জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর
জামালপুরে ঠান্ডায় বাড়ছে সর্দি জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। জামালপুরে জেলা সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে নতুন রোগী।
চিকিৎসকেরা বলছেন, শীত বাড়ায় এক সপ্তাহ ধরে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হন। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যারা বেশি আক্রান্ত তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চার মাস বয়সী শিশু নাবিল ঠান্ডা নিয়ে দুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার মা সাদিয়া জানান, প্রচণ্ড শীতে তার ছেলে ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়েছে। দুই দিন ধরে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আছেন। পাথালিয়া গ্রামের ৫ মাস বয়সের সাদিক শেখ ৩ দিন ধরে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি আছে। তার মা সুরাইয়া আক্তার বলেন, ঠান্ডা নিয়ে হাসপাতালে আসলে চিকিৎসকেরা ভর্তি করেন। এখন আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো। সাড়ে ৪ মাসের শিশু আল সাফিকে নিয়ে মা সাফিয়া খাতুন এসেছেন মেলান্দহ উপজেলার ভাবকী থেকে। ৭ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিছুটা সুস্থ অনুভব করছেন। জামালপুর সদর উপজেলার দরিহামিপুর গ্রামের সাবিনা আক্তার বলেন, তার দুই মাসের শিশু ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। ৩ দিন ধরে হাসপাতালে তার শিশুর চিকিৎসা চলছে। এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আরও কয়েক দিন থাকার কথা বলেছেন ডাক্তারেরা। তবে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় তিনি খুশি। এ ছাড়া মুরাজ (৩), ইলমা (২ মাস) শুভ (৪ মাস) এবং আব্দুর রহমান (২ মাস) হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। তাদের পরিবারে সদস্যরা জানান, টানা শীতে তাদের শিশুরা ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা তাদের ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছে। তবে তাদের শিশুদের বাইরে কোনো কোনো ওষুধপত্র কিনতে হয়নি। হাসপাতালের ওষুধপত্র দিয়ে চিকিৎসা সেবা হচ্ছে। হাসপাতালে আসা মেলান্দহ উপজেলার মরিয়ম বেগম (৫৫) বলেন, ৪-৫ দিনের শীতে প্রচণ্ড ঠান্ডা আর কাঁশি নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। ডাক্তাররা দেখে ওষুধ দিচ্ছে বাড়িতে যাচ্ছি।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি শিশুর সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে ৮০ জনের ওপরে। গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে শিশু ওয়ার্ডে ঠান্ডা নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী ভর্তি আছে ৮৯ জন। তাদের অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩ দিন থেকে ৭ দিন ধরে। অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। গত ৭ দিনে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ৫৬০ জন শিশু ঠান্ডাজনিত এবং জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এইসব শিশুদের বেশির ভাগই আসছেন উপজেলাগুলো থেকে। চরাঞ্চলে শীত বেশি হওয়ায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, টানা শীতে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বহির্বিভাগে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। বেশি আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হচ্ছে। ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ আছে। কোনো সমস্যা নেই। শীতে শিশু এবং বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে ঠান্ডায় শিশুদের প্রতি বেশি নজর রাখতে হবে। গরম কাপড়চোপড় দিয়ে রাখতে হবে যেন তাদের ঠান্ডা না লাগে। জামালপুর জেলার ৬ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও ঠান্ডা জনিত রোগী ভর্তির খবর পাওয়া গেছে।
জামালপুরে ঠান্ডায় বাড়ছে সর্দি জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। জামালপুরে জেলা সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে নতুন রোগী।
চিকিৎসকেরা বলছেন, শীত বাড়ায় এক সপ্তাহ ধরে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হন। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যারা বেশি আক্রান্ত তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চার মাস বয়সী শিশু নাবিল ঠান্ডা নিয়ে দুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার মা সাদিয়া জানান, প্রচণ্ড শীতে তার ছেলে ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়েছে। দুই দিন ধরে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আছেন। পাথালিয়া গ্রামের ৫ মাস বয়সের সাদিক শেখ ৩ দিন ধরে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি আছে। তার মা সুরাইয়া আক্তার বলেন, ঠান্ডা নিয়ে হাসপাতালে আসলে চিকিৎসকেরা ভর্তি করেন। এখন আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো। সাড়ে ৪ মাসের শিশু আল সাফিকে নিয়ে মা সাফিয়া খাতুন এসেছেন মেলান্দহ উপজেলার ভাবকী থেকে। ৭ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিছুটা সুস্থ অনুভব করছেন। জামালপুর সদর উপজেলার দরিহামিপুর গ্রামের সাবিনা আক্তার বলেন, তার দুই মাসের শিশু ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। ৩ দিন ধরে হাসপাতালে তার শিশুর চিকিৎসা চলছে। এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আরও কয়েক দিন থাকার কথা বলেছেন ডাক্তারেরা। তবে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় তিনি খুশি। এ ছাড়া মুরাজ (৩), ইলমা (২ মাস) শুভ (৪ মাস) এবং আব্দুর রহমান (২ মাস) হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। তাদের পরিবারে সদস্যরা জানান, টানা শীতে তাদের শিশুরা ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা তাদের ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছে। তবে তাদের শিশুদের বাইরে কোনো কোনো ওষুধপত্র কিনতে হয়নি। হাসপাতালের ওষুধপত্র দিয়ে চিকিৎসা সেবা হচ্ছে। হাসপাতালে আসা মেলান্দহ উপজেলার মরিয়ম বেগম (৫৫) বলেন, ৪-৫ দিনের শীতে প্রচণ্ড ঠান্ডা আর কাঁশি নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। ডাক্তাররা দেখে ওষুধ দিচ্ছে বাড়িতে যাচ্ছি।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি শিশুর সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে ৮০ জনের ওপরে। গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে শিশু ওয়ার্ডে ঠান্ডা নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী ভর্তি আছে ৮৯ জন। তাদের অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩ দিন থেকে ৭ দিন ধরে। অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। গত ৭ দিনে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ৫৬০ জন শিশু ঠান্ডাজনিত এবং জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এইসব শিশুদের বেশির ভাগই আসছেন উপজেলাগুলো থেকে। চরাঞ্চলে শীত বেশি হওয়ায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, টানা শীতে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বহির্বিভাগে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। বেশি আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হচ্ছে। ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ আছে। কোনো সমস্যা নেই। শীতে শিশু এবং বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে ঠান্ডায় শিশুদের প্রতি বেশি নজর রাখতে হবে। গরম কাপড়চোপড় দিয়ে রাখতে হবে যেন তাদের ঠান্ডা না লাগে। জামালপুর জেলার ৬ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও ঠান্ডা জনিত রোগী ভর্তির খবর পাওয়া গেছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে