জলাশয় দখল করে ভবন

রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪: ৫৯
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৫২

নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের ১৫টি জলাশয়ের মধ্যে ১৩টিই বেদখল। এসব জলাশয় দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে পাকা, আধা-পাকা ও বহুতল ভবন। স্থানীয়দের অভিযোগ, রেলওয়ের যোগসাজশেই জলাশয়গুলো দখল করা হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রেলওয়ে ভূসম্পত্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (কার্য) শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দখলদারেরা এতটাই প্রভাবশালী যে, কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে অনেকটা অসহায়।

জানা যায়, সৈয়দপুরে রেলওয়ের ভূসম্পত্তি রয়েছে মোট ৭৯৮ দশমিক ৯ একর। এর মধ্যে ১১০ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে কারখানা। অবশিষ্ট জায়গায় কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য তৈরি করা হয় বাংলো, সাব-বাংলো ও এক-দুই কক্ষবিশিষ্ট থাকার কক্ষ। আর অগ্নিনিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শহরের ইসলামবাগ, রসুলপুর, মিস্ত্রিপাড়া, সাহেবপাড়া, গোলাহাট, বাঁশবাড়ী ও পুরোনো বাবুপাড়াসহ রেলওয়ের প্রতিটি কলোনিতে মোট ১৫টি জলাশয় খনন করা হয়। এ ছাড়া বর্ষায় জলাবদ্ধতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করত এসব জলাশয়। কিন্তু বর্তমানে এগুলো দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে স্থাপনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, জলাশয় ভরাট করে কেউ বাড়ি কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। শহরের পুরোনো বাবুপাড়ায় রেলওয়ে কলোনিতে যে জলাশয়টি ছিল, সেটা ভরাট করে ভবন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে।

কলোনির বাসিন্দা ফয়সাল ইসলাম বলেন, স্থানীয় ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের মদদে ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা এখানকার জলাশয়টি দখল করে বাড়ি তৈরি করছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর শাহিন আকতার। তিনি বলেন, এলাকার মানুষ যাতে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারে, সে জন্য একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এটি পাকা করে দিয়েছে।

সৈয়দপুরে রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিভাগে দায়িত্বে থাকা পার্বতীপুর রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী (কানুনগো) রেজাউল হক বলেন, সৈয়দপুরে রেলওয়ের ১৫টি জলাধার রয়েছে যার মধ্যে ১৩টি বেদখলে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেগুলো উদ্ধারের জন্য সম্প্রতি আলোচনা হয়েছে। খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত