জয়ের এক মাস পর নিজ এলাকায় চেয়ারম্যান

মনিরামপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪: ৪৫
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ০৭

হাসপাতালে বসে নিজের বহিষ্কার ও বিজয়ের খবর পেয়েছিলেন মনিরামপুরের হরিদাসকাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলমগীর কবীর লিটন।

নৌকার বিদ্রোহী হওয়ায় হামলার শিকার হয়ে দেড় মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।

অসুস্থতার কারণে ভোটের প্রচারে নামতে না পারলেও ইউনিয়নবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থনে হাসপাতালে ভর্তি থেকেও নৌকার প্রার্থীকে পাঁচ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন লিটন। অবশেষে হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে এলাকায় ফিরেছেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে যশোর বিমানবন্দরে আসেন আলমগীর কবীর। সেখান থেকে বিশাল মোটরসাইকেল বহর তাঁকে সংবর্ধনা দিয়ে এলাকায় নিয়ে আসেন। এরপর খোলা জিপে চড়ে ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে হরিদাসকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন কেনেন আলমগীর কবীর লিটন। পরে দল তাঁকে বাদ দিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান বিপদভঞ্জন পাড়েকে নৌকার মনোনয়ন দেয়। তখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেন লিটন।

বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় গত ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় নিজ গ্রাম হোগলাডাঙা বাজারে হামলার শিকার হন তিনি। ওই দিন বিকেলে ইউনিয়নের হাজিরহাট বাজারে নৌকার পক্ষে সমাবেশে যোগ দেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু।

সমাবেশ শেষে মনিরামপুর বাজারে ফেরার পথে তাঁর বহরের হামলার শিকার হন প্রার্থী আলমগীর কবির লিটন ও প্রার্থীর ছোট ভাই জাহাঙ্গীর কবীর। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই রাতে তাঁদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে আলমগীর কবীর লিটনকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে বসে ১২ নভেম্বর বহিষ্কারের খবর পান লিটন।

লিটনের ওপর হামলা ও তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করায় ভোটারদের সহানুভূতি জাগে তাঁর প্রতি। হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে থাকায় ভোটের প্রচারে নামতে পারেননি লিটন। ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে ৯ হাজার ৩৩৫ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লিটন।

হরিদাসকাটি ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রণব বিশ্বাস বলেন, ‘হামলার রাত থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর কবীর লিটন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। একবারের জন্যও তিনি এলাকায় ফিরতে পারেননি। সুস্থ হয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে তিনি এলাকায় ফিরে জনগণের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত