আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁন্দেরচর গ্রাম এবং বাসাইল ইউনিয়নের চরগুলগুলিয়া গ্রাম ১০ বছর ধরে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের কবলে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে তীরের গ্রামগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে একাধিকবার প্রশাসনের কাছে জানালেও কোনো সহযোগিতা পায়নি গ্রামবাসী। তাই নিজ উদ্যোগে ভাঙনরোধে বাঁশের বাঁধ দিয়ে জমি রক্ষার চেষ্টা করছেন।
গতকাল রোববার বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, গ্রামবাসী বাঁশ দিয়ে নদীভাঙন রোধে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে গ্রামের যুবকদের উদ্যোগে এবং গ্রামবাসীর অর্থায়নে এ কাজ চলছে।
জানা যায়, বর্ষা মৌসুমের ৪ মাসে ২ কিলোমিটারজুড়ে ৩০০ ফুট জমি বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া ৩ বছর আগে সীমানা পিলার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ১০ বছরে বিলীন হয়েছে আরও ১ হাজার ৩০০ ফুট ফসলি জমি। নদীর ১০০ মিটারের মধ্যের গ্রামগুলোয় ১৫টি মসজিদ, ২টি মাদ্রাসা, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ৩টি পাকা ব্রিজ, ২টি ঈদগাহ ময়দান, ৩টি নৌকা ঘাট ও ছোট বাজার রয়েছে ৩টি। এই নদীভাঙন রোধ না হলে গ্রামগুলো বিলীন হতে পারে অচিরেই।
চাঁন্দেরচর গ্রামের বাসিন্দা কবি ও সাংবাদিক সালাহউদ্দিন সালমান বলেন, প্রতিবছর বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এবং সারা বছর নদীতে জোয়ার-ভাটার চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধলেশ্বরী নদীর তীর প্রবলভাবে ভাঙতে শুরু করে। এভাবে ১০ বছর ধরে নদীপারের ফসলি উর্বর জমি বিলীন হয়ে গেছে। এখন বাড়ি-ঘর ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছে। ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে এ অঞ্চলের কৃষকের ক্ষতির সম্মুখীন ও সর্বস্বান্ত হতে হচ্ছে, কৃষিতে ব্যাপক বিপর্যয় ঘটছে। বালুচর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁন্দেরচর ও বাসাইল ইউনিয়নের চরগুলো ভাঙনের কবলে রয়েছে। তাই গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম এবং নিজেদের অর্থায়নে নদীভাঙন রোধে কাজ করে যাচ্ছেন।
আরেক জন স্বেচ্ছাসেবী মো. রুবেল বলেন, ‘আমরা ১০ বছর ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনকে অবগত করেছি। কিন্তু এই ১০ বছরে তাঁরা কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এ কারণে ইতিমধ্যে আমাদের বিঘা বিঘা ফসলি জমি ধলেশ্বরী নদীতে বিলীন হয়েছে। আগে নদীটা অনেক দূরে ছিল। এখন ভাঙতে ভাঙতে বাড়ির সামনে চলে এসেছে। আর কিছুদিন ভাঙলে বাড়ি-ঘর কিছু থাকবে না। ৪ মাসে ৩০০ ফুট জায়গা ভেঙে ফসলসহ নদীতে চলে গেছে।’
আরেকজন আব্দুল হামিদ বলেন, ‘কুচিয়ামোড়া থেকে বালুচর পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের বসবাস। এদের বেশির ভাগ কৃষক, কৃষিকাজ তাদের একমাত্র অবলম্বন। কৃষির ওপর নির্ভর করে এ মানুষগুলো চলে। নদীতে জমিগুলো চলে গেলে তারা নিঃস্ব হয়ে যাবে। তাই ভাঙন রোধে সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এই উপজেলায় আসার পর এ বিষয়ে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। কয়েকবার জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও চিঠি দিয়েছি।’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁন্দেরচর গ্রাম এবং বাসাইল ইউনিয়নের চরগুলগুলিয়া গ্রাম ১০ বছর ধরে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের কবলে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে তীরের গ্রামগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে একাধিকবার প্রশাসনের কাছে জানালেও কোনো সহযোগিতা পায়নি গ্রামবাসী। তাই নিজ উদ্যোগে ভাঙনরোধে বাঁশের বাঁধ দিয়ে জমি রক্ষার চেষ্টা করছেন।
গতকাল রোববার বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, গ্রামবাসী বাঁশ দিয়ে নদীভাঙন রোধে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে গ্রামের যুবকদের উদ্যোগে এবং গ্রামবাসীর অর্থায়নে এ কাজ চলছে।
জানা যায়, বর্ষা মৌসুমের ৪ মাসে ২ কিলোমিটারজুড়ে ৩০০ ফুট জমি বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া ৩ বছর আগে সীমানা পিলার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ১০ বছরে বিলীন হয়েছে আরও ১ হাজার ৩০০ ফুট ফসলি জমি। নদীর ১০০ মিটারের মধ্যের গ্রামগুলোয় ১৫টি মসজিদ, ২টি মাদ্রাসা, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ৩টি পাকা ব্রিজ, ২টি ঈদগাহ ময়দান, ৩টি নৌকা ঘাট ও ছোট বাজার রয়েছে ৩টি। এই নদীভাঙন রোধ না হলে গ্রামগুলো বিলীন হতে পারে অচিরেই।
চাঁন্দেরচর গ্রামের বাসিন্দা কবি ও সাংবাদিক সালাহউদ্দিন সালমান বলেন, প্রতিবছর বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এবং সারা বছর নদীতে জোয়ার-ভাটার চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধলেশ্বরী নদীর তীর প্রবলভাবে ভাঙতে শুরু করে। এভাবে ১০ বছর ধরে নদীপারের ফসলি উর্বর জমি বিলীন হয়ে গেছে। এখন বাড়ি-ঘর ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছে। ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে এ অঞ্চলের কৃষকের ক্ষতির সম্মুখীন ও সর্বস্বান্ত হতে হচ্ছে, কৃষিতে ব্যাপক বিপর্যয় ঘটছে। বালুচর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁন্দেরচর ও বাসাইল ইউনিয়নের চরগুলো ভাঙনের কবলে রয়েছে। তাই গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম এবং নিজেদের অর্থায়নে নদীভাঙন রোধে কাজ করে যাচ্ছেন।
আরেক জন স্বেচ্ছাসেবী মো. রুবেল বলেন, ‘আমরা ১০ বছর ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনকে অবগত করেছি। কিন্তু এই ১০ বছরে তাঁরা কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এ কারণে ইতিমধ্যে আমাদের বিঘা বিঘা ফসলি জমি ধলেশ্বরী নদীতে বিলীন হয়েছে। আগে নদীটা অনেক দূরে ছিল। এখন ভাঙতে ভাঙতে বাড়ির সামনে চলে এসেছে। আর কিছুদিন ভাঙলে বাড়ি-ঘর কিছু থাকবে না। ৪ মাসে ৩০০ ফুট জায়গা ভেঙে ফসলসহ নদীতে চলে গেছে।’
আরেকজন আব্দুল হামিদ বলেন, ‘কুচিয়ামোড়া থেকে বালুচর পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের বসবাস। এদের বেশির ভাগ কৃষক, কৃষিকাজ তাদের একমাত্র অবলম্বন। কৃষির ওপর নির্ভর করে এ মানুষগুলো চলে। নদীতে জমিগুলো চলে গেলে তারা নিঃস্ব হয়ে যাবে। তাই ভাঙন রোধে সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এই উপজেলায় আসার পর এ বিষয়ে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। কয়েকবার জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও চিঠি দিয়েছি।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৯ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে