আবু হোসাইন সুমন, রামপাল (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লায় ১৯৯৬ সালে ৯৮ একর জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল ‘খানজাহান আলী বিমানবন্দর’ নির্মাণকাজ। এরপর ২৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি প্রকল্পটি। জমি অধিগ্রহণ, মাটি ভরাট আর সীমানা প্রাচীর ছাড়া কোনো কাজই হয়নি। প্রকল্প এলাকায় কেবল সাইনবোর্ডেই বিমানবন্দরের অস্তিত্ব জানা যায়। কবে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে, আর কবে এই বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা শুরু হবে, তা এখনো বলতে পারেন না কেউ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রামপালের ফয়লায় মোংলা-খুলনা মহাসড়কের পাশে খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই বিমানবন্দরকে ‘শর্ট টেক অব অ্যান্ড ল্যান্ডিং বন্দর’ হিসেবে গড়তে ৪১ দশমিক ৩০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ ও মাটি ভরাট করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০১১ সালের ৫ মার্চ খুলনা সফরের সময় খানজাহান বিমানবন্দরটি পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দরে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই প্রতিশ্রুতির ৪ বছর পর ২০১৫ সালে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। ওই বছরের জুলাইয়ে আবারও প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। অধিগ্রহণ করা হয় আরও ৫২৯ একর জমি। তারপর কেটে গেছে আরও ৬ বছর। প্রকল্প এলাকায় জমি ভরাট, সীমানা প্রাচীর আর সাইনবোর্ড ছাড়া কোনো কাজই হয়নি।
জানতে চাইলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খানজাহান আলী বিমানবন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণ শেষে আমরা তা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এখন সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে। এই কাজ শেষ হলেই বিমানবন্দরের মূল কাজ শুরু হবে।’
তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই বিমানবন্দরটি নির্মাণে অর্থ জোগান কীভাবে হবে, তা ঠিক করতেই সময় বেড়েছে। আবার একটি মহল এই বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তাই দেখছে না। প্রথমে বলা হয়েছিল, সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বিমানবন্দরটি নির্মাণ করা হবে। পরে রাজস্ব খাতের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেটিও আটকে আছে।
খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের কাজে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী তুষার রাজবংশী বলেন, ‘আমি ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার। আমার কাছে যে কাজ আসে, সেই কাজটিই করি। যেমন—সীমানা প্রাচীরের কাজ এসেছে, সেটি তত্ত্বাবধায়ন করেছি।’ কেন মূল কাজটি বন্ধ রয়েছে, সে বিষয়ে তুষার রাজবংশী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। ২০২০ সালের জুন মাসে সম্পূর্ণ জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে। এরপর এ-সংক্রান্ত আর কোনো কাজ হয়নি। এই কাজের প্রকল্প পরিচালকও নেই।’
বিমানবন্দরের বিষয়ে বাগেরহাটের রামপাল-মোংলা আসনের সাবেক সাংসদ ও খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা এই বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানের হবে। শুধু রামপাল-মোংলা-বাগেরহাটবাসীই নয়, পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিমানবন্দর হবে এটি। খানজাহান আলী বিমানবন্দর প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। পিপিপির আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সরকার চেষ্টা করছে। তা না হলে পদ্মা সেতুর মতো নিজস্ব অর্থায়নেই দ্রুত সময়ের মধ্যে খানজাহান আলী বিমানবন্দরটি নির্মাণ করা হবে।’
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লায় ১৯৯৬ সালে ৯৮ একর জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল ‘খানজাহান আলী বিমানবন্দর’ নির্মাণকাজ। এরপর ২৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি প্রকল্পটি। জমি অধিগ্রহণ, মাটি ভরাট আর সীমানা প্রাচীর ছাড়া কোনো কাজই হয়নি। প্রকল্প এলাকায় কেবল সাইনবোর্ডেই বিমানবন্দরের অস্তিত্ব জানা যায়। কবে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে, আর কবে এই বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা শুরু হবে, তা এখনো বলতে পারেন না কেউ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রামপালের ফয়লায় মোংলা-খুলনা মহাসড়কের পাশে খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই বিমানবন্দরকে ‘শর্ট টেক অব অ্যান্ড ল্যান্ডিং বন্দর’ হিসেবে গড়তে ৪১ দশমিক ৩০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ ও মাটি ভরাট করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০১১ সালের ৫ মার্চ খুলনা সফরের সময় খানজাহান বিমানবন্দরটি পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দরে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই প্রতিশ্রুতির ৪ বছর পর ২০১৫ সালে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। ওই বছরের জুলাইয়ে আবারও প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। অধিগ্রহণ করা হয় আরও ৫২৯ একর জমি। তারপর কেটে গেছে আরও ৬ বছর। প্রকল্প এলাকায় জমি ভরাট, সীমানা প্রাচীর আর সাইনবোর্ড ছাড়া কোনো কাজই হয়নি।
জানতে চাইলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খানজাহান আলী বিমানবন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণ শেষে আমরা তা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এখন সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে। এই কাজ শেষ হলেই বিমানবন্দরের মূল কাজ শুরু হবে।’
তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই বিমানবন্দরটি নির্মাণে অর্থ জোগান কীভাবে হবে, তা ঠিক করতেই সময় বেড়েছে। আবার একটি মহল এই বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তাই দেখছে না। প্রথমে বলা হয়েছিল, সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বিমানবন্দরটি নির্মাণ করা হবে। পরে রাজস্ব খাতের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেটিও আটকে আছে।
খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের কাজে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী তুষার রাজবংশী বলেন, ‘আমি ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার। আমার কাছে যে কাজ আসে, সেই কাজটিই করি। যেমন—সীমানা প্রাচীরের কাজ এসেছে, সেটি তত্ত্বাবধায়ন করেছি।’ কেন মূল কাজটি বন্ধ রয়েছে, সে বিষয়ে তুষার রাজবংশী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। ২০২০ সালের জুন মাসে সম্পূর্ণ জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে। এরপর এ-সংক্রান্ত আর কোনো কাজ হয়নি। এই কাজের প্রকল্প পরিচালকও নেই।’
বিমানবন্দরের বিষয়ে বাগেরহাটের রামপাল-মোংলা আসনের সাবেক সাংসদ ও খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা এই বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানের হবে। শুধু রামপাল-মোংলা-বাগেরহাটবাসীই নয়, পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিমানবন্দর হবে এটি। খানজাহান আলী বিমানবন্দর প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। পিপিপির আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সরকার চেষ্টা করছে। তা না হলে পদ্মা সেতুর মতো নিজস্ব অর্থায়নেই দ্রুত সময়ের মধ্যে খানজাহান আলী বিমানবন্দরটি নির্মাণ করা হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে