মোহরানা স্ত্রীর অধিকার

ইজাজুল হক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২২, ০৬: ২৫
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২২, ১৫: ১২

বিয়ের ক্ষেত্রে মোহরানা স্ত্রীর প্রাপ্য অধিকার। এই অধিকার বুঝিয়ে দিতে বাধ্য তাঁর স্বামী। মোহরানা আদায় বাধ্যতামূলক হওয়ার বিষয়টি কোরআন-হাদিস থেকে প্রমাণিত। তাই এ বিষয়ে সংশয়ের কোনো সুযোগ নেই। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা খুশি মনে স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা দাও।’ (সুরা নিসা: ৪) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ‘পুরুষের জন্য স্ত্রীকে মোহরানা দেওয়া অপরিহার্য এবং তা সন্তুষ্ট চিত্তে দিতে হবে।’

বিয়ের পর কোনো কারণে বিচ্ছেদ হয়ে গেলে কিংবা এক স্ত্রীকে বাদ দিয়ে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করলে মোহরানা ফেরত নেওয়া যাবে না। বরং তা স্ত্রীর নিজস্ব সম্পদ হিসেবে পরিগণিত হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রী গ্রহণের ইচ্ছে করো এবং তাদের একজনকে অঢেল সম্পদও দিয়ে থাক, তবু তা থেকে কিছুই ফিরিয়ে নিয়ো না। তোমরা কি (স্ত্রীর নামে) মিথ্যে দুর্নাম রটিয়ে সুস্পষ্ট গুনাহ করে তা ফেরত নেবে? কেমন করেই বা তোমরা তা গ্রহণ করবে, যখন তোমরা একে অন্যের সঙ্গযাপন করেছ এবং তারা তোমাদের কাছ থেকে শক্ত অঙ্গীকার নিয়েছে?’ (সুরা নিসা: ২০-২১)

মহানবী (সা.) নিজের সকল স্ত্রীকে মোহরানা দিয়েছেন। কন্যাদের বিয়েতেও মোহরানা আদায় করেছেন। সাহাবিদের বিভিন্ন ধরনের মোহরানার বিনিময়ে বিয়ে দিয়েছেন। সচ্ছলদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে গরিবদের মোহরানার বন্দোবস্ত করেছেন। তাই মোহরানা বাধ্যতামূলক হওয়ার ব্যাপারে ইসলামি চিন্তাবিদদের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই।

অবশ্য, স্ত্রী চাইলে তাঁর অধিকার ছেড়ে দিতে পারেন এবং স্বামীকে মোহরানা মাফ করে দিতে পারেন। আল্লাহ বলেন, ‘তবে তারা যদি খুশি মনে তোমাদের তার কিছু অংশ ছেড়ে দেয়, তাহলে তোমরা তা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ করতে পারো।’ (সুরা নিসা: ৪)

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত