বান্দরবান প্রতিনিধি
সারা দেশে পাহাড়ি লেবুর চাহিদা আছে। আকারে বড় ও রস বেশি হওয়ায় বান্দরবানের লেবুর বাড়তি চাহিদা আছে। এতে বান্দরবানে ব্যাপকভাবে লেবুর চাষ হয়। প্রতিবছরই এর পরিমাণ বাড়ছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানে প্রধানত তিন জাতের লেবু চাষ হয়। চলতি বছর বান্দরবানে ৩৭৬ হেক্টর পাহাড়ি জমিতে লেবু চাষ হয়েছে। এতে লেবুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪ হাজার ১০০ টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানের মাটি ও আবহাওয়া লেবু চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলন ভালো হয়। জেলার প্রায় সবখানেই লেবু চাষ হয়। কম জমিতে, কম খরচে লেবুর ভালো ফলন হয়। দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের লাভও বেশি হয়।
সম্প্রতি জেলার সদর উপজেলার লেমুঝিরি পাড়া, সুয়ালক, রেইছা, গোয়ালিয়াখোলা, কুহালং, চড়ুইপাড়া, ছাইঙ্গ্যা, কালাঘাটা এলাকার প্রায় প্রতিটি কৃষিজমির পাশেই লেবুর চাষ দেখা গেছে। গরম ও রমজানের সময় লেবুর চাহিদা বেশি থাকে। এ বছর গরমের মধ্যে রমজানের কথা মাথায় রেখে কৃষকেরা আগেই বেশি পরিমাণ জমিতে লেবু চাষ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।
ছাইঙ্গ্যা এলাকার চাষি মনির হোসেন চলতি মৌসুমে প্রায় এক একর জমিতে লেবু চাষ করেছেন। লেবু পরিপক্ব হলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেবু তুলে বাজারে বিক্রি করেন। পাইকারি বিক্রির পাশাপাশি তিনি নিজেও লেবু খুচরা বিক্রি করেন।
মনির হোসেন জানান, রমজানে এবার আকার ভেদে প্রতি শ লেবু পাইকারি ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এ ছাড়া খুচরা হিসেবে প্রতি হালি (৪টি) লেবু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন।
একইভাবে উপজেলার লেমুঝিরিপাড়া, কুহালং, চড়ুইপাড়া ও গোয়ালিয়াখোলার কয়েকজন কৃষক জানান, এবার রমজানে তাঁরা লেবুর দাম ভালোই পেয়েছেন।
সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের ক্যামলং এলাকার কৃষক অংজাইউ মারমা জানান, চার বছর আগে ক্যামলং এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প থেকে ৮০টি ও রাজস্ব খাত থেকে ৪০টি লেবু চারা নিয়ে বাগান করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। এজন্য কৃষি কার্যালয় থেকে সার ও অন্যান্য উপকরণসহ রোগ-বালাই প্রতিরোধে পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান, বান্দরবানের মাটি অম্ল হওয়ায় লেবুজাতীয় ফসল চাষের উপযোগী। প্রকল্পের মাধ্যমে তিন বছর ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে লেবুজাতীয় ফল চাষে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এ প্রকল্পের চাহিদাভিত্তিক ১ শতাংশ, ৫, ১০, ২০, ৩০ ও ৫০ শতাংশ ধরনের প্রদর্শনী লেবুবাগান করা হয়েছে।
জেলা পুষ্টিবিষয়ক সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী বলেন, লেবু দেহে শক্তি বাড়ায়, লিভার পরিষ্কার করে, ভাইরাসজনিত সংক্রমণ গতিরোধ করে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, মূত্রনালির সংক্রমণ দূর করে। শরীরের ওজন কমানো, চোখ ভালো রাখা ও দাঁতের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া গর্ভের শিশুর জন্য লেবু খুব উপকারী। এটি স্তন ক্যানসার সারাতেও সহায়তা করে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, দেশে প্রতি বছর ৫০০ কোটি টাকার লেবুজাতীয় ফসল বিভিন্ন শহরে রপ্তানি হচ্ছে। যেকোনো কৃষক লেবু চাষে সহযোগিতা চাইলে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সহযোগিতা দেন। ফলে বান্দরবানে লেবুর ভালো ফলন হয় এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বান্দরবানের লেবুর চাহিদা রয়েছে।
সারা দেশে পাহাড়ি লেবুর চাহিদা আছে। আকারে বড় ও রস বেশি হওয়ায় বান্দরবানের লেবুর বাড়তি চাহিদা আছে। এতে বান্দরবানে ব্যাপকভাবে লেবুর চাষ হয়। প্রতিবছরই এর পরিমাণ বাড়ছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানে প্রধানত তিন জাতের লেবু চাষ হয়। চলতি বছর বান্দরবানে ৩৭৬ হেক্টর পাহাড়ি জমিতে লেবু চাষ হয়েছে। এতে লেবুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪ হাজার ১০০ টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানের মাটি ও আবহাওয়া লেবু চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলন ভালো হয়। জেলার প্রায় সবখানেই লেবু চাষ হয়। কম জমিতে, কম খরচে লেবুর ভালো ফলন হয়। দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের লাভও বেশি হয়।
সম্প্রতি জেলার সদর উপজেলার লেমুঝিরি পাড়া, সুয়ালক, রেইছা, গোয়ালিয়াখোলা, কুহালং, চড়ুইপাড়া, ছাইঙ্গ্যা, কালাঘাটা এলাকার প্রায় প্রতিটি কৃষিজমির পাশেই লেবুর চাষ দেখা গেছে। গরম ও রমজানের সময় লেবুর চাহিদা বেশি থাকে। এ বছর গরমের মধ্যে রমজানের কথা মাথায় রেখে কৃষকেরা আগেই বেশি পরিমাণ জমিতে লেবু চাষ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।
ছাইঙ্গ্যা এলাকার চাষি মনির হোসেন চলতি মৌসুমে প্রায় এক একর জমিতে লেবু চাষ করেছেন। লেবু পরিপক্ব হলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেবু তুলে বাজারে বিক্রি করেন। পাইকারি বিক্রির পাশাপাশি তিনি নিজেও লেবু খুচরা বিক্রি করেন।
মনির হোসেন জানান, রমজানে এবার আকার ভেদে প্রতি শ লেবু পাইকারি ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এ ছাড়া খুচরা হিসেবে প্রতি হালি (৪টি) লেবু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন।
একইভাবে উপজেলার লেমুঝিরিপাড়া, কুহালং, চড়ুইপাড়া ও গোয়ালিয়াখোলার কয়েকজন কৃষক জানান, এবার রমজানে তাঁরা লেবুর দাম ভালোই পেয়েছেন।
সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের ক্যামলং এলাকার কৃষক অংজাইউ মারমা জানান, চার বছর আগে ক্যামলং এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প থেকে ৮০টি ও রাজস্ব খাত থেকে ৪০টি লেবু চারা নিয়ে বাগান করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। এজন্য কৃষি কার্যালয় থেকে সার ও অন্যান্য উপকরণসহ রোগ-বালাই প্রতিরোধে পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান, বান্দরবানের মাটি অম্ল হওয়ায় লেবুজাতীয় ফসল চাষের উপযোগী। প্রকল্পের মাধ্যমে তিন বছর ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে লেবুজাতীয় ফল চাষে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এ প্রকল্পের চাহিদাভিত্তিক ১ শতাংশ, ৫, ১০, ২০, ৩০ ও ৫০ শতাংশ ধরনের প্রদর্শনী লেবুবাগান করা হয়েছে।
জেলা পুষ্টিবিষয়ক সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী বলেন, লেবু দেহে শক্তি বাড়ায়, লিভার পরিষ্কার করে, ভাইরাসজনিত সংক্রমণ গতিরোধ করে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, মূত্রনালির সংক্রমণ দূর করে। শরীরের ওজন কমানো, চোখ ভালো রাখা ও দাঁতের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া গর্ভের শিশুর জন্য লেবু খুব উপকারী। এটি স্তন ক্যানসার সারাতেও সহায়তা করে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, দেশে প্রতি বছর ৫০০ কোটি টাকার লেবুজাতীয় ফসল বিভিন্ন শহরে রপ্তানি হচ্ছে। যেকোনো কৃষক লেবু চাষে সহযোগিতা চাইলে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সহযোগিতা দেন। ফলে বান্দরবানে লেবুর ভালো ফলন হয় এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বান্দরবানের লেবুর চাহিদা রয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে