কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্কুলছাত্রী উম্মে ফাতেমাকে (১৪) অপহরণ ও দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার পরিবার।
গতকাল রোববার সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফাতেমার বাবা খন্দকার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৪ জুলাই মধ্যরাতে আমার একমাত্র কন্যা সন্তান মিরপুর বর্ডার গার্ড স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী উম্মে ফাতেমাকে তাঁর শয়নকক্ষ থেকে অপহরণ হয়। পরদিন উপজেলার ভাঙা বটতলা এলাকায় একটি ভুট্টাখেত থেকে আমার কন্যার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারে দলবেঁধে ধর্ষণ এবং অজ্ঞাতনামায় মামলা রেকর্ড করে। আমার আপত্তি থাকা সত্ত্বেও মামলায় একমাত্র আসামি হিসেবে মিরপুর পৌর এলাকার কুরিপোল মধ্যপাড়ার আপনকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার মোটিভ উদ্ধার করেছেন দাবি করে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খায়রুল আলম সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় আমি পুলিশকে বলেছিলাম, এত বড় ঘটনায় একমাত্র আসামি আপনের পক্ষে ঘটানো অসম্ভব। অথচ আমার আর্তনাদকে কোনো গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ।’
এদিকে গত ৯ নভেম্বর আদালতের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ছাত্রী (১৪) দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের শিকার হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে প্যাঁচানোর কারণে তাঁর গলায় গোলাকার দাগ রয়েছে। বাম চোখের নিচেও আঘাতের কারণে রক্ত জমাট বাঁধা ছিল। পেটে দুটি, গলায় পাঁচটি ও পেছন দিকে কোমরে তিনটি ছুরিকাঘাতের জখম রয়েছে।’
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘ছাত্রীর ঘাড়ের পেছন দিকে ছয়টি ও ডান পায়ের পাতার ওপর ছয়টি স্থানে পোড়ার ক্ষত রয়েছে। যা দেখে বোঝা যায় জ্বলন্ত সিগারেট জাতীয় কিছু দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। ঘাড়ের নিচ থেকে দুই পা পর্যন্ত ফুটন্ত তরল পদার্থ ঢেলে পোড়ানো হয়েছে। মূলত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।’
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার সুতপা রায়, মেডিকেল অফিসার রুমন রহমান ও কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কোনো এক কারণে তাঁর মেয়ের হত্যার মূল ঘটনাকে পুলিশ আড়াল করছে বলে দাবি করে মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ময়নাতদন্ত রিপোর্টে প্রমাণ মিলেছে। সেখানে দলবেঁদে ধর্ষণের পর আমার মেয়েকে হত্যা করার বিষয়টি স্পষ্ট হলেও, এখন পর্যন্ত এর সঙ্গে জড়িতদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ মামলায় একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের আড়ালের চেষ্টা করা হয়েছে।
এ সময় তিনি মামলাটির তদন্তের ভার সিআইডি অথবা পিবিআইকে দেওয়ার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফাতেমার বাবা খন্দকার সাইফুল ইসলাম, মা হালিমা খাতুন, চাচি মোমেনা আফরোজ মনি, চাচা মাহফুজুর রহমান, খন্দকার সোহেল রানা এবং মামা রাজু আহমেদ।
কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্কুলছাত্রী উম্মে ফাতেমাকে (১৪) অপহরণ ও দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার পরিবার।
গতকাল রোববার সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফাতেমার বাবা খন্দকার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৪ জুলাই মধ্যরাতে আমার একমাত্র কন্যা সন্তান মিরপুর বর্ডার গার্ড স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী উম্মে ফাতেমাকে তাঁর শয়নকক্ষ থেকে অপহরণ হয়। পরদিন উপজেলার ভাঙা বটতলা এলাকায় একটি ভুট্টাখেত থেকে আমার কন্যার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারে দলবেঁধে ধর্ষণ এবং অজ্ঞাতনামায় মামলা রেকর্ড করে। আমার আপত্তি থাকা সত্ত্বেও মামলায় একমাত্র আসামি হিসেবে মিরপুর পৌর এলাকার কুরিপোল মধ্যপাড়ার আপনকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার মোটিভ উদ্ধার করেছেন দাবি করে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খায়রুল আলম সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় আমি পুলিশকে বলেছিলাম, এত বড় ঘটনায় একমাত্র আসামি আপনের পক্ষে ঘটানো অসম্ভব। অথচ আমার আর্তনাদকে কোনো গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ।’
এদিকে গত ৯ নভেম্বর আদালতের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ছাত্রী (১৪) দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের শিকার হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে প্যাঁচানোর কারণে তাঁর গলায় গোলাকার দাগ রয়েছে। বাম চোখের নিচেও আঘাতের কারণে রক্ত জমাট বাঁধা ছিল। পেটে দুটি, গলায় পাঁচটি ও পেছন দিকে কোমরে তিনটি ছুরিকাঘাতের জখম রয়েছে।’
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘ছাত্রীর ঘাড়ের পেছন দিকে ছয়টি ও ডান পায়ের পাতার ওপর ছয়টি স্থানে পোড়ার ক্ষত রয়েছে। যা দেখে বোঝা যায় জ্বলন্ত সিগারেট জাতীয় কিছু দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। ঘাড়ের নিচ থেকে দুই পা পর্যন্ত ফুটন্ত তরল পদার্থ ঢেলে পোড়ানো হয়েছে। মূলত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।’
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার সুতপা রায়, মেডিকেল অফিসার রুমন রহমান ও কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কোনো এক কারণে তাঁর মেয়ের হত্যার মূল ঘটনাকে পুলিশ আড়াল করছে বলে দাবি করে মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ময়নাতদন্ত রিপোর্টে প্রমাণ মিলেছে। সেখানে দলবেঁদে ধর্ষণের পর আমার মেয়েকে হত্যা করার বিষয়টি স্পষ্ট হলেও, এখন পর্যন্ত এর সঙ্গে জড়িতদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ মামলায় একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের আড়ালের চেষ্টা করা হয়েছে।
এ সময় তিনি মামলাটির তদন্তের ভার সিআইডি অথবা পিবিআইকে দেওয়ার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফাতেমার বাবা খন্দকার সাইফুল ইসলাম, মা হালিমা খাতুন, চাচি মোমেনা আফরোজ মনি, চাচা মাহফুজুর রহমান, খন্দকার সোহেল রানা এবং মামা রাজু আহমেদ।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে