কিশোর কুমার
গান করার আগে কড়ায়-গন্ডায় পাওনা মিটিয়ে না দিলে নানা ছুতোয় রেকর্ডিং স্টুডিওতে যেতেন না কিশোর কুমার। যদি কোনো কারণে হাজির হতেই হতো, তাহলে গান শেষ করার আগেই কোনো এক কথা বলে পালিয়ে যেতেন স্টুডিও থেকে। টাকা দিলেও এক বৈঠকে দুটো গান করে ফেলা কিশোরের জন্য ছিল বিরল ব্যাপার।
তাঁর প্রিয়ভাজন আবদুলই রাখতেন টাকাপয়সার হিসাব। গান শুরু করার আগে কিশোর তাকাতেন আবদুলের দিকে। আবদুল যদি বুড়ো আঙুল দেখাতেন, মানে থামস আপ করতেন, তখনই গানে ঢুকতেন কিশোর। তার আগে নয়।
গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় বহু গবেষণা করে কিশোরের এই আচরণগুলো জেনেছিলেন। এক দিনে যে কিশোর কুমারকে দিয়ে দুটো গান করানো কঠিন ব্যাপার, সেটা তিনি জানতেন। তাই দুটো গান আগে থেকেই দিয়ে রেখেছিলেন কিশোরকে। কিন্তু কিশোর তা ছুঁয়েও দেখেননি। স্টুডিওতে এসে হিন্দি অক্ষরে লেখা বাংলা গান রপ্ত করছেন। ‘প্রতিশোধ’ ছবির প্রযোজক ছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। সেই ছবির জন্যই ‘হয়তো আমি কে কারো জানা নেই, আর ‘আজ মিলন তিথির পূর্ণিমা চাঁদ’ গান দুটোর রেকর্ডিং ছিল।
পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় রত্না চ্যাটার্জিকে বললেন, ‘একটা গান হওয়ার পরই কিশোর কুমার স্টুডিও থেকে পালানোর চেষ্টা করবেন। এখান থেকে বের হওয়ার দুটো সিঁড়ি।
আমি একটা পথে থাকব, আপনি আরেকটায়। ও যেন পালাতে না পারে।’
‘হয়তো আমি কে কারো জানা নেই’ হয়ে গেল। পুলক আর রত্না কথামতো দুদিকের দুই সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে রইলেন। কিশোর কুমার কিন্তু পুলকের দিকের সিঁড়িতে এলেন না। পুলক ভাবলেন, যাক! পালাচ্ছিলেন না তাহলে! কিন্তু রেকর্ডিং থিয়েটারে ঢুকতেই দেখলেন, রত্না হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছেন। কী ব্যাপার? রত্না জানালেন, তার দিক দিয়েই পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। অগত্যা পলায়ন সম্ভব হয়নি। ফলে দ্বিতীয় গানটিও গাইতে হলো তাঁকে।
সূত্র: পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, কথায় কথায় রাত হয়ে যায়, পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৯
গান করার আগে কড়ায়-গন্ডায় পাওনা মিটিয়ে না দিলে নানা ছুতোয় রেকর্ডিং স্টুডিওতে যেতেন না কিশোর কুমার। যদি কোনো কারণে হাজির হতেই হতো, তাহলে গান শেষ করার আগেই কোনো এক কথা বলে পালিয়ে যেতেন স্টুডিও থেকে। টাকা দিলেও এক বৈঠকে দুটো গান করে ফেলা কিশোরের জন্য ছিল বিরল ব্যাপার।
তাঁর প্রিয়ভাজন আবদুলই রাখতেন টাকাপয়সার হিসাব। গান শুরু করার আগে কিশোর তাকাতেন আবদুলের দিকে। আবদুল যদি বুড়ো আঙুল দেখাতেন, মানে থামস আপ করতেন, তখনই গানে ঢুকতেন কিশোর। তার আগে নয়।
গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় বহু গবেষণা করে কিশোরের এই আচরণগুলো জেনেছিলেন। এক দিনে যে কিশোর কুমারকে দিয়ে দুটো গান করানো কঠিন ব্যাপার, সেটা তিনি জানতেন। তাই দুটো গান আগে থেকেই দিয়ে রেখেছিলেন কিশোরকে। কিন্তু কিশোর তা ছুঁয়েও দেখেননি। স্টুডিওতে এসে হিন্দি অক্ষরে লেখা বাংলা গান রপ্ত করছেন। ‘প্রতিশোধ’ ছবির প্রযোজক ছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। সেই ছবির জন্যই ‘হয়তো আমি কে কারো জানা নেই, আর ‘আজ মিলন তিথির পূর্ণিমা চাঁদ’ গান দুটোর রেকর্ডিং ছিল।
পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় রত্না চ্যাটার্জিকে বললেন, ‘একটা গান হওয়ার পরই কিশোর কুমার স্টুডিও থেকে পালানোর চেষ্টা করবেন। এখান থেকে বের হওয়ার দুটো সিঁড়ি।
আমি একটা পথে থাকব, আপনি আরেকটায়। ও যেন পালাতে না পারে।’
‘হয়তো আমি কে কারো জানা নেই’ হয়ে গেল। পুলক আর রত্না কথামতো দুদিকের দুই সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে রইলেন। কিশোর কুমার কিন্তু পুলকের দিকের সিঁড়িতে এলেন না। পুলক ভাবলেন, যাক! পালাচ্ছিলেন না তাহলে! কিন্তু রেকর্ডিং থিয়েটারে ঢুকতেই দেখলেন, রত্না হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছেন। কী ব্যাপার? রত্না জানালেন, তার দিক দিয়েই পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। অগত্যা পলায়ন সম্ভব হয়নি। ফলে দ্বিতীয় গানটিও গাইতে হলো তাঁকে।
সূত্র: পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, কথায় কথায় রাত হয়ে যায়, পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৯
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে