হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
ওয়াসার ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ছোট-বড় খাল আছে ৫৭টি। এর মধ্যে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অধীনে ৩৬টি খাল সংস্কারের কাজ চলছে। তবে বাকি ২১ খাল নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। গত ৫ বছরে ওই খালগুলো নিয়ে কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি।
খাল-নালা পরিষ্কার করা যে সংস্থার কাজ, সেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনও (চসিক) এই সময়ে ২১টি খাল সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। উল্টো জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অজুহাতে খালগুলোর নিয়মিত সংস্কারকাজ বন্ধ রেখেছে সংস্থাটি। ফলে খালগুলো পরিণত হয়েছে ময়লা-আবর্জনার ডিপোতে।
চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতার বাইরে থাকা ২১ খালের তালিকা আমরা সিডিএর কাছে চেয়েছি। সে জন্য তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখনো তারা ওই তালিকা সরবরাহ করেননি। তালিকা পেলে এসব খাল সংস্কারের উদ্যোগ নেব।’
তবে তাঁর ওই বক্তব্যকে ‘হাস্যকর’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) এক প্রকৌশলী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘ওই প্রকল্পের আগে চসিক নগরীর সব খাল-নালা পরিষ্কার করত। তাদের কাছে নগরীর ৫৭টি খালের তথ্য থাকার কথা। প্রকল্পের অধীনে যে খালগুলোর কাজ হচ্ছে সেগুলো বাদ দিলেই বাকি ২১টি খালের তথ্য পেয়ে যাচ্ছে। এর জন্য আমাদের কাছে তাদের তথ্য চাইতে হবে কেন?’
এই তালিকা চাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই প্রকৌশলী। বললেন, ‘নিজেদের কাজ অন্যের দিকে ঠেলে দিতেই তারা এই অজুহাত দাঁড় করিয়েছে।’
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় থাকা ৩৬ ও বাইরে থাকা ২১ খালের তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রকল্পটির বাইরে থাকা খালগুলোর অধিকাংশই নগরীর প্রান্তিক এলাকায় অবস্থিত। ওই ২১টি খাল হলো কালুরঘাটের বাইজ্জা খাল ও বালুখালী খাল, অক্সিজেন-কুয়াইশ লিংক রোডের কৃষ্ণাখালী খাল, কাপ্তাই সড়কের শেখ মার্কেট সংলগ্ন কুয়াইশ খাল, কালুরঘাট রেল সেতু এলাকার ফরেস্ট খাল, উত্তর সলিমপুরের বৈরাগ্য ছড়া খাল, ভাটিয়ারির ধামাইর খাল, নেভাল একাডেমি এলাকার ১ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, চরপাড়ার দুই নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, সিইপিজেড এলাকার ৯ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, হোসাইন আহমেদ পাড়ার ৮ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, আনন্দ বাজার এলাকার ১০ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, কাট্টলীর উত্তর হালিশহরের ১১ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, উত্তর কাট্টলীর ১২ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, লতিফপুর এলাকার ১৩ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, সলিমপুরের ১৪ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল ও ১৫ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল এবং বাংলা বাজারের ১৬ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল। এই ২১টি খাল মোট ৬৫ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর মধ্যে দশমিক ৯ কিলোমিটার থেকে ৫ দশমিক ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত লম্বা খাল আছে। এসব খাল ১০ মিটার থেকে ২১ মিটার পর্যন্ত চওড়া।
ওই খালগুলো সংস্কার করা না হলে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতার দুর্ভোগের অবসান হবে না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরুর সময় আমরা বলেছিলাম, নগরীর জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে ৫৭টি খালের সবগুলো সংস্কার করতে হবে। না হলে প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবে না।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১টি খালকেও জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে এগুলো সংস্কারে আলাদা প্রকল্প নিতে হবে। এ নিয়ে গড়িমসি করলে নগরে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ কয়েক বছরেও শেষ হবে না।
ওয়াসার ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ছোট-বড় খাল আছে ৫৭টি। এর মধ্যে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অধীনে ৩৬টি খাল সংস্কারের কাজ চলছে। তবে বাকি ২১ খাল নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। গত ৫ বছরে ওই খালগুলো নিয়ে কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি।
খাল-নালা পরিষ্কার করা যে সংস্থার কাজ, সেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনও (চসিক) এই সময়ে ২১টি খাল সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। উল্টো জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অজুহাতে খালগুলোর নিয়মিত সংস্কারকাজ বন্ধ রেখেছে সংস্থাটি। ফলে খালগুলো পরিণত হয়েছে ময়লা-আবর্জনার ডিপোতে।
চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতার বাইরে থাকা ২১ খালের তালিকা আমরা সিডিএর কাছে চেয়েছি। সে জন্য তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখনো তারা ওই তালিকা সরবরাহ করেননি। তালিকা পেলে এসব খাল সংস্কারের উদ্যোগ নেব।’
তবে তাঁর ওই বক্তব্যকে ‘হাস্যকর’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) এক প্রকৌশলী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘ওই প্রকল্পের আগে চসিক নগরীর সব খাল-নালা পরিষ্কার করত। তাদের কাছে নগরীর ৫৭টি খালের তথ্য থাকার কথা। প্রকল্পের অধীনে যে খালগুলোর কাজ হচ্ছে সেগুলো বাদ দিলেই বাকি ২১টি খালের তথ্য পেয়ে যাচ্ছে। এর জন্য আমাদের কাছে তাদের তথ্য চাইতে হবে কেন?’
এই তালিকা চাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই প্রকৌশলী। বললেন, ‘নিজেদের কাজ অন্যের দিকে ঠেলে দিতেই তারা এই অজুহাত দাঁড় করিয়েছে।’
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় থাকা ৩৬ ও বাইরে থাকা ২১ খালের তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রকল্পটির বাইরে থাকা খালগুলোর অধিকাংশই নগরীর প্রান্তিক এলাকায় অবস্থিত। ওই ২১টি খাল হলো কালুরঘাটের বাইজ্জা খাল ও বালুখালী খাল, অক্সিজেন-কুয়াইশ লিংক রোডের কৃষ্ণাখালী খাল, কাপ্তাই সড়কের শেখ মার্কেট সংলগ্ন কুয়াইশ খাল, কালুরঘাট রেল সেতু এলাকার ফরেস্ট খাল, উত্তর সলিমপুরের বৈরাগ্য ছড়া খাল, ভাটিয়ারির ধামাইর খাল, নেভাল একাডেমি এলাকার ১ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, চরপাড়ার দুই নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, সিইপিজেড এলাকার ৯ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, হোসাইন আহমেদ পাড়ার ৮ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, আনন্দ বাজার এলাকার ১০ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, কাট্টলীর উত্তর হালিশহরের ১১ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, উত্তর কাট্টলীর ১২ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, লতিফপুর এলাকার ১৩ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল, সলিমপুরের ১৪ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল ও ১৫ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল এবং বাংলা বাজারের ১৬ নম্বর স্লুইসগেট সংযোগ খাল। এই ২১টি খাল মোট ৬৫ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর মধ্যে দশমিক ৯ কিলোমিটার থেকে ৫ দশমিক ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত লম্বা খাল আছে। এসব খাল ১০ মিটার থেকে ২১ মিটার পর্যন্ত চওড়া।
ওই খালগুলো সংস্কার করা না হলে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতার দুর্ভোগের অবসান হবে না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরুর সময় আমরা বলেছিলাম, নগরীর জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে ৫৭টি খালের সবগুলো সংস্কার করতে হবে। না হলে প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবে না।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১টি খালকেও জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে এগুলো সংস্কারে আলাদা প্রকল্প নিতে হবে। এ নিয়ে গড়িমসি করলে নগরে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ কয়েক বছরেও শেষ হবে না।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে