সখীপুর প্রতিনিধি
সখীপুর পোস্টঅফিসে সঞ্চয়পত্রের টাকা তুলতে প্রতিনিয়ত গ্রাহক ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া পোস্টমাস্টার দেলোয়ার হোসেনের অসৌজন্যমূলক আচরণেও ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত বেশির ভাগ গ্রাহক। গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজন সঞ্চয়পত্র গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
কয়েকজন গ্রাহক পোস্টমাস্টার জেনারেল কেন্দ্রীয় সার্কেল বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন মৌখিক অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগ হাতে পেলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরদিকে পোস্ট মাস্টার দেলোয়ার হোসেন বলছেন, তাঁর বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ সত্য নয়।
সরেজমিন পরিদর্শন ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় তিন মাস আগে পোস্টমাস্টার দেলোয়ার হোসেন সখীপুরে যোগদান করেন। তারপর থেকেই সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও মেয়াদ শেষ (ম্যাচিউর) হওয়ার পর আসল টাকা তুলতে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে গ্রাহকদের। নিয়ম-বহির্ভূতভাবে মুনাফা থেকে টাকা কেটে রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া টাকা তুলতেও গ্রাহকের কাছে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হচ্ছে।
বংশী নগর এলাকার রওশন আরা জানান, সখীপুর উপজেলা পোস্ট অফিসে তাঁর তিন বছর মেয়াদি পনেরো লাখ টাকার একটি সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ (ম্যাচিউর) হয়েছে। দুই মাস আগে টাকা উত্তোলনের জন্য বই জমা দেন। ওই পোস্টমাস্টার প্রথমে দুই হাজার টাকা এবং পরে টাকার অঙ্ক বেশি বলে চার হাজার টাকা দাবি করেন।
রওশন আরা বলেন, ‘টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় টাঙ্গাইল গিয়ে বই নিয়ে আসতে হবে বলে জানান। পরে বইয়ের জন্য টাঙ্গাইল গিয়ে জানতে পারি, ওই বইটি বেশ কয়েক দিন আগেই সখীপুরের পোস্টমাস্টার নিজে সই করে নিয়ে গেছেন। টাকার জন্য সখীপুর পোস্ট অফিসে গেলে পোস্টমাস্টার আমাকে নানাভাবে কটূক্তি করেন।’
পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক পোস্টমাস্টার জেনারেল কেন্দ্রীয় সার্কেল বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে তিনি প্রতি মাসে ১২ হাজার ৯৬ টাকা পান। নতুন পোস্টমাস্টার প্রতি মাসেই ওই ৯৬ টাকা হাতে কেটে রেখে দিচ্ছেন। প্রতিবাদ করলেই তিনি গালিগালাজ শুরু করেন।
একই রকম অভিযোগ করেন উপজেলার আড়াইপাড়া গ্রামের রোজিনা (৩২) সঞ্চয়পত্রের গ্রাহক। প্রতি মাসে পোস্ট অফিসের ৩ হাজার ৬৪৮ টাকায় তাঁর সংসার চলে। নভেম্বর মাসে টাকার জন্য এসে পোস্টমাস্টারের অসৌজন্যমূলক আচরণে কেঁদে কেঁদে বের হন রোজিনা। উপজেলার বগা প্রতিমা গ্রামের শিউলি আক্তার ও বাঘেরবাড়ি গ্রামের নার্গিস আক্তারও ওই পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের কথা জানান।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের ডেপুটি পোস্ট মাস্টার মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘সখীপুর পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে ওই পোস্টমাস্টারকে ডেকে এনে এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তবে লিখিত কোনো অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। গ্রাহক হয়রানি ও গ্রাহকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সখীপুরের পোস্টমাস্টার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সত্য নয়। সারা দেশের পোস্ট অফিস গুলোতেই টাকার সংকট রয়েছে। প্রতিদিন অনেক লোকজন এসে টাকার জন্য ভিড় করেন। কেউ কেউ সময়মতো টাকা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে থাকতে পারেন।’
সখীপুর পোস্টঅফিসে সঞ্চয়পত্রের টাকা তুলতে প্রতিনিয়ত গ্রাহক ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া পোস্টমাস্টার দেলোয়ার হোসেনের অসৌজন্যমূলক আচরণেও ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত বেশির ভাগ গ্রাহক। গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজন সঞ্চয়পত্র গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
কয়েকজন গ্রাহক পোস্টমাস্টার জেনারেল কেন্দ্রীয় সার্কেল বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন মৌখিক অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগ হাতে পেলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরদিকে পোস্ট মাস্টার দেলোয়ার হোসেন বলছেন, তাঁর বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ সত্য নয়।
সরেজমিন পরিদর্শন ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় তিন মাস আগে পোস্টমাস্টার দেলোয়ার হোসেন সখীপুরে যোগদান করেন। তারপর থেকেই সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও মেয়াদ শেষ (ম্যাচিউর) হওয়ার পর আসল টাকা তুলতে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে গ্রাহকদের। নিয়ম-বহির্ভূতভাবে মুনাফা থেকে টাকা কেটে রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া টাকা তুলতেও গ্রাহকের কাছে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হচ্ছে।
বংশী নগর এলাকার রওশন আরা জানান, সখীপুর উপজেলা পোস্ট অফিসে তাঁর তিন বছর মেয়াদি পনেরো লাখ টাকার একটি সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ (ম্যাচিউর) হয়েছে। দুই মাস আগে টাকা উত্তোলনের জন্য বই জমা দেন। ওই পোস্টমাস্টার প্রথমে দুই হাজার টাকা এবং পরে টাকার অঙ্ক বেশি বলে চার হাজার টাকা দাবি করেন।
রওশন আরা বলেন, ‘টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় টাঙ্গাইল গিয়ে বই নিয়ে আসতে হবে বলে জানান। পরে বইয়ের জন্য টাঙ্গাইল গিয়ে জানতে পারি, ওই বইটি বেশ কয়েক দিন আগেই সখীপুরের পোস্টমাস্টার নিজে সই করে নিয়ে গেছেন। টাকার জন্য সখীপুর পোস্ট অফিসে গেলে পোস্টমাস্টার আমাকে নানাভাবে কটূক্তি করেন।’
পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক পোস্টমাস্টার জেনারেল কেন্দ্রীয় সার্কেল বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে তিনি প্রতি মাসে ১২ হাজার ৯৬ টাকা পান। নতুন পোস্টমাস্টার প্রতি মাসেই ওই ৯৬ টাকা হাতে কেটে রেখে দিচ্ছেন। প্রতিবাদ করলেই তিনি গালিগালাজ শুরু করেন।
একই রকম অভিযোগ করেন উপজেলার আড়াইপাড়া গ্রামের রোজিনা (৩২) সঞ্চয়পত্রের গ্রাহক। প্রতি মাসে পোস্ট অফিসের ৩ হাজার ৬৪৮ টাকায় তাঁর সংসার চলে। নভেম্বর মাসে টাকার জন্য এসে পোস্টমাস্টারের অসৌজন্যমূলক আচরণে কেঁদে কেঁদে বের হন রোজিনা। উপজেলার বগা প্রতিমা গ্রামের শিউলি আক্তার ও বাঘেরবাড়ি গ্রামের নার্গিস আক্তারও ওই পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের কথা জানান।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের ডেপুটি পোস্ট মাস্টার মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘সখীপুর পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে ওই পোস্টমাস্টারকে ডেকে এনে এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তবে লিখিত কোনো অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। গ্রাহক হয়রানি ও গ্রাহকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সখীপুরের পোস্টমাস্টার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সত্য নয়। সারা দেশের পোস্ট অফিস গুলোতেই টাকার সংকট রয়েছে। প্রতিদিন অনেক লোকজন এসে টাকার জন্য ভিড় করেন। কেউ কেউ সময়মতো টাকা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে থাকতে পারেন।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে