

পা হারানো বাবার বিচার চেয়ে গণমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজ বাহিনীতেই চাপের মুখে পড়েছেন নারী সার্জেন্ট মহুয়া হাজং। গণমাধ্যমে বক্তব্য না দিয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে তাঁকে।

কিন্তু ঘটনার পর ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও মহুয়ার করা অভিযোগটি গতকাল বুধবার পর্যন্ত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি বনানী থানার পুলিশ। ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের জন্য তাঁরা প্রাথমিক তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে গতকাল দুপুরে যোগাযোগ করা হলে মহুয়া হাজং আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ নিয়ে কথা বলার মতো আমার আর কোনো সিচুয়েশন নেই।’

মহুয়ার বাবা মনোরঞ্জন হাজং এখন রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল সেখানে গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাঁরা রাজি হননি। পরে ভুক্তভোগীদের এক স্বজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এখনো কোনো সিনিয়র পুলিশ সদস্য খোঁজ নিতে আসেননি। উল্টো হাসপাতালে নজরদারি বসানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা কী করছেন, কার সঙ্গে কথা বলছেন—সব ব্যাপারে নজর রাখা হচ্ছে।

২ ডিসেম্বর রাতে বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি সড়কে এক বিচারপতির ছেলে সাইফ হাসানের বেপরোয়া গাড়িচাপায় আহত হন বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন আটক করলেও গাড়িসহ সাইফকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। আর মনোরঞ্জনকে উদ্ধার করে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁর একটি পা কেটে ফেলেন। পঙ্গু হাসপাতালে ৯ দিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত