আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর
যশোরের মনিরামপুরে ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত ২৯২ ঘরের মধ্যে অর্ধশতাধিক খালি পড়ে আছে। এক বছর আগে ঘরগুলো ভূমিহীনদের বুঝে দেওয়া হলেও এসব ঘরে এখনো কেউ ওঠেননি। ঘর দখলে রেখে তালা মেরে তাঁরা থাকছেন নিজের বা পৈতৃক ভিটায়।
এ ছাড়া এমন আরও ৩০-৪০টি ঘর আছে, যেখানে কেউ নিয়মিত থাকছেন না। বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিরা মাঝেমধ্যে এসব ঘরে থাকলেও বেশির ভাগ সময় থাকেন আগে থেকে বাস করে আসা নিজের বা পৈতৃক বাড়িতে। প্রকৃত ভূমিহীন নির্বাচন করে ঘর বরাদ্দ না দেওয়ায় এমনটি ঘটছে বলে সরেজমিন অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
এদিকে দীর্ঘদিন খালি পড়ে থাকায় উপজেলার ৩৫টি ঘর নতুন করে অন্যদের বরাদ্দ দেওয়ার জন্য তালিকা প্রস্তুত করেছে প্রশাসন। তালিকা দ্রুত জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হবে বলেও জানা গেছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আশপাশের বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রকৃত ভূমিহীনরা ঘর পায়নি। যাঁরা ঘর পেয়েছেন তাঁদের অধিকাংশের ফসলি জমি বা বসত ভিটা আছে। সঠিক যাচাইবাছাই না করে অর্থের বিনিময়ে ঘর বরাদ্দ দেওয়ায় বেশির ভাগ ঘর খালি পড়ে আছে।
পাকা ঘরের মালিক, সম্পদশালীর ছেলে, অবিবাহিত কিশোর, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের বাবা বা সন্তান এমনকি অন্য উপজেলার বাসিন্দারাও পেয়েছেন মনিরামপুরের সরকারি ঘর।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের জন্য গত বছর মনিরামপুরে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯২টি ঘর নির্মিত হয়েছে। সংযুক্ত টয়লেট, রান্নাঘর ও বারান্দাসহ দুই কক্ষের রঙিন টিনের চার চালার প্রতিটি ঘরে তৈরির জন্য ব্যয় ধরা হয় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
এর মধ্যে উপজেলার মাছনায় ৬৬ টি, হাজরাইলে ৫৯ টি, মধুপুরে ৩৭ টি, শিরালীতে ৩৭টি ও মশ্মিমনগরে ৩৩টি ঘর রয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঘরগুলোর মধ্যে মাছনায় ১০টি, হাজরাইলে ১৬ টি, শিরালীতে ১১ টি, মধুপুরে দুই পল্লিতে ১৮টি এবং মশ্মিমনগরে একটি ঘর তালাবদ্ধ খালি পড়ে আছে। এ ছাড়া এমন আরও ৩০-৪০টি ঘর আছে যেখানে নিয়মিত থাকছেন না কেউ।
এ দিকে পুরোনো ঘর ফাঁকা পড়ে থাকলেও মনিরামপুরের মশ্মিমনগর, শ্যামকুড় ও খেদাপাড়ার হেলাঞ্চি এলাকায় ভূমিহীনদের জন্য নতুন করে আরও ১৫টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। নতুন এসব ঘরে প্রতিটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ঘর বিতরণে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে মধুপুরে। এখানে দুই ব্যক্তির দখলে রয়েছে ১২টি ঘর। এজাজুল হক মধু নামে ওই এলাকার এক মুদি ব্যবসায়ীর দৃষ্টিনন্দন পাকা বাড়ি থাকতেও তিনি নিজের, দুই মেয়ে, বোন, ভাগনি ও ভাইঝির নামে ৬টি ঘর নিয়েছেন। মধুর দখলের ঘরগুলো শুরু থেকে তালাবদ্ধ খালি পড়ে আছে।
একই পল্লিতে স্ত্রীর নামে ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন ওসমান হোসেন নামের এক ব্যক্তি, যার পাকা ঘর রয়েছে।
একাধিক ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছনার ১০ টি, হাজরাইলের ১৬ টি, শিরালীর ছয়টি, মধুপুরের ছয়টি ও মশ্মিমনগরে একটি ঘরসহ মোট ৩৯টি ঘরের বরাদ্দ বাতিলের জন্য তালিকা করা হয়েছে। এসব ঘর নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
খানপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ বলেন, ‘মাছনায় ১০টি ঘর ফাঁকা ছিল। আমরা নয়টি ঘরে নতুন লোক উঠিয়ে দিয়েছি। এ ১০টি ঘরের বরাদ্দ বাতিল করে নতুনদের নামে বরাদ্দের আবেদন করা হবে।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘উপজেলায় ৩৫টি ঘর নতুন করে বরাদ্দের জন্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।’
যশোরের মনিরামপুরে ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত ২৯২ ঘরের মধ্যে অর্ধশতাধিক খালি পড়ে আছে। এক বছর আগে ঘরগুলো ভূমিহীনদের বুঝে দেওয়া হলেও এসব ঘরে এখনো কেউ ওঠেননি। ঘর দখলে রেখে তালা মেরে তাঁরা থাকছেন নিজের বা পৈতৃক ভিটায়।
এ ছাড়া এমন আরও ৩০-৪০টি ঘর আছে, যেখানে কেউ নিয়মিত থাকছেন না। বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিরা মাঝেমধ্যে এসব ঘরে থাকলেও বেশির ভাগ সময় থাকেন আগে থেকে বাস করে আসা নিজের বা পৈতৃক বাড়িতে। প্রকৃত ভূমিহীন নির্বাচন করে ঘর বরাদ্দ না দেওয়ায় এমনটি ঘটছে বলে সরেজমিন অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
এদিকে দীর্ঘদিন খালি পড়ে থাকায় উপজেলার ৩৫টি ঘর নতুন করে অন্যদের বরাদ্দ দেওয়ার জন্য তালিকা প্রস্তুত করেছে প্রশাসন। তালিকা দ্রুত জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হবে বলেও জানা গেছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আশপাশের বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রকৃত ভূমিহীনরা ঘর পায়নি। যাঁরা ঘর পেয়েছেন তাঁদের অধিকাংশের ফসলি জমি বা বসত ভিটা আছে। সঠিক যাচাইবাছাই না করে অর্থের বিনিময়ে ঘর বরাদ্দ দেওয়ায় বেশির ভাগ ঘর খালি পড়ে আছে।
পাকা ঘরের মালিক, সম্পদশালীর ছেলে, অবিবাহিত কিশোর, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের বাবা বা সন্তান এমনকি অন্য উপজেলার বাসিন্দারাও পেয়েছেন মনিরামপুরের সরকারি ঘর।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের জন্য গত বছর মনিরামপুরে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯২টি ঘর নির্মিত হয়েছে। সংযুক্ত টয়লেট, রান্নাঘর ও বারান্দাসহ দুই কক্ষের রঙিন টিনের চার চালার প্রতিটি ঘরে তৈরির জন্য ব্যয় ধরা হয় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
এর মধ্যে উপজেলার মাছনায় ৬৬ টি, হাজরাইলে ৫৯ টি, মধুপুরে ৩৭ টি, শিরালীতে ৩৭টি ও মশ্মিমনগরে ৩৩টি ঘর রয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঘরগুলোর মধ্যে মাছনায় ১০টি, হাজরাইলে ১৬ টি, শিরালীতে ১১ টি, মধুপুরে দুই পল্লিতে ১৮টি এবং মশ্মিমনগরে একটি ঘর তালাবদ্ধ খালি পড়ে আছে। এ ছাড়া এমন আরও ৩০-৪০টি ঘর আছে যেখানে নিয়মিত থাকছেন না কেউ।
এ দিকে পুরোনো ঘর ফাঁকা পড়ে থাকলেও মনিরামপুরের মশ্মিমনগর, শ্যামকুড় ও খেদাপাড়ার হেলাঞ্চি এলাকায় ভূমিহীনদের জন্য নতুন করে আরও ১৫টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। নতুন এসব ঘরে প্রতিটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ঘর বিতরণে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে মধুপুরে। এখানে দুই ব্যক্তির দখলে রয়েছে ১২টি ঘর। এজাজুল হক মধু নামে ওই এলাকার এক মুদি ব্যবসায়ীর দৃষ্টিনন্দন পাকা বাড়ি থাকতেও তিনি নিজের, দুই মেয়ে, বোন, ভাগনি ও ভাইঝির নামে ৬টি ঘর নিয়েছেন। মধুর দখলের ঘরগুলো শুরু থেকে তালাবদ্ধ খালি পড়ে আছে।
একই পল্লিতে স্ত্রীর নামে ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন ওসমান হোসেন নামের এক ব্যক্তি, যার পাকা ঘর রয়েছে।
একাধিক ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছনার ১০ টি, হাজরাইলের ১৬ টি, শিরালীর ছয়টি, মধুপুরের ছয়টি ও মশ্মিমনগরে একটি ঘরসহ মোট ৩৯টি ঘরের বরাদ্দ বাতিলের জন্য তালিকা করা হয়েছে। এসব ঘর নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
খানপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ বলেন, ‘মাছনায় ১০টি ঘর ফাঁকা ছিল। আমরা নয়টি ঘরে নতুন লোক উঠিয়ে দিয়েছি। এ ১০টি ঘরের বরাদ্দ বাতিল করে নতুনদের নামে বরাদ্দের আবেদন করা হবে।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘উপজেলায় ৩৫টি ঘর নতুন করে বরাদ্দের জন্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৩ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে