বিভুরঞ্জন সরকার

আমাদের স্বাধীনতার বয়স ৫২ বছর। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বৈষম্য ও জুলুমের শাসন কায়েম করে মানুষকে অধিকারহীন, মর্যাদাহীন করে দাবিয়ে রেখে মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগী অনুগত ব্যক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল বলেই তো আমরা পাকিস্তানি জিঞ্জির ভাঙার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়েছিলাম। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে আমরা কি এটা সত্যি দাবি করতে পারি যে আমরা আমাদের স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হয়েছি?
আমাদের দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এই দুই দলের মধ্যে বনিবনা নেই, সদ্ভাব নেই—এটা সবারই জানা। এই দুই দল পর্যায়ক্রমে একাধিকবার দেশ শাসন করলেও জাতীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দুটি দলের মধ্যে ঐক্য ও সমঝোতা নেই, অচিরেই কোনো ধরনের সমঝোতা হবে, তারও কোনো লক্ষণ দেখা যায় না।
এখন শাসনক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ একটি রেকর্ড তৈরি করেছে। আবার ক্ষমতায় থেকে জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দল বিএনপি ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে আছে এবং দলটি টিকে আছে—এটাও কম কথা নয়। কোনো কোনো রাজনৈতিক পণ্ডিত মনে করতেন, বেশি দিন ক্ষমতার বাইরে থাকলে বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। ব্যক্তিগতভাবে আমি অবশ্য তা মনে করি না। বিএনপি যে রাজনৈতিক ধারার প্রতিনিধিত্ব করে, সেই রাজনীতি অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ও ভারতবিরোধিতার রাজনীতি দেশে তত দিন বহাল থাকবে, যত দিন আওয়ামী লীগ থাকবে।
সাদাচোখে দেখে দুই দলের আচার-আচরণ প্রায় এক বলে মনে হলেও দুই দলের আদর্শিক অবস্থানে ভিন্নতা আছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে স্বজনপ্রীতি, ঘুষ-দুর্নীতি, দলবাজি-দখলবাজি করে—বিএনপি ক্ষমতায় গেলেও তা-ই করে। দুর্নীতি এবং ক্ষমতা সম্ভবত হাত ধরাধরি করে চলে। এটা শুধু বাংলাদেশের বিষয় নয়, পৃথিবীর অনেক দেশেই দুর্নীতি এখন একটি বড় বিষয়। ক্ষমতা থাকলে দুর্নীতিও থাকবে। দুর্নীতির মাত্রা কী হবে, তা বিতর্কের বিষয় হতে পারে। কিন্তু দুর্নীতি করে বলেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এক হয়ে গেল—এই সিদ্ধান্ত অতি সরলীকরণ দোষে দুষ্ট এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় ভ্রান্ত।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সাধারণ মানুষের স্বার্থের অনুকূলে যতটা নীতি-পদক্ষেপ গ্রহণ করে, বিএনপি কি তা করে? বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ কি দুই শাসনামলে এক হয়? কৃষকসহ শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ কোন আমলে বেশি রক্ষিত হয়? জাতীয় অগ্রগতির জন্য জরুরি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কোন আমলে অগ্রাধিকার পায়? মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী, জঙ্গিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি—এগুলো কি বিএনপির কাছে আশা করা যায়? ১৫ আগস্টের বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বছরের পর বছর ঝুলে থাকা বিরোধ নিষ্পত্তিতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির অবস্থান কি এক?
আমাদের দেশে একটি মতলববাজ গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে এক পাল্লায় মাপতে চায়, বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই। এটা প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সুবিধা এটাই যে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে তাহলে ম্লান করা যায়। আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী দল বললে কেউ কেউ আপত্তি করেন এই কথা বলে যে আওয়ামী লীগ এখন আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাগত অবস্থানে নেই। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম উপাদান ছিল অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মকে রাজনীতির উপজীব্য না করা। কিন্তু আওয়ামী লীগ এখন ধর্ম নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের সঙ্গে আপসের পথে হাঁটছে। আওয়ামী লীগে আশ্রয় পাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর মতো দলের নেতা-কর্মীরা। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী কারও কারও রাজনৈতিক শেল্টারও আওয়ামী লীগে হয়েছে।
এই অভিযোগগুলো অসত্য নয়। আওয়ামী লীগের মধ্যে ত্রুটি-দুর্বলতা-দোদুল্যমানতা—সবই আছে। তারপরও বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগকে
যে কারণে এগিয়ে রাখতে হবে সেটা হলো, এই দলের নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং এখনো এই দলের হাল ধরে আছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
কেউ হয়তো বলবেন, ব্যক্তিকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে সবকিছু বিচার করলে তার ফল ভালো হয় না। ব্যক্তি নয়, ইতিহাসের নির্মাতা ও নিয়ন্তা হলো জনগণ। মানুষের ঐক্যবদ্ধ ও সম্মিলিত শক্তির কাছে ব্যক্তি তুচ্ছ। বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে এটা নিশ্চয়ই ঠিক। তবে ইতিহাসে ব্যক্তির ভূমিকাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনেক সময় ব্যক্তি যে ইতিহাসের অনিবার্য রূপকার হয়ে ওঠেন, তার অনেক নজিরও ইতিহাসেই আছে।
একজন ব্যক্তি যখন বলেন, ‘আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি’—এবং সম্মিলিত জনতা তাতে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে, তখন তিনি আর ব্যক্তিমাত্র থাকেন না, হয়ে যান সমষ্টির একজন। ব্যক্তি শেখ মুজিব যেমন বাংলাদেশ নামক স্বাধীন ভূখণ্ড প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অদ্বিতীয় হয়ে উঠেছিলেন, তেমনি ব্যক্তি শেখ মুজিবের নির্মম হত্যাকাণ্ড একটি জাতির বিপর্যয়েরও কারণ হয়েছিল। নির্দিষ্ট এক ব্যক্তির থাকা না থাকার গুরুত্ব তাই খাটো করে দেখার বিষয় নয়। বর্তমান পর্যায়ে শেখ হাসিনার উপস্থিতি এবং নেতৃত্ব দান আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় সম্পদ। এটা অস্বীকার করা যাবে না যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের পুঁজি এবং সম্পদ অফুরন্ত। দলটি সাত দশকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় পোড় খাওয়া। তবে এটাও ঠিক যে আওয়ামী লীগ তার পুঁজি ও সম্পদ যথাযথ সংরক্ষণ ব্যবস্থার পরিবর্তে তার অপব্যবহার ও অপচয় করেছে এবং করছে।
আওয়ামী লীগ যদি তার পুঁজি ও সম্পদের সদ্ব্যবহার করতে পারত, তাহলে বিএনপির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সব সময় এগিয়ে থাকত। আজ ক্ষমতার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য বিএনপির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে আওয়ামী লীগ যেভাবে ক্রমাগত তার নিজের জায়গা ছাড়ছে, তাতে মানুষের পক্ষে এই দুই দলের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে। মানুষ আওয়ামী লীগকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দৃঢ় দেখতে চায়। বিএনপি যেটা করে মানুষের সমর্থন ও সহানুভূতি পায়, আওয়ামী লীগ সেটা করলে হয় বিরূপ প্রতিক্রিয়া। আওয়ামী লীগের কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেশি। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে দলের নেতৃত্বে, সে দল জনপ্রত্যাশার বিপরীতে যাবে না—এটাই মানুষ চায়।
পরিতাপের বিষয় এটাই যে ভোটের রাজনীতিতে এগিয়ে থাকার লোভ আওয়ামী লীগকে বিএনপির অনুসারী করে ফেলছে। বিএনপির রাজনীতি ধার করার প্রবণতা আওয়ামী লীগকে দ্রুত পরিহার করতে হবে। বিএনপি আর আওয়ামী লীগ যে এক নয়, সেটা মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হবে। বিএনপির কাছ থেকে একটি বিষয় আওয়ামী লীগকে শিখতে হবে এবং সেটা হলো, রাজনীতিতে নিজস্ব অবস্থান বা জায়গা ছাড়তে নেই। তাহলে বিশ্বাসযোগ্যতার সংকট তৈরি হয়। এত ঝড়ঝাপটা সত্ত্বেও বিএনপি কিন্তু তার রাজনীতির মূল ধারা থেকে সরে আসছে না। ভারতবিরোধিতা বাদ দিচ্ছে না। জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ‘ঘোষক’ বলে দাবি করলেও মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় রাজনীতিতে সেভাবে সামনে আনছে না। নতুন প্রজন্মের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রবল ঘৃণা তৈরি হলেও বিএনপি কিন্তু তার অবস্থান বদলায়নি।
বিএনপি মনে করে, রাজনীতিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ তার সম্পদ নয়; ওটা আওয়ামী লীগের সম্পদ। ওই সম্পদের মালিকানা দাবি করলে তার সমর্থক গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ তৈরি হবে, ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে অবস্থান নিলে বিএনপির জনসমর্থন বাড়ত বলে অনেকে মনে করলেও বিএনপি দলীয়ভাবে সেটা মনে করেনি। আবার জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা না রাখা নিয়েও বিএনপির অবস্থানের ধারাবাহিকতা আছে। জামায়াত ছাড়লে বিএনপির জনপ্রিয়তা বাড়বে—এই প্রচারে বিএনপি প্রলুব্ধ হয়নি। আওয়ামী লীগ থেকে নিজেদের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিএনপি যতটা যত্নবান, আওয়ামী লীগ যেন বৈশিষ্ট্য খোয়াতে ততটাই বেশি আগ্রহী। আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলের জন্য বিএনপি তাদের খোলস বদলায় না। বলতেই হবে, বিএনপির এটা একটা সবলতা। কিন্তু আওয়ামী লীগের মতো দল কিছুটা যেন ভুল পথে হাঁটছে। বিএনপি এটা করেছে, কাজেই আমরাও তাই করব—এই যদি হয় আওয়ামী লীগের মনোভাব, তাহলে মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখবে কীভাবে?
খারাপের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করাই যেন আমাদের রাজনীতির নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজে বড় না হয়ে কথায় বড় হওয়ার প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। চারদিকে শুধু কথার ফুলঝুরি। মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। বিভ্রান্ত মানুষকে বিপথগামী করা সহজ। বাস্তবেও হচ্ছে তাই। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিকে যদি উনিশ-বিশ মনে করা হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের মর্যাদাহানি হয়।
আওয়ামী লীগ চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আছে। বিএনপিও আর ক্ষমতার বাইরে থাকতে চাচ্ছে না। এভাবে চললে নেতাদের রসদে টান পড়বে। কথায় বলে, বসে খেলে লক্ষ্মীর ভান্ডারেও টান পড়ে। তাই ক্ষমতায় ফেরার জন্য বিএনপির চেষ্টা-অপচেষ্টা—কোনোটারই কমতি নেই।
যেকোনো কারণেই হোক, বিএনপি সব সময় মনে করে, আওয়ামী লীগের চেয়ে তারা বেশি জনপ্রিয়। মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে বিএনপিই জয়লাভ করবে। আর আওয়ামী লীগ ভাবছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে দেশে এত উন্নয়ন হয়েছে যে মানুষ এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য কিছুতেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যাবে না।
শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থা আছে, এটা ঠিক। তবে আওয়ামী লীগের ওপর মানুষ কতটুকু ভরসা রাখতে পারছে, তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ দল হিসেবে জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারছে না। নীতিহীনতার রাজনীতি পরিহার না করলে আওয়ামী লীগের জন্য আগামী দিনগুলো চ্যালেঞ্জিং হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত ১৫ বছর টানা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের দৃশ্যমান অনেক অগ্রগতি হয়েছে। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থারও পরিবর্তন ঘটেছে। অনেক সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ভালো। আমরা এখন নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ। মধ্যম ও উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্য এবং পরিকল্পনা নিয়ে সরকার অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু রাজনীতিতে নীতিহীনতার ধারা অব্যাহত থাকলে দেশ নিয়ে খুব আশাবাদী হওয়ার সুযোগ থাকবে কি?
লেখক: জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা

আমাদের স্বাধীনতার বয়স ৫২ বছর। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বৈষম্য ও জুলুমের শাসন কায়েম করে মানুষকে অধিকারহীন, মর্যাদাহীন করে দাবিয়ে রেখে মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগী অনুগত ব্যক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল বলেই তো আমরা পাকিস্তানি জিঞ্জির ভাঙার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়েছিলাম। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে আমরা কি এটা সত্যি দাবি করতে পারি যে আমরা আমাদের স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হয়েছি?
আমাদের দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এই দুই দলের মধ্যে বনিবনা নেই, সদ্ভাব নেই—এটা সবারই জানা। এই দুই দল পর্যায়ক্রমে একাধিকবার দেশ শাসন করলেও জাতীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দুটি দলের মধ্যে ঐক্য ও সমঝোতা নেই, অচিরেই কোনো ধরনের সমঝোতা হবে, তারও কোনো লক্ষণ দেখা যায় না।
এখন শাসনক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ একটি রেকর্ড তৈরি করেছে। আবার ক্ষমতায় থেকে জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দল বিএনপি ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে আছে এবং দলটি টিকে আছে—এটাও কম কথা নয়। কোনো কোনো রাজনৈতিক পণ্ডিত মনে করতেন, বেশি দিন ক্ষমতার বাইরে থাকলে বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। ব্যক্তিগতভাবে আমি অবশ্য তা মনে করি না। বিএনপি যে রাজনৈতিক ধারার প্রতিনিধিত্ব করে, সেই রাজনীতি অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ও ভারতবিরোধিতার রাজনীতি দেশে তত দিন বহাল থাকবে, যত দিন আওয়ামী লীগ থাকবে।
সাদাচোখে দেখে দুই দলের আচার-আচরণ প্রায় এক বলে মনে হলেও দুই দলের আদর্শিক অবস্থানে ভিন্নতা আছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে স্বজনপ্রীতি, ঘুষ-দুর্নীতি, দলবাজি-দখলবাজি করে—বিএনপি ক্ষমতায় গেলেও তা-ই করে। দুর্নীতি এবং ক্ষমতা সম্ভবত হাত ধরাধরি করে চলে। এটা শুধু বাংলাদেশের বিষয় নয়, পৃথিবীর অনেক দেশেই দুর্নীতি এখন একটি বড় বিষয়। ক্ষমতা থাকলে দুর্নীতিও থাকবে। দুর্নীতির মাত্রা কী হবে, তা বিতর্কের বিষয় হতে পারে। কিন্তু দুর্নীতি করে বলেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এক হয়ে গেল—এই সিদ্ধান্ত অতি সরলীকরণ দোষে দুষ্ট এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় ভ্রান্ত।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সাধারণ মানুষের স্বার্থের অনুকূলে যতটা নীতি-পদক্ষেপ গ্রহণ করে, বিএনপি কি তা করে? বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ কি দুই শাসনামলে এক হয়? কৃষকসহ শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ কোন আমলে বেশি রক্ষিত হয়? জাতীয় অগ্রগতির জন্য জরুরি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কোন আমলে অগ্রাধিকার পায়? মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী, জঙ্গিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি—এগুলো কি বিএনপির কাছে আশা করা যায়? ১৫ আগস্টের বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বছরের পর বছর ঝুলে থাকা বিরোধ নিষ্পত্তিতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির অবস্থান কি এক?
আমাদের দেশে একটি মতলববাজ গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে এক পাল্লায় মাপতে চায়, বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই। এটা প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সুবিধা এটাই যে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে তাহলে ম্লান করা যায়। আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী দল বললে কেউ কেউ আপত্তি করেন এই কথা বলে যে আওয়ামী লীগ এখন আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাগত অবস্থানে নেই। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম উপাদান ছিল অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মকে রাজনীতির উপজীব্য না করা। কিন্তু আওয়ামী লীগ এখন ধর্ম নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের সঙ্গে আপসের পথে হাঁটছে। আওয়ামী লীগে আশ্রয় পাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর মতো দলের নেতা-কর্মীরা। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী কারও কারও রাজনৈতিক শেল্টারও আওয়ামী লীগে হয়েছে।
এই অভিযোগগুলো অসত্য নয়। আওয়ামী লীগের মধ্যে ত্রুটি-দুর্বলতা-দোদুল্যমানতা—সবই আছে। তারপরও বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগকে
যে কারণে এগিয়ে রাখতে হবে সেটা হলো, এই দলের নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং এখনো এই দলের হাল ধরে আছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
কেউ হয়তো বলবেন, ব্যক্তিকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে সবকিছু বিচার করলে তার ফল ভালো হয় না। ব্যক্তি নয়, ইতিহাসের নির্মাতা ও নিয়ন্তা হলো জনগণ। মানুষের ঐক্যবদ্ধ ও সম্মিলিত শক্তির কাছে ব্যক্তি তুচ্ছ। বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে এটা নিশ্চয়ই ঠিক। তবে ইতিহাসে ব্যক্তির ভূমিকাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনেক সময় ব্যক্তি যে ইতিহাসের অনিবার্য রূপকার হয়ে ওঠেন, তার অনেক নজিরও ইতিহাসেই আছে।
একজন ব্যক্তি যখন বলেন, ‘আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি’—এবং সম্মিলিত জনতা তাতে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে, তখন তিনি আর ব্যক্তিমাত্র থাকেন না, হয়ে যান সমষ্টির একজন। ব্যক্তি শেখ মুজিব যেমন বাংলাদেশ নামক স্বাধীন ভূখণ্ড প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অদ্বিতীয় হয়ে উঠেছিলেন, তেমনি ব্যক্তি শেখ মুজিবের নির্মম হত্যাকাণ্ড একটি জাতির বিপর্যয়েরও কারণ হয়েছিল। নির্দিষ্ট এক ব্যক্তির থাকা না থাকার গুরুত্ব তাই খাটো করে দেখার বিষয় নয়। বর্তমান পর্যায়ে শেখ হাসিনার উপস্থিতি এবং নেতৃত্ব দান আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় সম্পদ। এটা অস্বীকার করা যাবে না যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের পুঁজি এবং সম্পদ অফুরন্ত। দলটি সাত দশকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় পোড় খাওয়া। তবে এটাও ঠিক যে আওয়ামী লীগ তার পুঁজি ও সম্পদ যথাযথ সংরক্ষণ ব্যবস্থার পরিবর্তে তার অপব্যবহার ও অপচয় করেছে এবং করছে।
আওয়ামী লীগ যদি তার পুঁজি ও সম্পদের সদ্ব্যবহার করতে পারত, তাহলে বিএনপির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সব সময় এগিয়ে থাকত। আজ ক্ষমতার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য বিএনপির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে আওয়ামী লীগ যেভাবে ক্রমাগত তার নিজের জায়গা ছাড়ছে, তাতে মানুষের পক্ষে এই দুই দলের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে। মানুষ আওয়ামী লীগকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দৃঢ় দেখতে চায়। বিএনপি যেটা করে মানুষের সমর্থন ও সহানুভূতি পায়, আওয়ামী লীগ সেটা করলে হয় বিরূপ প্রতিক্রিয়া। আওয়ামী লীগের কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেশি। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে দলের নেতৃত্বে, সে দল জনপ্রত্যাশার বিপরীতে যাবে না—এটাই মানুষ চায়।
পরিতাপের বিষয় এটাই যে ভোটের রাজনীতিতে এগিয়ে থাকার লোভ আওয়ামী লীগকে বিএনপির অনুসারী করে ফেলছে। বিএনপির রাজনীতি ধার করার প্রবণতা আওয়ামী লীগকে দ্রুত পরিহার করতে হবে। বিএনপি আর আওয়ামী লীগ যে এক নয়, সেটা মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হবে। বিএনপির কাছ থেকে একটি বিষয় আওয়ামী লীগকে শিখতে হবে এবং সেটা হলো, রাজনীতিতে নিজস্ব অবস্থান বা জায়গা ছাড়তে নেই। তাহলে বিশ্বাসযোগ্যতার সংকট তৈরি হয়। এত ঝড়ঝাপটা সত্ত্বেও বিএনপি কিন্তু তার রাজনীতির মূল ধারা থেকে সরে আসছে না। ভারতবিরোধিতা বাদ দিচ্ছে না। জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ‘ঘোষক’ বলে দাবি করলেও মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় রাজনীতিতে সেভাবে সামনে আনছে না। নতুন প্রজন্মের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রবল ঘৃণা তৈরি হলেও বিএনপি কিন্তু তার অবস্থান বদলায়নি।
বিএনপি মনে করে, রাজনীতিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ তার সম্পদ নয়; ওটা আওয়ামী লীগের সম্পদ। ওই সম্পদের মালিকানা দাবি করলে তার সমর্থক গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ তৈরি হবে, ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে অবস্থান নিলে বিএনপির জনসমর্থন বাড়ত বলে অনেকে মনে করলেও বিএনপি দলীয়ভাবে সেটা মনে করেনি। আবার জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা না রাখা নিয়েও বিএনপির অবস্থানের ধারাবাহিকতা আছে। জামায়াত ছাড়লে বিএনপির জনপ্রিয়তা বাড়বে—এই প্রচারে বিএনপি প্রলুব্ধ হয়নি। আওয়ামী লীগ থেকে নিজেদের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিএনপি যতটা যত্নবান, আওয়ামী লীগ যেন বৈশিষ্ট্য খোয়াতে ততটাই বেশি আগ্রহী। আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলের জন্য বিএনপি তাদের খোলস বদলায় না। বলতেই হবে, বিএনপির এটা একটা সবলতা। কিন্তু আওয়ামী লীগের মতো দল কিছুটা যেন ভুল পথে হাঁটছে। বিএনপি এটা করেছে, কাজেই আমরাও তাই করব—এই যদি হয় আওয়ামী লীগের মনোভাব, তাহলে মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখবে কীভাবে?
খারাপের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করাই যেন আমাদের রাজনীতির নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজে বড় না হয়ে কথায় বড় হওয়ার প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। চারদিকে শুধু কথার ফুলঝুরি। মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। বিভ্রান্ত মানুষকে বিপথগামী করা সহজ। বাস্তবেও হচ্ছে তাই। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিকে যদি উনিশ-বিশ মনে করা হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের মর্যাদাহানি হয়।
আওয়ামী লীগ চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আছে। বিএনপিও আর ক্ষমতার বাইরে থাকতে চাচ্ছে না। এভাবে চললে নেতাদের রসদে টান পড়বে। কথায় বলে, বসে খেলে লক্ষ্মীর ভান্ডারেও টান পড়ে। তাই ক্ষমতায় ফেরার জন্য বিএনপির চেষ্টা-অপচেষ্টা—কোনোটারই কমতি নেই।
যেকোনো কারণেই হোক, বিএনপি সব সময় মনে করে, আওয়ামী লীগের চেয়ে তারা বেশি জনপ্রিয়। মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে বিএনপিই জয়লাভ করবে। আর আওয়ামী লীগ ভাবছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে দেশে এত উন্নয়ন হয়েছে যে মানুষ এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য কিছুতেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যাবে না।
শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থা আছে, এটা ঠিক। তবে আওয়ামী লীগের ওপর মানুষ কতটুকু ভরসা রাখতে পারছে, তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ দল হিসেবে জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারছে না। নীতিহীনতার রাজনীতি পরিহার না করলে আওয়ামী লীগের জন্য আগামী দিনগুলো চ্যালেঞ্জিং হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত ১৫ বছর টানা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের দৃশ্যমান অনেক অগ্রগতি হয়েছে। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থারও পরিবর্তন ঘটেছে। অনেক সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ভালো। আমরা এখন নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ। মধ্যম ও উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্য এবং পরিকল্পনা নিয়ে সরকার অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু রাজনীতিতে নীতিহীনতার ধারা অব্যাহত থাকলে দেশ নিয়ে খুব আশাবাদী হওয়ার সুযোগ থাকবে কি?
লেখক: জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

আমাদের স্বাধীনতার বয়স ৫২ বছর। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বৈষম্য ও জুলুমের শাসন কায়েম করে মানুষকে অধিকারহীন, মর্যাদাহীন করে দাবিয়ে রেখে মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগী অনুগত ব্যক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল বলেই তো আমরা পাকিস্তানি জিঞ্জির ভাঙার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়েছিলাম। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে আমরা কি এটা সত্যি দা
২৬ জুলাই ২০২৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

আমাদের স্বাধীনতার বয়স ৫২ বছর। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বৈষম্য ও জুলুমের শাসন কায়েম করে মানুষকে অধিকারহীন, মর্যাদাহীন করে দাবিয়ে রেখে মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগী অনুগত ব্যক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল বলেই তো আমরা পাকিস্তানি জিঞ্জির ভাঙার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়েছিলাম। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে আমরা কি এটা সত্যি দা
২৬ জুলাই ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

আমাদের স্বাধীনতার বয়স ৫২ বছর। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বৈষম্য ও জুলুমের শাসন কায়েম করে মানুষকে অধিকারহীন, মর্যাদাহীন করে দাবিয়ে রেখে মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগী অনুগত ব্যক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল বলেই তো আমরা পাকিস্তানি জিঞ্জির ভাঙার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়েছিলাম। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে আমরা কি এটা সত্যি দা
২৬ জুলাই ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আমাদের স্বাধীনতার বয়স ৫২ বছর। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বৈষম্য ও জুলুমের শাসন কায়েম করে মানুষকে অধিকারহীন, মর্যাদাহীন করে দাবিয়ে রেখে মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগী অনুগত ব্যক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল বলেই তো আমরা পাকিস্তানি জিঞ্জির ভাঙার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়েছিলাম। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে আমরা কি এটা সত্যি দা
২৬ জুলাই ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫