গরু ব্যবসায়ী ও ইজিবাইক চালক হত্যার রহস্য অজানা

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৬: ৪৮
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ৫১

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর মানসুরা আক্তার তার বিরুদ্ধে আনা চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গতকাল রোববার দুপুরে নগর কফি লাউঞ্জ হলরুমে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।

লিখিত বক্তব্যে মানসুরা আক্তার বলেন, গত ২২ জানুয়ারি সাংবাদিকদের কাছে আমাকে ও আমার স্বামীকে জড়িয়ে চাঁদাবাজিসহ ভূমি দখলের অভিযোগ করেন চকলেংগুরা গ্রামের মো. আহম্মদ আলী। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কিন্তু প্রকাশিত ওই অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা।

তিনি আরও বলেন, ২৮১/৬৮-৬৯ নম্বর ভিপি মোকাদ্দমাভুক্ত সম্পত্তি আমার নানা মৃত বছির মৃধা লিজ গ্রহণের পর ৭-৮ আট বছর ভোগ করেন। তিনি মারা যাওয়ার পর উনার বাড়ির বার্ষিক বেতনভুক্ত কর্মচারী আহাম্মদ আলী ওই সম্পত্তির মিথ্যে ওয়ারিশানা দাবি করে ওই সম্পত্তি গোপনে ভূমি অফিস থেকে নিজ নামে লিজ গ্রহণ করে নেন।

পরবর্তীতে ওই জমি ভোগ দখলের পর আহমদ আলী গোপনে মানিক মিয়া (৪৭) ও দুলাল মিয়ার কাছে কৌশলে নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পমূলে বিক্রি করে দেন। পরে ওই দুইজন ক্রেতা প্লট আকারে স্থানীয় ১৪ জনের কাছে প্রতি শতাংশ ১ লাখ টাকা হারে বিক্রি করেন। পরবর্তীতে ওই জায়গায় মাটি ভরাট করতে থাকলে উত্তরাধীকার সূত্রে আমি বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়কে মৌখিকভাবে অবহিত করি। পরে কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা দেখে মাটি ভরাট কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়। এরই জেরে ধরেই আহম্মদ আলী জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব বরাবরে একটি মিথ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ দাখিল করে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্যানের মেয়র মশিউজ্জামান বাদল, পৌর কাউন্সিলর কামরুল হাসান জনি ও মানসুরা আক্তারের স্বামী নয়ন মিয়া।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত