চাহিদার বেশি কোরবানির পশু

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
Thumbnail image

আসন্ন ঈদুল আজহায় টুঙ্গিপাড়ায় চাহিদার তুলনায় বেশি কোরবানির পশু। উপজেলায় ছোটবড় পাঁচ শতাধিক খামারে এসব কোরবানির পশু পালন করা হয়েছে। তবে গোখাদ্যের দাম বাড়ায় গরু মোটাতাজাকরণে খামারিতে চলতি বছর ৩০ শতাংশ খরচ রেড়েছে। এতে লাভের পরিমাণ ব্যাপকহারে কমে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন খামারিরা।

এ দিকে ভারত বা মিয়ানমার থেকে কোরবানির পশু আমদানি করা হলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করছেন খামারিরা। 
জানা গেছে, উপজেলায় পাঁচ শতাধিক ছোটবড় খামারে ২ হাজার ৬৯০টি ষাঁড়, ১০টি বলদ, ৫টি মহিষ, ৭০৩টি ছাগল, ৮৬টি গাভি ও ১৮টি ভেড়া আসন্ন কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। অর্থাৎ উপজেলায় মোট ৩ হাজার ৫১২টি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। এ দিকে কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ২ হাজার ৭৭৫টি। ফলে উদ্বৃত্ত রয়েছে ৭৩৭টি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রকাশ বিশ্বাস বলেন, গত সাত বছর ভালো দাম পাচ্ছেন টুঙ্গিপাড়ার খামারিরা। লাভ ভালো হওয়ায় প্রতিবছর গবাদিপশু পালন বাড়ছে। এ বছর গোখাদ্যের দাম বেশি। তাই পশু মোটাতাজাকরণে খরচ বেশি হয়েছে। তবু তাঁরা লাভবান হবেন বলে আশা করছি।’

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার লেবুতলা মধুমতি ডেইরি অ্যান্ড ফিশারিজের স্বত্বাধিকারী দিলীপ কুমার সাহা বলেন, ‘এ বছর গোখাদ্যের দাম প্রায় ৬০ ভাগ বেড়েছে। তাই গত বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি খরচ হয়েছে। তাই এবার লাভের হার আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাবে। শেষ পর্যন্ত যদি ভারত বা মিয়ানমার থেকে পশু না আসে, তাহলে লাভের মুখ দেখা যেতে পারে। বাইরের দেশ থেকে পশু এলে আমাদের লোকসান গুনতে হতে পারে।’

তারাইল গ্রামের খামারি শেখর মণ্ডল বলেন, ‘গরু মোটাতাজাকরণে কোনো হরমোন বা ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করি না। তুলনামূলকভাবে আমাদের খরচ কম লাগে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত