রাজশাহী প্রতিনিধি
‘যাত্রাপালা কেমন হয়, তা শুধু বইপত্র আর নাটক-সিনেমায় দেখেছি। বাস্তবে কখনো যাত্রাপালা দেখার সুযোগ হয়নি। প্রথম দেখলাম। প্রাণ জুড়িয়ে গেছে। বাঙালির হারানো সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানাই।’ কথাগুলো বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মামুনুজ্জামান স্নিগ্ধ।
গত শনিবার রাতে রাবির শেখ রাসেল মাঠে আব্দুল্লাহ আল-মামুনের ‘মেরাজ ফকিরের মা’ অবলম্বনে যাত্রাপালা মঞ্চায়ন হয়। এটিকে যাত্রাপালায় রূপ দেন আসাদ সরকার। নির্দেশনা দেন রহমান রাজু। যাত্রাপালাটি পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ‘ফোকলোর রেপাটরি যাত্রাদল’। ফোকলোর বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ৫০ জনের একটি দল যাত্রাপালাটি পরিবেশন করে।
কথা বলে জানা গেছে, দর্শকদের বেশির ভাগই জীবনে প্রথমবারের মতো কোনো যাত্রাপালা উপভোগ করলেন। যাত্রা দেখার পর চারুকলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অভয় চরণ সূত্রধর বলেন, ‘সমাজের সাম্প্রদায়িক শক্তির জন্য আমরা আমাদের মা, মাটি ও ধর্মকে চিনতে ভুল করি। ধর্মের দোহাই দিয়ে ভেদাভেদ তৈরি করি। কিন্তু আমাদের মা, মাটি ও মানুষ যে সবকিছুর ঊর্ধ্বে তা এই যাত্রাপালার মাধ্যমে অনুধাবন করতে পারলাম।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার নিজেও এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের এই যাত্রাপালা উপভোগ করেন। পালা শেষে তিনি জানান, ৪২ বছর পর যাত্রাপালা দেখলেন। সর্বশেষ ১৯৮০ সালে নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ মাঠে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পালা দেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘যাত্রাপালা, আলকাপ, মাদারের গান আমাদের সংস্কৃতির অনুষঙ্গ। দিন দিন তা হারিয়ে গেছে। এটা ভালো লাগছে যে এখন আবার তা জাগ্রত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাত্রাপালার নবযাত্রা শুভ হোক।’
‘যাত্রাশিল্পের নবযাত্রা’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির দেশব্যাপী ১০০ নতুন যাত্রাপালা মঞ্চায়ন কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ যাত্রা উৎসব-২০২২ শুরু করেছে।
‘যাত্রাপালা কেমন হয়, তা শুধু বইপত্র আর নাটক-সিনেমায় দেখেছি। বাস্তবে কখনো যাত্রাপালা দেখার সুযোগ হয়নি। প্রথম দেখলাম। প্রাণ জুড়িয়ে গেছে। বাঙালির হারানো সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানাই।’ কথাগুলো বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মামুনুজ্জামান স্নিগ্ধ।
গত শনিবার রাতে রাবির শেখ রাসেল মাঠে আব্দুল্লাহ আল-মামুনের ‘মেরাজ ফকিরের মা’ অবলম্বনে যাত্রাপালা মঞ্চায়ন হয়। এটিকে যাত্রাপালায় রূপ দেন আসাদ সরকার। নির্দেশনা দেন রহমান রাজু। যাত্রাপালাটি পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ‘ফোকলোর রেপাটরি যাত্রাদল’। ফোকলোর বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ৫০ জনের একটি দল যাত্রাপালাটি পরিবেশন করে।
কথা বলে জানা গেছে, দর্শকদের বেশির ভাগই জীবনে প্রথমবারের মতো কোনো যাত্রাপালা উপভোগ করলেন। যাত্রা দেখার পর চারুকলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অভয় চরণ সূত্রধর বলেন, ‘সমাজের সাম্প্রদায়িক শক্তির জন্য আমরা আমাদের মা, মাটি ও ধর্মকে চিনতে ভুল করি। ধর্মের দোহাই দিয়ে ভেদাভেদ তৈরি করি। কিন্তু আমাদের মা, মাটি ও মানুষ যে সবকিছুর ঊর্ধ্বে তা এই যাত্রাপালার মাধ্যমে অনুধাবন করতে পারলাম।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার নিজেও এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের এই যাত্রাপালা উপভোগ করেন। পালা শেষে তিনি জানান, ৪২ বছর পর যাত্রাপালা দেখলেন। সর্বশেষ ১৯৮০ সালে নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ মাঠে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পালা দেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘যাত্রাপালা, আলকাপ, মাদারের গান আমাদের সংস্কৃতির অনুষঙ্গ। দিন দিন তা হারিয়ে গেছে। এটা ভালো লাগছে যে এখন আবার তা জাগ্রত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাত্রাপালার নবযাত্রা শুভ হোক।’
‘যাত্রাশিল্পের নবযাত্রা’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির দেশব্যাপী ১০০ নতুন যাত্রাপালা মঞ্চায়ন কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ যাত্রা উৎসব-২০২২ শুরু করেছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪