Ajker Patrika

অভয়নগরে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি, ক্ষোভ

অভয়নগর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২২, ১২: ১৫
অভয়নগরে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি, ক্ষোভ

অভয়নগরে হাতি দিয়ে সকাল-সন্ধ্যা চাঁদা তোলা হচ্ছে। হাতির মাহুত সেলামির নামে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন আটকিয়ে চাঁদা তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।

সরেজমিন দেখা যায়, অভয়নগরের বিভিন্ন স্থানে হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুত। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরন অনুযায়ী এক শ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। শুধু দোকান নয়, সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায়।

গতকাল মঙ্গলবার নওয়াপাড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রফেসরপাড়া চৌরাস্তা এলাকার একটি মুদির দোকানে হঠাৎ একটি হাতি এসে শুঁড় এগিয়ে দিল। সঙ্গে সঙ্গে মুদির দোকানদার ২০ টাকা হাতিটির শুঁড়ে গুঁজে দিলেন। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই দোকানদার বলেন, ‘টাকা না দিলে যাবে না। তা ছাড়া দেরি হলে অনেক সময় ভাঙচুর করে। এ জন্য ঝামেলা হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে দিলাম।’

এ দিকে হাতির পেছনে পেছনে উৎসুক কচিকাঁচা বাচ্চারা ছুটছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে হাতির মাহুত শ্যামল দাসকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘হাতি দিয়ে চাঁদা তুলছি না, সাহায্য নিচ্ছি। দীর্ঘদিন কোনো অনুষ্ঠান না থাকায় হাতি নিয়ে বিপাকে পড়েছি। তাই হাতিকে খাওয়ানোর জন্য সাহায্য চাইতে চাইতে নিজ বাড়ি বগুড়া থেকে হাতি নিয়ে অভয়নগর পর্যন্ত এসেছি।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে মাহুত শ্যামল দাস বলেন, ‘হাতি দেখে বাচ্চারা পিছু ছুটছে। শত বারণ করলেও তারা শুনছে না।’

নওয়াপাড়া বাজার এলাকার ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন বলেন, ‘মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করা হয়। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে কম-বেশি টাকা তোলা হয়।’

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শামীম হাসান বলেন, ‘হাতি দিয়ে চাঁদা আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত