মিলন উল্লাহ, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে বেড়েই চলেছে শিশু রোগীর চাপ। হাসপাতালে আসা শিশু রোগীরা জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। ২০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২০৬ জন। যা শয্যার তুলনায় ১০ গুণেরও বেশি। ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র শয্যা সংকট। শয্যা সংকটের কারণে অধিকাংশ রোগীর ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে। অতিরিক্ত রোগীর এই চাপ সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও সেবিকারা।
শয্যা তো দূরের কথা, মেঝে এবং বারান্দায় জায়গা না হওয়া রোগীর লাইন চলে এসেছে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বারান্দার সামনে। এতে করে শিশুদের ঠান্ডা সংক্রান্ত রোগের পাশাপাশি নতুন করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কাও দেখা দিচ্ছে। হাসপাতালের ইনকিউবেটর এবং নেবুলাইজার মেশিনের কাছে বাচ্চাদের নিয়ে মায়েদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। আবার এক শয্যায় গাদাগাদি করে একাধিক রোগীকেও দেখা গেছে চিকিৎসা নিতে।
গত রোববার বেলা ১০টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। শিশু ওয়ার্ডে যেন পা ফেলার জায়গা পর্যন্ত নেই। ফলে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা ও এখানে বিঘ্নিত হচ্ছে। ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ভোগান্তির অভিযোগ তুলছেন রোগীর স্বজনেরা। হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডের প্রবেশ পথে শত শত রোগীর অভিভাবক ও স্বজনেরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন। ওয়ার্ডের ভেতরেও ভিড়। ভিড়ের মধ্যেই চিকিৎসকেরা সেবা দিচ্ছেন শিশু রোগীদের।
শিশু ওয়ার্ডের জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স আফরোজা পারভীন বলেন, গত কয়েক দিন ধরেই এখানে রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। আর রোগীর লোকজন সবাই চান তাঁদের শিশুকে আলাদাভাবে ভালো সেবা দেওয়া হোক। কিন্তু কেউ বুঝতে চান না মাত্র ছয়জন সেবিকা কীভাবে এত রোগীর সেবা দেবেন।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এস এম নাজিম উদ্দিন বলেন, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে বিশেষ করে শিশু ওয়ার্ডে যে পরিমাণে রোগী বেড়েছে সেই তুলনায় কিন্তু লোকবল বাড়ে নাই। তাই এত রোগীকে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পরছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, বৃষ্টি, গরম ও ঠান্ডার কারণে শিশু রোগীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে চাপ বাড়ছে হাসপাতালে। রোগীর তুলনায় চিকিৎসক সংকট থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
শিশু ওয়ার্ডের ভেতরে যেতেই দেখা গেল, মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে অধিকাংশ শিশু রোগী। ওয়ার্ডের ভেতরে কয়েকটি কক্ষ। এর মধ্যে গাদাগাদি করে রোগী ও তাঁর স্বজনেরা রয়েছেন। এক দিকে ভ্যাপসা গরম অন্যদিকে দুর্গন্ধময় পরিবেশে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনদের।
দেড় বছর বয়সী শিশু আইয়ান গত তিন দিন ধরে ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়ে কোনো উন্নতি না হওয়া শিশু আইয়ানকে নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের এসেছেন মা ফিরোজা খাতুন। ফিরোজা খাতুন বলেন, তিন দিন ধরে আইয়ানের ঠান্ডা ও জ্বর। গ্রামের ডাক্তারের ওষুধ কাজ করছে না। ঠিকমতো খাচ্ছে না ছেলে। এ জন্য বড় ডাক্তারের কাছে এসেছি।
শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী মদিনার মা আয়শা আক্তার বলেন, গত সাত দিন আগে থেকে আমার মেয়ে অসুস্থ। ঠান্ডা-জ্বরের জন্য মঙ্গলবার ভর্তি হয়েছি। কিন্তু শিশু ওয়ার্ডে শত শত মানুষের ভিড়। ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। আবার শয্যা সংকটের কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় নার্সের সংখ্যা কম।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শিশু রোগী এসে এই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। ধারনক্ষমতার ১০ গুণ বেশি রোগীকে আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। যা অনেকটাই অসম্ভব কাজ। আমাদের লোকবল সংকট আছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এমনটি হচ্ছে। তাই শিশুদের প্রতি এখন আলাদাভাবে খেয়াল রাখতে হবে। গরমে যেন শিশুদের শরীর না ঘামে আবার সেই ঘাম যেন শরীরের শুকিয়ে না যায়। এসব বিষয়ে শিশুর মায়েদের আরও যত্নশীল হতে হবে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে বেড়েই চলেছে শিশু রোগীর চাপ। হাসপাতালে আসা শিশু রোগীরা জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। ২০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২০৬ জন। যা শয্যার তুলনায় ১০ গুণেরও বেশি। ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র শয্যা সংকট। শয্যা সংকটের কারণে অধিকাংশ রোগীর ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে। অতিরিক্ত রোগীর এই চাপ সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও সেবিকারা।
শয্যা তো দূরের কথা, মেঝে এবং বারান্দায় জায়গা না হওয়া রোগীর লাইন চলে এসেছে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বারান্দার সামনে। এতে করে শিশুদের ঠান্ডা সংক্রান্ত রোগের পাশাপাশি নতুন করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কাও দেখা দিচ্ছে। হাসপাতালের ইনকিউবেটর এবং নেবুলাইজার মেশিনের কাছে বাচ্চাদের নিয়ে মায়েদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। আবার এক শয্যায় গাদাগাদি করে একাধিক রোগীকেও দেখা গেছে চিকিৎসা নিতে।
গত রোববার বেলা ১০টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। শিশু ওয়ার্ডে যেন পা ফেলার জায়গা পর্যন্ত নেই। ফলে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা ও এখানে বিঘ্নিত হচ্ছে। ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ভোগান্তির অভিযোগ তুলছেন রোগীর স্বজনেরা। হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডের প্রবেশ পথে শত শত রোগীর অভিভাবক ও স্বজনেরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন। ওয়ার্ডের ভেতরেও ভিড়। ভিড়ের মধ্যেই চিকিৎসকেরা সেবা দিচ্ছেন শিশু রোগীদের।
শিশু ওয়ার্ডের জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স আফরোজা পারভীন বলেন, গত কয়েক দিন ধরেই এখানে রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। আর রোগীর লোকজন সবাই চান তাঁদের শিশুকে আলাদাভাবে ভালো সেবা দেওয়া হোক। কিন্তু কেউ বুঝতে চান না মাত্র ছয়জন সেবিকা কীভাবে এত রোগীর সেবা দেবেন।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এস এম নাজিম উদ্দিন বলেন, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে বিশেষ করে শিশু ওয়ার্ডে যে পরিমাণে রোগী বেড়েছে সেই তুলনায় কিন্তু লোকবল বাড়ে নাই। তাই এত রোগীকে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পরছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, বৃষ্টি, গরম ও ঠান্ডার কারণে শিশু রোগীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে চাপ বাড়ছে হাসপাতালে। রোগীর তুলনায় চিকিৎসক সংকট থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
শিশু ওয়ার্ডের ভেতরে যেতেই দেখা গেল, মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে অধিকাংশ শিশু রোগী। ওয়ার্ডের ভেতরে কয়েকটি কক্ষ। এর মধ্যে গাদাগাদি করে রোগী ও তাঁর স্বজনেরা রয়েছেন। এক দিকে ভ্যাপসা গরম অন্যদিকে দুর্গন্ধময় পরিবেশে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনদের।
দেড় বছর বয়সী শিশু আইয়ান গত তিন দিন ধরে ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়ে কোনো উন্নতি না হওয়া শিশু আইয়ানকে নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের এসেছেন মা ফিরোজা খাতুন। ফিরোজা খাতুন বলেন, তিন দিন ধরে আইয়ানের ঠান্ডা ও জ্বর। গ্রামের ডাক্তারের ওষুধ কাজ করছে না। ঠিকমতো খাচ্ছে না ছেলে। এ জন্য বড় ডাক্তারের কাছে এসেছি।
শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী মদিনার মা আয়শা আক্তার বলেন, গত সাত দিন আগে থেকে আমার মেয়ে অসুস্থ। ঠান্ডা-জ্বরের জন্য মঙ্গলবার ভর্তি হয়েছি। কিন্তু শিশু ওয়ার্ডে শত শত মানুষের ভিড়। ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। আবার শয্যা সংকটের কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় নার্সের সংখ্যা কম।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শিশু রোগী এসে এই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। ধারনক্ষমতার ১০ গুণ বেশি রোগীকে আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। যা অনেকটাই অসম্ভব কাজ। আমাদের লোকবল সংকট আছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এমনটি হচ্ছে। তাই শিশুদের প্রতি এখন আলাদাভাবে খেয়াল রাখতে হবে। গরমে যেন শিশুদের শরীর না ঘামে আবার সেই ঘাম যেন শরীরের শুকিয়ে না যায়। এসব বিষয়ে শিশুর মায়েদের আরও যত্নশীল হতে হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে