ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কাচারি বাজার মোড়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তিনটি মোটরসাইকেল এবং দুটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ে করা হলেও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে বাদ দিয়ে বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সাইদুলকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়। এই ঘটনায় এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোহেল রানা বহলবাড়ীয়া কাচারি বাজার মোড়ে তাঁর কার্যালয়ে সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। ওই সময় শহিদুল ইসলাম সাইদুলের পক্ষে মোটরসাইকেল মহড়া সোহেল রানার কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যায়। ওই সময় স্লোগান দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম সাইদুল বলেন, ‘আমি নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই আমাকে বিতর্কিত করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন সোহেল রানা। তারই ধারাবাহিকতায় আমার শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালিয়েছেন সোহেল রানার লোকজন। এ সময় আমার সমর্থকদের কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে এবং আমার কয়েকজন সমর্থককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।’

সোহেল রানা বলেন, ‘আমি আমার অফিসের সামনে সমর্থকদের নিয়ে বৈঠক করছিলাম। এ সময় সাইদুলের লোকজন মোটরসাইকেলে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় আমার লোকজনকে লাথি মারে। এতে আমার সমর্থকেরা উত্তেজিত হয়ে তাঁদের ধাওয়া দিলে মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যান। এখান থেকে গিয়ে তাঁরা আমার সমর্থকদের দুটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এতে আহত হয় আমার দুই সমর্থক।’

এ বিষয়ে মিরপুর সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আজমল হোসেন বলেন, ‘দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখনো সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’