মাগুরায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে এক কৃষকের শতাধিক কলাগাছ ও পটোলের খেত বিনষ্ট হয়েছে। গত সোমবার রাতে বাংলাদেশের উপকূল এলাকায় আঘাত হানার সময় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক অজিত বিশ্বাসের বাড়ি সদর উপজেলার পশ্চিম বাড়িওয়ালা গ্রামে।

সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার অজিত বিশ্বাসের খেতে গিয়ে দেখা যায়, দেড় বিঘা জমির শতাধিক ধরন্ত কলাগাছ ভেঙে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক অজিত বিশ্বাস জানান, গত সোমবার রাতে হওয়া ঝড়ে তাঁর খেতের দেড় বিঘার জমির শতাধিক কলাগাছ ভেঙে গেছে। বৈশাখ মাসে এই কলাগাছগুলো রোপণ করেছিলেন। রোপণকৃত ৫০০ কলাগাছের মধ্যে শতাধিক গাছের ক্ষতি হয়েছে।

অজিত বলেন, এ বছর প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার কলা বিক্রি হয়েছে। কলা চাষে এবার তাঁর অনেক ক্ষতি হয়েছে। নতুন করে এখন কলা চাষ করা তাঁর পক্ষে কঠিন। কৃষি বিভাগ থেকে কোনো সহযোগিতা পান না। নিজের ক্ষতি পোষানোর মতো শক্তি-সামর্থ্যও তাঁর নেই।

এই কৃষক আরও বলেন, কলাগাছের পাশাপাশি তাঁর এক বিঘার পটোলের খেত বিনষ্ট হয়েছে। ঝড়ে পটোলের মাচা পড়ে গেছে। অন্যান্য চাষের চেয়ে পটোল চাষে অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়। এক বিঘা জমিতে বাঁশের মাচা তৈরি করতে প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন ঝড়ে খেতের মাচা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। সেগুলো ঠিক করতে নতুন করে বাঁশ কিনতে হবে। তারপর মাচা ঠিক করে পটোল গাছের পরিচর্যা করতে হবে।

অধিকাংশ পটোলই নষ্ট হয়েছে বলে অজিত দাবি করেন। এ বছর পটোল থেকে তাঁর প্রায় ৪০ হাজার টাকা আয় হয়েছে।

মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ন কবীর জানান, সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়নি। কোনো কোনো উপজেলায় ধানের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধানের কোনো ক্ষতি হবে না। ঝড়ে কলাগাছের ক্ষতির বিষয়ে তিনি ওই অঞ্চলের কৃষি বিভাগের মাঠ পরিদর্শককে জানাবেন। কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ বেশি হলে তাঁকে সহযোগিতা করা হবে।