যুবককে আত্মহত্যা থেকে ফেরালেন এসি ল্যান্ড

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২২, ১৩: ০৯
Thumbnail image

জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হতাশায় কীটনাশক নিয়ে ঘুরছিলেন সোহাগ ফকির নামের এক যুবক। স্থানীয় মুরব্বিদের কাছ থেকে আশানুরূপ কোনো প্রতিকার না পেয়ে গতকাল বুধবার সকালে জমির কাগজপত্র ও কীটনাশক ব্যাগে নিয়ে সহকারী কমিশনার ভূমির কার্যালয়ে যান তিনি।

সোহাগ ফকির গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া চরপাড়া গ্রামে।

ডুমুরিয়া ইউনিয়নের তাহশিলদার চিরঞ্জীব বিশ্বাস জানান, নির্মাণকাজে বাধা দিয়েও ঠেকাতে না পেরে স্থানীয় মুরব্বিদের দ্বারস্থ হয় সোহাগ। কিন্তু তাঁরা কোনো ভালো ফলাফল দেয়নি। তখন সোহাগ কাগজপত্র ও কীটনাশক নিয়ে এসিল্যান্ডের কার্যালয়ে যান। সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেদারুল ইসলাম তাঁর সমস্যার কথা জানতে চান। পরে এসিল্যান্ড দেখতে পান ওই কাগজপত্রের ব্যাগে একটি বোতল রয়েছে। তখন জোরপূর্বক ব্যাগটি নিয়ে দেখেন সেটি কীটনাশকের বোতল। পরে বোতলটি নষ্ট করে ওই সোহাগকে নিজের গাড়িতে করে তাঁর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন এসিল্যান্ড। এসিল্যান্ড সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় মুরব্বিদের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের কাগজপত্র দেখতে চান। পরে দেখতে পান সেই জায়গাটি দুই পক্ষের কারও নয়। ৯১৮ দাগের সেই সম্পত্তি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। তখন সেই নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন এসিল্যান্ড। এ ছাড়া সোহাগ নামের ওই যুবক বুঝিয়ে আত্মহত্যার পথ থেকে বিরত থাকতে বলেন।

সোহাগ ফকির বলেন, কাগজপত্র সঠিকভাবে না বোঝার কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে বেছে নিতে চেয়েছিলাম। পরে এসিল্যান্ডকে বিষয়টি জানানোর পর ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ঘরের নির্মাণকাজ বন্ধ করেন তিনি। সেই সঙ্গে আমাকে আত্মহত্যার পথ থেকে বিরত থাকতে বলেন। এ ছাড়া বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেদারুল ইসলাম বলেন, সোহাগ ভুল বুঝে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চেয়েছিলেন। তখন তাঁকে বুঝিয়ে এই কাজ থেকে বিরত থাকতে বলি। এ ছাড়া সরকারের জমিতে নির্মাণাধীন দালান ঘরের কাজও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত