জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর
জামালপুরে টানা কয়েক দিনের তীব্র গরমে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে হাসপাতালে। গতকাল বুধবার ভোর থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ১৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় তিন থেকে চারজন রোগী ভর্তি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৭২ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। এ ছাড়া নারী ও বয়স্ক রোগীরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে ধারণক্ষমতার চেয়ে তিন গুণ রোগী ভর্তি আছে বলে জানিয়েছেন নার্সরা।
নার্সরা জানিয়েছেন, রোগীর সংকুলান না হওয়ায় মেঝে কিংবা এক বিছানায় দুজন করে রোগী রাখা হয়েছে। গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের চারতলায় ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগী ও তাদের স্বজনদের প্রচণ্ড ভিড়। শয্যা না থাকায় মেঝেতে বিছানা করে রয়েছে অনেকেই।
মেলান্দহ উপজেলার ভাবকী থেকে রোকেয়া বেগম তাঁর ৯ মাসের শিশুসন্তান রাফিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তিনি বলেন, রাফি পাঁচ দিন ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল সকালে তিনি হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। তার অবস্থা এখনো ভালো হয়নি।
দুই দিন ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শহরের গোলাপবাগ এলাকার নজরুল ইসলাম। তাঁকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। বাবার পাশে বসে থাকা মেয়ে নাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘হঠাৎ করেই বাবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তাঁর চিকিৎসা চলছে।’
ফুলবাড়িয়া গ্রামের রহিমা খাতুন তাঁর ১৯ মাসের শিশুসন্তানকে গত মঙ্গলবার হাসপাতালে নিয়ে আসেন। গতকাল চিকিৎসকেরা ওষুধপত্র দিয়ে ছুটি দিয়েছেন। এখন অনেকটাই ভালো বলে জানান রহিমা খাতুন। এদিকে আমেনা বেগম ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় স্বামী কুরবান আলী তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তাঁর স্বামী বলেন, ‘গত সোমবার ইফতারের পর থেকে ডায়রিয়া শুরু হয়। অনেক ওষুধ খাওয়ানোর পরও ভালো হচ্ছিল না। তাই হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কিন্তু কোনো শয্যা নেই, মেঝেতেই বিছানা করা হয়েছে।’
জামালপুর পৌর শহরের চন্দ্রা এলাকার সাদিয়া আক্তারও ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি চার দিন ধরে অসুস্থ। কোনোভাবেই সুস্থ হচ্ছিলেন না। ফলে তিনি গতকাল সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা আছে ২৪টি। গতকাল ভোর থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১৫ জন রোগী ভর্তি হয়। ওই সময় পর্যন্ত হাসপাতালে ৭২ জন রোগী ভর্তি ছিল, যা শয্যার তুলনায় প্রায় তিন গুণ। তাদের মধ্যে ৩৩টি শিশু। রোগীদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। অধিকাংশই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। জেলা শহর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রোগীরাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
হাসপাতালের নার্স সাফিয়া আক্তার বলেন, ‘সকাল থেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে শয্যার চেয়ে রোগীর চাপ বেড়েছে। অনেক রোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।’
জামালপুরের সিভিল সার্জন প্রনয় কান্তি দাস বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয় ডায়রিয়া মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা রয়েছে। ছয়টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে। সব চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ডায়রিয়া মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে। ডায়রিয়ার স্যালাইনসহ সব ধরনের ওষুধপত্র পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
হঠাৎ করেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে খোলা ইফতার এবং পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াকে দায়ী করছেন সিভিল সার্জন।
জামালপুরে টানা কয়েক দিনের তীব্র গরমে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে হাসপাতালে। গতকাল বুধবার ভোর থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ১৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় তিন থেকে চারজন রোগী ভর্তি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৭২ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। এ ছাড়া নারী ও বয়স্ক রোগীরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে ধারণক্ষমতার চেয়ে তিন গুণ রোগী ভর্তি আছে বলে জানিয়েছেন নার্সরা।
নার্সরা জানিয়েছেন, রোগীর সংকুলান না হওয়ায় মেঝে কিংবা এক বিছানায় দুজন করে রোগী রাখা হয়েছে। গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের চারতলায় ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগী ও তাদের স্বজনদের প্রচণ্ড ভিড়। শয্যা না থাকায় মেঝেতে বিছানা করে রয়েছে অনেকেই।
মেলান্দহ উপজেলার ভাবকী থেকে রোকেয়া বেগম তাঁর ৯ মাসের শিশুসন্তান রাফিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তিনি বলেন, রাফি পাঁচ দিন ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল সকালে তিনি হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। তার অবস্থা এখনো ভালো হয়নি।
দুই দিন ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শহরের গোলাপবাগ এলাকার নজরুল ইসলাম। তাঁকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। বাবার পাশে বসে থাকা মেয়ে নাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘হঠাৎ করেই বাবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তাঁর চিকিৎসা চলছে।’
ফুলবাড়িয়া গ্রামের রহিমা খাতুন তাঁর ১৯ মাসের শিশুসন্তানকে গত মঙ্গলবার হাসপাতালে নিয়ে আসেন। গতকাল চিকিৎসকেরা ওষুধপত্র দিয়ে ছুটি দিয়েছেন। এখন অনেকটাই ভালো বলে জানান রহিমা খাতুন। এদিকে আমেনা বেগম ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় স্বামী কুরবান আলী তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তাঁর স্বামী বলেন, ‘গত সোমবার ইফতারের পর থেকে ডায়রিয়া শুরু হয়। অনেক ওষুধ খাওয়ানোর পরও ভালো হচ্ছিল না। তাই হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কিন্তু কোনো শয্যা নেই, মেঝেতেই বিছানা করা হয়েছে।’
জামালপুর পৌর শহরের চন্দ্রা এলাকার সাদিয়া আক্তারও ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি চার দিন ধরে অসুস্থ। কোনোভাবেই সুস্থ হচ্ছিলেন না। ফলে তিনি গতকাল সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা আছে ২৪টি। গতকাল ভোর থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১৫ জন রোগী ভর্তি হয়। ওই সময় পর্যন্ত হাসপাতালে ৭২ জন রোগী ভর্তি ছিল, যা শয্যার তুলনায় প্রায় তিন গুণ। তাদের মধ্যে ৩৩টি শিশু। রোগীদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। অধিকাংশই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। জেলা শহর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রোগীরাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
হাসপাতালের নার্স সাফিয়া আক্তার বলেন, ‘সকাল থেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে শয্যার চেয়ে রোগীর চাপ বেড়েছে। অনেক রোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।’
জামালপুরের সিভিল সার্জন প্রনয় কান্তি দাস বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয় ডায়রিয়া মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা রয়েছে। ছয়টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে। সব চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ডায়রিয়া মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে। ডায়রিয়ার স্যালাইনসহ সব ধরনের ওষুধপত্র পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
হঠাৎ করেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে খোলা ইফতার এবং পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াকে দায়ী করছেন সিভিল সার্জন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে