আনিকা জীনাত, ঢাকা
ঘটনার সঙ্গে মিল রেখে জায়গার বর্ণনাও অস্পষ্ট ধারণাকে পরিষ্কার রূপ দেয়। পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান লেখক ঝুম্পা লাহিড়ি বলেছেন, ‘পা নাড়ানো জরুরি নয়, বই পড়লেই ভ্রমণ হয়ে যায়।’ খুব একটা ভুল বলেননি তিনি। ‘ক্লিওপেট্রা’ বইটি পড়লে মিসর নামের দেশটিতে যে মানস ভ্রমণ হয়ে যায়, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
পাতার পর পাতা উল্টে যেমন মানস ভ্রমণ করা যায়, ঠিক তেমনি বই সঙ্গে নিয়েও বেড়াতে যাওয়া যায়। কিন্তু মুশকিল হলো আপনার ট্র্যাভেল ব্যাগে বই থাকলে সেটার ভার আপনাকেই বহন করতে হবে। কোনটা রেখে কোনটা নেবেন, সেটা ঠিক করাও বিড়ম্বনা বটে। অনেক সময় দেখা যায়, কিছুক্ষণ পড়ার পর মনে হয়, এ বইটার চেয়ে ওই বইটা ভালো। মুশকিল হলো, দীর্ঘ বাস যাত্রায় এ কথা মনে করাও পাপ। না পারবেন নতুন বই কিনতে, না পারবেন চুপচাপ বসে থাকতে। এমন কিছু সমস্যা এড়াতে বই পড়ার ডিভাইস কিনতে পারেন। হাতে একটি ই-বুক রিডার থাকলে যেকোনো ধরনের বই পড়তে পারবেন।
ট্যাবলেট পিসির সঙ্গে ই-বুক রিডারের আকৃতিগত মিল থাকলেও একে ট্যাব বলা যাবে না। দুটো ডিভাইসের মধ্যে অনেক ধরনের পার্থক্য আছে। ই-বুকে থাকে ইলেকট্রনিক ইঙ্ক ডিসপ্লে। পেপার বা বইয়ের পাতার সঙ্গে মিল রাখতেই এ ব্যবস্থা।
ইতিহাস
মাত্র ১০ মিনিটেই হাজার শব্দের গল্প পড়ে ফেলার জন্য ডিভাইস তৈরির ভাবনা নতুন নয়। আজ থেকে প্রায় ৯০ বছর আগে বব ব্রাউন তাঁর ‘দা রিডিস’ বইয়ে এমন যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেছিলেন। বাস্তবে বই পড়ার যন্ত্র বাজারে আনতে বহু বছর সময় লেগে যায়। ১৯৯৮ সালে রকেট ই-বুক কোম্পানি প্রথম ই-বুক রিডার বাজারে আনে। জাপানি কোম্পানি সনির তৈরি ই-বুক রিডার বাজারে আসে ২০০৪ সালে।
তবে বাজারের চিত্র পাল্টে দেয় আমাজন কিন্ডল। এটি বাজারে আসার সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই স্টক ফুরিয়ে যায়।
এরপর থেকে ই-বুক রিডার হিসেবে আমাজনের কিন্ডল পেয়েছে বিশেষ পরিচিতি।
কয়েক বছর ধরেই কিন্ডল পেপার হোয়াইট ব্যবহার করছেন আশরাফুল ইসলাম তুসিন। তিনি জানালেন, চোখে আলো না পড়াই ই-বুক রিডারের সবচেয়ে বড় সুবিধা। শুধু বই পড়লে একটানা ২১-৩০ দিন পর্যন্ত চার্জ থাকে। ব্লুটুথ স্পিকার দিয়ে অডিও বুক শুনলে অবশ্য চার্জ দ্রুত ফুরাবে।
সুবিধা
অসুবিধা
যেভাবে বই পড়া যাবে
কিন্ডল কেনার পর আমাজন কিন্ডল অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। এ ছাড়া আরও ৯টি সাইট থেকে ফ্রিতে বই ডাউনলোড করা যাবে। ক্লাসিকসের জন্য প্রজেক্ট গুটেনবার্গ, লেখকদের স্বপ্রকাশিত বই পাবেন স্ম্যাশওয়ার্ডে, সর্বোচ্চ পঠিত বইয়ের তালিকা পেতে ঢুঁ মারতে হবে কিন্ডল স্টোরে। তবে কিন্ডল ডিভাইস ও কিন্ডল অ্যাপের রেজিস্ট্রি না করলে এতে ঢোকা যাবে না। ইন্টারনেট আর্কাইভে আছে কোটি কোটি বই। ওপেন লাইব্রেরি, মেনিবুকস, গুডরিডস, বুকরিক্স ও ডিজিলাইব্রেরিসের ওয়েবসাইটে গিয়েও ফ্রিতে বই ডাউনলোড করা যাবে।
ই-বুক রিডারের দরদাম
সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় আমাজনের কিন্ডল ই-বুক রিডার। এর বাইরে কানাডিয়ান কোম্পানি কোবো, সুইস কোম্পানি পকেটবুক, সনি রিডারের ই-বুক পাওয়া যায়। কত বই রাখা যাবে তা নির্ভর করে স্টোরেজের ওপর। আর স্টোরেজের ওপর নির্ভর করে দাম।
২০০৭ সালে ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজনের তৈরি কিন্ডল বাজারে আসে। তখন এতে মাত্র ১ হাজার ৪০০ বই রাখা যেত। সর্বশেষ ১১তম সংস্করণে রাখা যায় ৯ হাজার থেকে সাড়ে ১৩ হাজার বই। এটি কিনতে খরচ হবে ১৩৯ ডলার। কিনতে পারেন বসুন্ধরা সিটি বা যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে।
ঘটনার সঙ্গে মিল রেখে জায়গার বর্ণনাও অস্পষ্ট ধারণাকে পরিষ্কার রূপ দেয়। পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান লেখক ঝুম্পা লাহিড়ি বলেছেন, ‘পা নাড়ানো জরুরি নয়, বই পড়লেই ভ্রমণ হয়ে যায়।’ খুব একটা ভুল বলেননি তিনি। ‘ক্লিওপেট্রা’ বইটি পড়লে মিসর নামের দেশটিতে যে মানস ভ্রমণ হয়ে যায়, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
পাতার পর পাতা উল্টে যেমন মানস ভ্রমণ করা যায়, ঠিক তেমনি বই সঙ্গে নিয়েও বেড়াতে যাওয়া যায়। কিন্তু মুশকিল হলো আপনার ট্র্যাভেল ব্যাগে বই থাকলে সেটার ভার আপনাকেই বহন করতে হবে। কোনটা রেখে কোনটা নেবেন, সেটা ঠিক করাও বিড়ম্বনা বটে। অনেক সময় দেখা যায়, কিছুক্ষণ পড়ার পর মনে হয়, এ বইটার চেয়ে ওই বইটা ভালো। মুশকিল হলো, দীর্ঘ বাস যাত্রায় এ কথা মনে করাও পাপ। না পারবেন নতুন বই কিনতে, না পারবেন চুপচাপ বসে থাকতে। এমন কিছু সমস্যা এড়াতে বই পড়ার ডিভাইস কিনতে পারেন। হাতে একটি ই-বুক রিডার থাকলে যেকোনো ধরনের বই পড়তে পারবেন।
ট্যাবলেট পিসির সঙ্গে ই-বুক রিডারের আকৃতিগত মিল থাকলেও একে ট্যাব বলা যাবে না। দুটো ডিভাইসের মধ্যে অনেক ধরনের পার্থক্য আছে। ই-বুকে থাকে ইলেকট্রনিক ইঙ্ক ডিসপ্লে। পেপার বা বইয়ের পাতার সঙ্গে মিল রাখতেই এ ব্যবস্থা।
ইতিহাস
মাত্র ১০ মিনিটেই হাজার শব্দের গল্প পড়ে ফেলার জন্য ডিভাইস তৈরির ভাবনা নতুন নয়। আজ থেকে প্রায় ৯০ বছর আগে বব ব্রাউন তাঁর ‘দা রিডিস’ বইয়ে এমন যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেছিলেন। বাস্তবে বই পড়ার যন্ত্র বাজারে আনতে বহু বছর সময় লেগে যায়। ১৯৯৮ সালে রকেট ই-বুক কোম্পানি প্রথম ই-বুক রিডার বাজারে আনে। জাপানি কোম্পানি সনির তৈরি ই-বুক রিডার বাজারে আসে ২০০৪ সালে।
তবে বাজারের চিত্র পাল্টে দেয় আমাজন কিন্ডল। এটি বাজারে আসার সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই স্টক ফুরিয়ে যায়।
এরপর থেকে ই-বুক রিডার হিসেবে আমাজনের কিন্ডল পেয়েছে বিশেষ পরিচিতি।
কয়েক বছর ধরেই কিন্ডল পেপার হোয়াইট ব্যবহার করছেন আশরাফুল ইসলাম তুসিন। তিনি জানালেন, চোখে আলো না পড়াই ই-বুক রিডারের সবচেয়ে বড় সুবিধা। শুধু বই পড়লে একটানা ২১-৩০ দিন পর্যন্ত চার্জ থাকে। ব্লুটুথ স্পিকার দিয়ে অডিও বুক শুনলে অবশ্য চার্জ দ্রুত ফুরাবে।
সুবিধা
অসুবিধা
যেভাবে বই পড়া যাবে
কিন্ডল কেনার পর আমাজন কিন্ডল অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। এ ছাড়া আরও ৯টি সাইট থেকে ফ্রিতে বই ডাউনলোড করা যাবে। ক্লাসিকসের জন্য প্রজেক্ট গুটেনবার্গ, লেখকদের স্বপ্রকাশিত বই পাবেন স্ম্যাশওয়ার্ডে, সর্বোচ্চ পঠিত বইয়ের তালিকা পেতে ঢুঁ মারতে হবে কিন্ডল স্টোরে। তবে কিন্ডল ডিভাইস ও কিন্ডল অ্যাপের রেজিস্ট্রি না করলে এতে ঢোকা যাবে না। ইন্টারনেট আর্কাইভে আছে কোটি কোটি বই। ওপেন লাইব্রেরি, মেনিবুকস, গুডরিডস, বুকরিক্স ও ডিজিলাইব্রেরিসের ওয়েবসাইটে গিয়েও ফ্রিতে বই ডাউনলোড করা যাবে।
ই-বুক রিডারের দরদাম
সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় আমাজনের কিন্ডল ই-বুক রিডার। এর বাইরে কানাডিয়ান কোম্পানি কোবো, সুইস কোম্পানি পকেটবুক, সনি রিডারের ই-বুক পাওয়া যায়। কত বই রাখা যাবে তা নির্ভর করে স্টোরেজের ওপর। আর স্টোরেজের ওপর নির্ভর করে দাম।
২০০৭ সালে ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজনের তৈরি কিন্ডল বাজারে আসে। তখন এতে মাত্র ১ হাজার ৪০০ বই রাখা যেত। সর্বশেষ ১১তম সংস্করণে রাখা যায় ৯ হাজার থেকে সাড়ে ১৩ হাজার বই। এটি কিনতে খরচ হবে ১৩৯ ডলার। কিনতে পারেন বসুন্ধরা সিটি বা যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪