লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় দুই মাস নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এতে বেকার ভোলার লালমোহন উপজেলার জেলেরা ঋণের টাকা শোধ করতে পড়েছেন বিপাকে। বাধ্য হয়ে লুকিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যাচ্ছেন। প্রশাসনের হাতে ধরা পড়ে গুনছেন জরিমানা। ভোগ করছেন কারাদণ্ড। এদিকে নিষেধাজ্ঞা ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও পুনর্বাসনের চাল পাননি জেলেরা। ফলে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি নিষেধাজ্ঞার সময় বন্ধ রাখতে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জেলেদের। তবে উপজেলা মৎস্য অফিসের দাবি, জেলেরা লিখিত দিলে ব্যবস্থা নেবে। আর জেলেদের পুনর্বাসনের চাল ইউনিয়ন পরিষদে পৌঁছে গেছে। দ্রুতই তাঁরা চাল পাবেন।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নদীতে মাছ ধরায় এ পর্যন্ত ১৭ জনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের মধ্যে দুজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনজন ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ১২ জনকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলার গজারিয়া খাল গোড়া মৎস্যঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে অলস সময় কাটাচ্ছেন জেলেরা। কেউ জাল বুনছেন আবার কেউবা নৌকা-ট্রলার মেরামত করছেন।
জেলে আবদুল মোকশেদ বলেন, ‘মাছ ধরা বন্ধ। উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। কীভাবে সংসার চালাব, সে চিন্তায় দিশেহারা। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কিস্তির টাকাও দিতে পারছি না। দুই মাসের জন্য কিস্তি আদায় বন্ধ হলে আমাদের জন্য ভালো হতো।’
মো. ইয়াছিন বলেন, ‘আমরা নদীর কাজ জানি, অন্য কাজ জানি না। তাই কেউ অন্য কাজেও নিতে চান না। খেতখামারেও কাজ পাচ্ছি না। একদিকে আয়-রোজগার বন্ধ, অন্যদিকে ঋণের দেনায় জর্জরিত। সব মিলিয়ে চরম বিপাকে। পুনর্বাসনের চালও পাচ্ছি না। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে পেটের দায়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে যাচ্ছেন। ধরা পড়লে কারাভোগ করছেন, জরিমানা গুনছেন।’
গজারিয়া খাল গোড়া মৎস্যঘাটের জেলে মো. মনির জানান, মাছ ধরে যে আয় হতো, তা দিয়ে সংসার চলত। মাছ ধরা বন্ধের সময় চাল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো সেই চাল পাইনি। কবে পাব তা-ও জানি না।’
গজারিয়া খাল গোড়া মৎস্যঘাটের আড়তদার খোকন মাতব্বর জানান, এ ঘাটে এক হাজারের বেশি জেলে রয়েছে। সবাই দেনায় জর্জরিত। তাঁদের মতো আড়তদারদেরও ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুছ বলেন, ‘উপজেলার নিবন্ধিত ২৩ হাজার জেলের মধ্যে ১১ হাজারের জন্য ৮০ কেজি করে চাল এসেছে। চাল ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত তা বিতরণের জন্য বলা হয়েছে।’
এদিকে লালমোহনে ৫০ হাজারের বেশি জেলে থাকলেও নিবন্ধনের আওতায় এসেছেন ২৩ হাজার। বাকি ১২ হাজার জেলে চাল থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় দুই মাস নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এতে বেকার ভোলার লালমোহন উপজেলার জেলেরা ঋণের টাকা শোধ করতে পড়েছেন বিপাকে। বাধ্য হয়ে লুকিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যাচ্ছেন। প্রশাসনের হাতে ধরা পড়ে গুনছেন জরিমানা। ভোগ করছেন কারাদণ্ড। এদিকে নিষেধাজ্ঞা ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও পুনর্বাসনের চাল পাননি জেলেরা। ফলে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি নিষেধাজ্ঞার সময় বন্ধ রাখতে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জেলেদের। তবে উপজেলা মৎস্য অফিসের দাবি, জেলেরা লিখিত দিলে ব্যবস্থা নেবে। আর জেলেদের পুনর্বাসনের চাল ইউনিয়ন পরিষদে পৌঁছে গেছে। দ্রুতই তাঁরা চাল পাবেন।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নদীতে মাছ ধরায় এ পর্যন্ত ১৭ জনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের মধ্যে দুজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনজন ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ১২ জনকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলার গজারিয়া খাল গোড়া মৎস্যঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে অলস সময় কাটাচ্ছেন জেলেরা। কেউ জাল বুনছেন আবার কেউবা নৌকা-ট্রলার মেরামত করছেন।
জেলে আবদুল মোকশেদ বলেন, ‘মাছ ধরা বন্ধ। উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। কীভাবে সংসার চালাব, সে চিন্তায় দিশেহারা। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কিস্তির টাকাও দিতে পারছি না। দুই মাসের জন্য কিস্তি আদায় বন্ধ হলে আমাদের জন্য ভালো হতো।’
মো. ইয়াছিন বলেন, ‘আমরা নদীর কাজ জানি, অন্য কাজ জানি না। তাই কেউ অন্য কাজেও নিতে চান না। খেতখামারেও কাজ পাচ্ছি না। একদিকে আয়-রোজগার বন্ধ, অন্যদিকে ঋণের দেনায় জর্জরিত। সব মিলিয়ে চরম বিপাকে। পুনর্বাসনের চালও পাচ্ছি না। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে পেটের দায়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে যাচ্ছেন। ধরা পড়লে কারাভোগ করছেন, জরিমানা গুনছেন।’
গজারিয়া খাল গোড়া মৎস্যঘাটের জেলে মো. মনির জানান, মাছ ধরে যে আয় হতো, তা দিয়ে সংসার চলত। মাছ ধরা বন্ধের সময় চাল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো সেই চাল পাইনি। কবে পাব তা-ও জানি না।’
গজারিয়া খাল গোড়া মৎস্যঘাটের আড়তদার খোকন মাতব্বর জানান, এ ঘাটে এক হাজারের বেশি জেলে রয়েছে। সবাই দেনায় জর্জরিত। তাঁদের মতো আড়তদারদেরও ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুছ বলেন, ‘উপজেলার নিবন্ধিত ২৩ হাজার জেলের মধ্যে ১১ হাজারের জন্য ৮০ কেজি করে চাল এসেছে। চাল ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত তা বিতরণের জন্য বলা হয়েছে।’
এদিকে লালমোহনে ৫০ হাজারের বেশি জেলে থাকলেও নিবন্ধনের আওতায় এসেছেন ২৩ হাজার। বাকি ১২ হাজার জেলে চাল থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে