শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তায় খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টিতেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা মেরামত না করায় ভেঙে পড়েছে নালা ব্যবস্থাও। এ ছাড়া রাস্তায় পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পৌরবাসী।
জানা গেছে, শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভা ২০১৮ সালে দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই। শহরের যেখানে-সেখানে পড়ে থাকে ময়লা-আবর্জনা। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তা এবং নালা ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে।
পৌরবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিত নালা ব্যবস্থার কারণেই অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় শহরের প্রধান সড়কগুলোতে। শরীয়তপুর জাজিরা পৌর এলাকার জাজিরা-নড়িয়া সংযোগ সড়কসহ পৌরসভায় ৩৩ কিলোমিটার কার্পেটিংয়ের রাস্তার অবস্থা নাজুক। বেশির ভাগ রাস্তার ফ্ল্যাট সলিংয়ের মেয়াদ অনেক আগে শেষ হওয়ায় রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
পৌরসভার বর্ধিত এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিয়মিত পৌর কর দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ ৪-৫ বছরেও ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে পারেনি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় যাতায়াতে, বিশেষ করে বর্ষাকালে তাঁদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
পৌর এলাকায় মূল সড়কের দুটি স্থানে ৭-৮ বছরের পুরোনো প্রায় আড়াই কিলোমিটার স্ল্যাবযুক্ত নালা রয়েছে। কয়েক বছর ধরে সংস্কারের অভাবে নালাগুলো নোংরা ময়লা-আবর্জনায় ভরে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার মাংসের দোকানে জবাই করা গরু-ছাগলের উচ্ছিষ্টাংশ পাশের খালে ফেলায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকাংশ এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য কোনো ডাস্টবিন নেই। গৃহস্থালির বর্জ্য ফেলা হয় রাস্তার পাশের খালে কিংবা সড়কের ওপর।
পৌরসভার ব্যস্ততম এলাকা জাজিরা বাজার ভূমি অফিসের সামনে, ব্যাংক মোড় এলাকা, টিঅ্যান্ডটি মোড় রোডের সংযোগ সড়কে দেখা যায় আবর্জনার স্তূপ। ময়লা-আবর্জনার গন্ধে শহরবাসীর পথচলা দায় হয়ে পড়েছে।
ইজিবাইকচালক জুয়েল আহমদ বলেন, ‘পেটের দায়ে গাড়ি নিয়ে বের হতে হয়। ভাঙা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে মন চায় না, কিন্তু নিরুপায় হয়ে আমাদের গাড়ি চালাতে হচ্ছে।’
খোশাল সিকদারকান্দি এলাকার বাসিন্দা নূর হোসেন মাদবরের অভিযোগ, ‘আমাদের দুর্ভোগের খবর কেউ রাখে না। পৌরসভার সড়কে কোনো বৈদ্যুতিক বাতি নেই। ময়লা-আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন নেই। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি হয়ে যায় রাস্তাঘাটে।’
পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইলিয়াস মাদবর বলেন, ‘আমার এলাকার অনেক রাস্তা আধা পাকা ও গর্তে ভরা। এখনো সংস্কার করা হয়নি। অনেক জায়গায় ড্রেন নেই। বছরের শেষের দিকে এসব উন্নয়নকাজ শুরুর কথা রয়েছে। কোনো নাগরিক সুবিধা দিতে পারছি না।’
বর্ধিত এলাকার সড়ক উন্নয়নে পৃথক কোনো বরাদ্দ রয়েছে কি না জানতে চাইলে জাজিরা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ইমন মোল্লা বলেন, ‘পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বরাদ্দগুলো সব ওয়ার্ডের জন্য সমান। সাধ্যমতো চেষ্টা চলছে বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার করার।’
জাজিরা পৌরসভার মেয়র ইদ্রিস মাদবর বলেন, ‘পৌর এলাকার উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। আগামী দুই বছরের মধ্যে রাস্তাঘাট, সড়কবাতি ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ শুরু করা হবে। কোনো রাস্তা বাকি থাকবে না।’
শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তায় খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টিতেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা মেরামত না করায় ভেঙে পড়েছে নালা ব্যবস্থাও। এ ছাড়া রাস্তায় পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পৌরবাসী।
জানা গেছে, শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভা ২০১৮ সালে দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই। শহরের যেখানে-সেখানে পড়ে থাকে ময়লা-আবর্জনা। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তা এবং নালা ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে।
পৌরবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিত নালা ব্যবস্থার কারণেই অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় শহরের প্রধান সড়কগুলোতে। শরীয়তপুর জাজিরা পৌর এলাকার জাজিরা-নড়িয়া সংযোগ সড়কসহ পৌরসভায় ৩৩ কিলোমিটার কার্পেটিংয়ের রাস্তার অবস্থা নাজুক। বেশির ভাগ রাস্তার ফ্ল্যাট সলিংয়ের মেয়াদ অনেক আগে শেষ হওয়ায় রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
পৌরসভার বর্ধিত এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিয়মিত পৌর কর দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ ৪-৫ বছরেও ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে পারেনি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় যাতায়াতে, বিশেষ করে বর্ষাকালে তাঁদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
পৌর এলাকায় মূল সড়কের দুটি স্থানে ৭-৮ বছরের পুরোনো প্রায় আড়াই কিলোমিটার স্ল্যাবযুক্ত নালা রয়েছে। কয়েক বছর ধরে সংস্কারের অভাবে নালাগুলো নোংরা ময়লা-আবর্জনায় ভরে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার মাংসের দোকানে জবাই করা গরু-ছাগলের উচ্ছিষ্টাংশ পাশের খালে ফেলায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকাংশ এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য কোনো ডাস্টবিন নেই। গৃহস্থালির বর্জ্য ফেলা হয় রাস্তার পাশের খালে কিংবা সড়কের ওপর।
পৌরসভার ব্যস্ততম এলাকা জাজিরা বাজার ভূমি অফিসের সামনে, ব্যাংক মোড় এলাকা, টিঅ্যান্ডটি মোড় রোডের সংযোগ সড়কে দেখা যায় আবর্জনার স্তূপ। ময়লা-আবর্জনার গন্ধে শহরবাসীর পথচলা দায় হয়ে পড়েছে।
ইজিবাইকচালক জুয়েল আহমদ বলেন, ‘পেটের দায়ে গাড়ি নিয়ে বের হতে হয়। ভাঙা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে মন চায় না, কিন্তু নিরুপায় হয়ে আমাদের গাড়ি চালাতে হচ্ছে।’
খোশাল সিকদারকান্দি এলাকার বাসিন্দা নূর হোসেন মাদবরের অভিযোগ, ‘আমাদের দুর্ভোগের খবর কেউ রাখে না। পৌরসভার সড়কে কোনো বৈদ্যুতিক বাতি নেই। ময়লা-আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন নেই। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি হয়ে যায় রাস্তাঘাটে।’
পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইলিয়াস মাদবর বলেন, ‘আমার এলাকার অনেক রাস্তা আধা পাকা ও গর্তে ভরা। এখনো সংস্কার করা হয়নি। অনেক জায়গায় ড্রেন নেই। বছরের শেষের দিকে এসব উন্নয়নকাজ শুরুর কথা রয়েছে। কোনো নাগরিক সুবিধা দিতে পারছি না।’
বর্ধিত এলাকার সড়ক উন্নয়নে পৃথক কোনো বরাদ্দ রয়েছে কি না জানতে চাইলে জাজিরা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ইমন মোল্লা বলেন, ‘পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বরাদ্দগুলো সব ওয়ার্ডের জন্য সমান। সাধ্যমতো চেষ্টা চলছে বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার করার।’
জাজিরা পৌরসভার মেয়র ইদ্রিস মাদবর বলেন, ‘পৌর এলাকার উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। আগামী দুই বছরের মধ্যে রাস্তাঘাট, সড়কবাতি ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ শুরু করা হবে। কোনো রাস্তা বাকি থাকবে না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে