আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)
মনিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়কের হোগলাডাঙা থেকে হাজিরহাট অংশ এখন মরণফাঁদ। নিরাপদ যাতায়াতের পরিবর্তে এ সড়কে এখন চলতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। সড়কটির তিন কিলোমিটার পথের মধ্যে পাঁচটি স্থান ধসে এক-দেড় ফুট দেবে গেছে। অথচ মাত্র ১০ মাস আগে গত মার্চে সড়কটিতে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, আগে এ রাস্তা ভালো ছিল। এবার সংস্কারের আগে দূর থেকে মাটি না এনে রাস্তার পাশের মাটি কেটে সড়কের পাড় বাঁধা হয়। এ জন্য পিচ ঢালাই দেওয়ার আগেই রাস্তায় ধস নামে। ওই অবস্থায় কোনো রকম গর্ত ভরাট করে সড়ককে পিচ দেওয়ায় এখন এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে গত ১০ মাস রাস্তার এমন বেহাল হলেও তা সংস্কারে উদ্যোগ নেন ঠিকাদার। উদাসীন উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ও। ফলে ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাত হাজার হাজার পথচারীকে এ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যানবাহন এই বুঝি উল্টে গেল, এমন আতঙ্কে পথ চলতে হয় যাত্রীদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কটির হাজিরহাট বাজারের একটু দূরে পাঁচবাড়িয়া কলেজের সামনে ও পাঁচবাড়িয়া বাজারসহ কয়েক স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ধসে হয়েছে বড় গর্ত।
এলাকাবাসী বলছেন, মনিরামপুরের ব্যস্ততম সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম মনিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়ক। নওয়াপাড়া থেকে এ সড়কে অল্প খরচে পণ্য মনিরামপুর হয়ে ঝিকরগাছা ও বেনাপোলে পারাপার করা যায়।
বহু বছর সড়কটি অবহেলিত ছিল। পুরোনো পিচ ও খোয়া উঠে চলাচলের একেবারে অনুপযোগী ছিল সড়কটি। সর্বশেষ আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির ৩ দশমিক ২ কিলোমিটারের কাজ শুরু হয়। কাজের দায়িত্ব পান শাহারুল ইসলাম নামের যশোরের এক ঠিকাদার। নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে গত মার্চে সড়ক সংস্কারের কাজ শেষ হয়। কাজ শেষে মাস না পেরোতেই সড়কের এ অংশের ৫-৬ স্থানে ধস নেমে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। অথচ সে সময় সড়ক সংস্কার হওয়ায় খুশি হয়েছিলেন পথচারীরা। কিন্তু তাঁদের মুখের সেই হাসি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ভেঙে যাওয়া সড়কে যাতায়াতে আবারও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
সড়কটির হোগলাডাঙা থেকে হাজিরহাট বাজার অংশে রাস্তার দুই ধারে বেশ কয়েকটি ডোবা রয়েছে। কংক্রিট দিয়ে ডোবাগুলোর পাড় না বাঁধাই করে রাস্তার কাজ করা হয়েছে। ফলে সড়ক দেবে ডোবায় মিশেছে।
এদিকে কাজ শেষের এক মাসের মাথায় সড়ক ধসে যাওয়ার খবর শুনে তড়িঘড়ি মাটি দিয়ে ভাঙা অংশ ভরাট করা হয়। সেই অংশগুলো এখন ভেঙে বড় হচ্ছে। পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। সম্প্রতি ইটভাটা মালিকেরা ট্রাক যাতায়াতের জন্য নিজেরা কিছু ভাঙা ইট ফেলেছেন গর্তগুলোতে। তাতেও ভোগান্তি কমেনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারের লোকজন ইচ্ছেমতো কাজ করেছে। নিম্নমানের খোয়া দিয়ে রাতের বেলায় কাজ করেছে। তাঁরা বাধা দিয়েছিলেন। ইঞ্জিনিয়ার অফিসে বারবার জানানো হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ শোনেনি। কাজ চলা অবস্থায় কেউ রাস্তা দেখতেও আসেননি।
তবে সড়কটির হাজিরহাট মোড় হতে সুন্দলী বাজারের আগ পর্যন্ত মনিরামপুর অংশের কাজ একই সময়ে শেষ করেছেন অপর এক ঠিকাদার। সরেজমিন সড়কের সেই অংশ এখনো ভালো দেখা গেছে।
পাঁচবাড়িয়া এলাকার দলপতি মণ্ডল বলেন, ‘কাজ শেষ হওয়ার পরপরই রাস্তা ভেঙে গেছে। আর ঠিক হয়নি। মাঝে মধ্যে দেখি মাপামাপি হয়। কাজ হতি দেখলাম না।’
আক্তারুজ্জামান সুমন নামে এক পথচারী বলেন, ‘রাস্তা এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ছোট গাড়ি তো দূরের কথা মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করাও যাচ্ছে না। নওয়াপাড়ায় থেকে অল্প খরচে পণ্য মনিরামপুর হয়ে ঝিকরগাছা ও বেনাপোলে পারাপার করার সহজ পথ এটি। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় এখন আর এ পথে বড় গাড়ি পার হতে পারছে না।’
এদিকে হোগলাডাঙা বাজার-হাজিরহাট সড়কের ভাঙা অংশ নিয়ে দুই দফা আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তখন ঠিকাদারসহ উপজেলা প্রকৌশলী অফিস দ্রুত সড়ক সংস্কার করে দেওয়ার কথা বলেন। পরে আর তাঁরা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেননি।
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, ‘ঠিকাদারের জামানতের মেয়াদ এখনো আছে। আমরা তাঁর জামানত দেব না। ভাঙা অংশ সংস্কারের জন্য নতুন করে প্রাক্কলন দেওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে কাজ শুরু হবে।’
মনিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়কের হোগলাডাঙা থেকে হাজিরহাট অংশ এখন মরণফাঁদ। নিরাপদ যাতায়াতের পরিবর্তে এ সড়কে এখন চলতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। সড়কটির তিন কিলোমিটার পথের মধ্যে পাঁচটি স্থান ধসে এক-দেড় ফুট দেবে গেছে। অথচ মাত্র ১০ মাস আগে গত মার্চে সড়কটিতে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, আগে এ রাস্তা ভালো ছিল। এবার সংস্কারের আগে দূর থেকে মাটি না এনে রাস্তার পাশের মাটি কেটে সড়কের পাড় বাঁধা হয়। এ জন্য পিচ ঢালাই দেওয়ার আগেই রাস্তায় ধস নামে। ওই অবস্থায় কোনো রকম গর্ত ভরাট করে সড়ককে পিচ দেওয়ায় এখন এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে গত ১০ মাস রাস্তার এমন বেহাল হলেও তা সংস্কারে উদ্যোগ নেন ঠিকাদার। উদাসীন উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ও। ফলে ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাত হাজার হাজার পথচারীকে এ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যানবাহন এই বুঝি উল্টে গেল, এমন আতঙ্কে পথ চলতে হয় যাত্রীদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কটির হাজিরহাট বাজারের একটু দূরে পাঁচবাড়িয়া কলেজের সামনে ও পাঁচবাড়িয়া বাজারসহ কয়েক স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ধসে হয়েছে বড় গর্ত।
এলাকাবাসী বলছেন, মনিরামপুরের ব্যস্ততম সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম মনিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়ক। নওয়াপাড়া থেকে এ সড়কে অল্প খরচে পণ্য মনিরামপুর হয়ে ঝিকরগাছা ও বেনাপোলে পারাপার করা যায়।
বহু বছর সড়কটি অবহেলিত ছিল। পুরোনো পিচ ও খোয়া উঠে চলাচলের একেবারে অনুপযোগী ছিল সড়কটি। সর্বশেষ আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির ৩ দশমিক ২ কিলোমিটারের কাজ শুরু হয়। কাজের দায়িত্ব পান শাহারুল ইসলাম নামের যশোরের এক ঠিকাদার। নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে গত মার্চে সড়ক সংস্কারের কাজ শেষ হয়। কাজ শেষে মাস না পেরোতেই সড়কের এ অংশের ৫-৬ স্থানে ধস নেমে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। অথচ সে সময় সড়ক সংস্কার হওয়ায় খুশি হয়েছিলেন পথচারীরা। কিন্তু তাঁদের মুখের সেই হাসি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ভেঙে যাওয়া সড়কে যাতায়াতে আবারও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
সড়কটির হোগলাডাঙা থেকে হাজিরহাট বাজার অংশে রাস্তার দুই ধারে বেশ কয়েকটি ডোবা রয়েছে। কংক্রিট দিয়ে ডোবাগুলোর পাড় না বাঁধাই করে রাস্তার কাজ করা হয়েছে। ফলে সড়ক দেবে ডোবায় মিশেছে।
এদিকে কাজ শেষের এক মাসের মাথায় সড়ক ধসে যাওয়ার খবর শুনে তড়িঘড়ি মাটি দিয়ে ভাঙা অংশ ভরাট করা হয়। সেই অংশগুলো এখন ভেঙে বড় হচ্ছে। পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। সম্প্রতি ইটভাটা মালিকেরা ট্রাক যাতায়াতের জন্য নিজেরা কিছু ভাঙা ইট ফেলেছেন গর্তগুলোতে। তাতেও ভোগান্তি কমেনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারের লোকজন ইচ্ছেমতো কাজ করেছে। নিম্নমানের খোয়া দিয়ে রাতের বেলায় কাজ করেছে। তাঁরা বাধা দিয়েছিলেন। ইঞ্জিনিয়ার অফিসে বারবার জানানো হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ শোনেনি। কাজ চলা অবস্থায় কেউ রাস্তা দেখতেও আসেননি।
তবে সড়কটির হাজিরহাট মোড় হতে সুন্দলী বাজারের আগ পর্যন্ত মনিরামপুর অংশের কাজ একই সময়ে শেষ করেছেন অপর এক ঠিকাদার। সরেজমিন সড়কের সেই অংশ এখনো ভালো দেখা গেছে।
পাঁচবাড়িয়া এলাকার দলপতি মণ্ডল বলেন, ‘কাজ শেষ হওয়ার পরপরই রাস্তা ভেঙে গেছে। আর ঠিক হয়নি। মাঝে মধ্যে দেখি মাপামাপি হয়। কাজ হতি দেখলাম না।’
আক্তারুজ্জামান সুমন নামে এক পথচারী বলেন, ‘রাস্তা এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ছোট গাড়ি তো দূরের কথা মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করাও যাচ্ছে না। নওয়াপাড়ায় থেকে অল্প খরচে পণ্য মনিরামপুর হয়ে ঝিকরগাছা ও বেনাপোলে পারাপার করার সহজ পথ এটি। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় এখন আর এ পথে বড় গাড়ি পার হতে পারছে না।’
এদিকে হোগলাডাঙা বাজার-হাজিরহাট সড়কের ভাঙা অংশ নিয়ে দুই দফা আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তখন ঠিকাদারসহ উপজেলা প্রকৌশলী অফিস দ্রুত সড়ক সংস্কার করে দেওয়ার কথা বলেন। পরে আর তাঁরা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেননি।
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, ‘ঠিকাদারের জামানতের মেয়াদ এখনো আছে। আমরা তাঁর জামানত দেব না। ভাঙা অংশ সংস্কারের জন্য নতুন করে প্রাক্কলন দেওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে কাজ শুরু হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে