সম্পাদকীয়
কুড়িগ্রামে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। ব্রয়লার মুরগির যে আকাশচুম্বী দামের কারণে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে উঠেছিল, তাতে ওই এলাকার মানুষের মনে যেন খানিকটা স্বস্তির প্রলেপ পড়েছে। কিন্তু সেখানেও দেশি এবং সোনালি মুরগির দাম এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। কেউ কেউ আশা করছেন, সেই দামও কমে আসবে।
এই সংবাদ অবশ্যই স্বস্তির। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে যে প্রশ্নটি এড়ানো যাবে না তা হলো, এই যে কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ করে ব্রয়লার মুরগির দাম আড়াই শ-তিন শ টাকা কেজি হয়ে গিয়েছিল, তার কারণ কী? দাম কমলে আমরা খুশি হই, কিন্তু দাম বাড়ল কেন, সে প্রশ্নটা তখন লুপ্ত হয়ে যায় কেন? সুরাহা না হলে এই সংকট ভবিষ্যতে একইভাবে আবারও তৈরি হতে পারে। পত্রপত্রিকায় যে খবর বেরিয়েছে তাতে বোঝা যায়, একশ্রেণির মতলববাজ ফড়িয়া অধিক মুনাফার লোভে সবাই মিলে যুক্তি করে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাদের কি কোনো শাস্তি হয়েছে?
অস্বীকার করা যাবে না, জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, মানুষের আয়-রোজগার সেভাবে বাড়ছে না। দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার রয়েছে বিপাকে। অনেকের খাদ্যতালিকা থেকে ধীরে ধীরে নির্বাসিত হচ্ছে মাছ-মাংস কিংবা আগের বছরের তুলনায় অনেক কম কিনতে পারছেন তাঁরা।
শনিবারের আজকের পত্রিকায় সারা দেশ পাতার আরও একটি খবর দেখতে পাচ্ছি। রাজশাহীর দুর্গাপুরে জমে উঠেছে রাতের বাজার। ব্যাপারটা এমন নয় যে পূর্ণিমার চাঁদের আনন্দ উপভোগ করতে করতে বাজার করবেন বলে একটা নান্দনিক সুখ নিয়ে মানুষ বাজারে যাচ্ছে। আসলে দিনের বেলায় চড়া দামে যে পণ্য বিক্রি হয়, তার কিছু অংশ যদি বেঁচে যায়, তাহলে রাতের বেলায় তা ২০-৩০ টাকা কমে বিক্রি হয়। দুর্গাপুরের সিংগায় তাই রাতের বাজার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আমরা ধরেই নিয়েছি, কৃষক যে ফসল ফলাবেন, খামারি যে মাংসের জোগান দেবেন, জেলে যে মাছ ধরবেন, তার ন্যায্য দাম তাঁরা পাবেন না। ভোক্তা পর্যায়ে কেনাকাটার দামের সঙ্গে সেই কৃষক-খামারি বা জেলের দামের বিস্তর ব্যবধান। এই ব্যবধান শুধু পরিবহন খরচ বা মাঝখানের ব্যবসায়ীর নয়। সেটা হলে ন্যূনতম লাভ রেখেই তিনি বাজারে বাজারে পণ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতেন। এই দামের ফারাকটাই বুঝিয়ে দেয় কারা এই সুযোগ নিচ্ছে এবং কারা হঠাৎ করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।
গরিব মানুষ সস্তায় যে প্রোটিন পায়, তার একটা বড় উৎস ব্রয়লার মুরগি। শুধু ব্রয়লার মুরগি কেন, যেকোনো পুষ্টিকর খাদ্যের দামের বিষয়ে সরকারি নীতি থাকা খুব জরুরি। ইদানীং স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণের ট্রাক দেখতে পাওয়া যায় শহরের আনাচকানাচে। এই ট্রাক অনেকের জন্যই কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু আরও ভালো হতো যদি দোকানে কিংবা বাজারে গিয়ে ন্যায্যমূল্যে মানুষ পণ্য কিনতে পারত। সেটাই হতো স্বাভাবিক।
কুড়িগ্রামে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। ব্রয়লার মুরগির যে আকাশচুম্বী দামের কারণে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে উঠেছিল, তাতে ওই এলাকার মানুষের মনে যেন খানিকটা স্বস্তির প্রলেপ পড়েছে। কিন্তু সেখানেও দেশি এবং সোনালি মুরগির দাম এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। কেউ কেউ আশা করছেন, সেই দামও কমে আসবে।
এই সংবাদ অবশ্যই স্বস্তির। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে যে প্রশ্নটি এড়ানো যাবে না তা হলো, এই যে কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ করে ব্রয়লার মুরগির দাম আড়াই শ-তিন শ টাকা কেজি হয়ে গিয়েছিল, তার কারণ কী? দাম কমলে আমরা খুশি হই, কিন্তু দাম বাড়ল কেন, সে প্রশ্নটা তখন লুপ্ত হয়ে যায় কেন? সুরাহা না হলে এই সংকট ভবিষ্যতে একইভাবে আবারও তৈরি হতে পারে। পত্রপত্রিকায় যে খবর বেরিয়েছে তাতে বোঝা যায়, একশ্রেণির মতলববাজ ফড়িয়া অধিক মুনাফার লোভে সবাই মিলে যুক্তি করে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাদের কি কোনো শাস্তি হয়েছে?
অস্বীকার করা যাবে না, জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, মানুষের আয়-রোজগার সেভাবে বাড়ছে না। দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার রয়েছে বিপাকে। অনেকের খাদ্যতালিকা থেকে ধীরে ধীরে নির্বাসিত হচ্ছে মাছ-মাংস কিংবা আগের বছরের তুলনায় অনেক কম কিনতে পারছেন তাঁরা।
শনিবারের আজকের পত্রিকায় সারা দেশ পাতার আরও একটি খবর দেখতে পাচ্ছি। রাজশাহীর দুর্গাপুরে জমে উঠেছে রাতের বাজার। ব্যাপারটা এমন নয় যে পূর্ণিমার চাঁদের আনন্দ উপভোগ করতে করতে বাজার করবেন বলে একটা নান্দনিক সুখ নিয়ে মানুষ বাজারে যাচ্ছে। আসলে দিনের বেলায় চড়া দামে যে পণ্য বিক্রি হয়, তার কিছু অংশ যদি বেঁচে যায়, তাহলে রাতের বেলায় তা ২০-৩০ টাকা কমে বিক্রি হয়। দুর্গাপুরের সিংগায় তাই রাতের বাজার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আমরা ধরেই নিয়েছি, কৃষক যে ফসল ফলাবেন, খামারি যে মাংসের জোগান দেবেন, জেলে যে মাছ ধরবেন, তার ন্যায্য দাম তাঁরা পাবেন না। ভোক্তা পর্যায়ে কেনাকাটার দামের সঙ্গে সেই কৃষক-খামারি বা জেলের দামের বিস্তর ব্যবধান। এই ব্যবধান শুধু পরিবহন খরচ বা মাঝখানের ব্যবসায়ীর নয়। সেটা হলে ন্যূনতম লাভ রেখেই তিনি বাজারে বাজারে পণ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতেন। এই দামের ফারাকটাই বুঝিয়ে দেয় কারা এই সুযোগ নিচ্ছে এবং কারা হঠাৎ করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।
গরিব মানুষ সস্তায় যে প্রোটিন পায়, তার একটা বড় উৎস ব্রয়লার মুরগি। শুধু ব্রয়লার মুরগি কেন, যেকোনো পুষ্টিকর খাদ্যের দামের বিষয়ে সরকারি নীতি থাকা খুব জরুরি। ইদানীং স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণের ট্রাক দেখতে পাওয়া যায় শহরের আনাচকানাচে। এই ট্রাক অনেকের জন্যই কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু আরও ভালো হতো যদি দোকানে কিংবা বাজারে গিয়ে ন্যায্যমূল্যে মানুষ পণ্য কিনতে পারত। সেটাই হতো স্বাভাবিক।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪