রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলায় বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে চাহিদার তুলনায় এ উপজেলায় এবার বই এসেছে তিন ভাগের এক ভাগ।

উপজেলা মাধ্যমিক অফিস থেকে এবার পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা দেওয়া হয়েছিলে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫০টি। এর বিপরীতে উপজেলা শিক্ষা অফিস পেয়েছে মাত্র ৭০ হাজার পাঠ্যপুস্তক। গত কয়েক দিন থেকে উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই পাঠানোর কাজ চলছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে ৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক স্কুল ৪৫টি মাদ্রাসা ১৯টি এবং কারিগরি ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৮ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। ফলে এ উপজেলা থেকে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫০টি নতুন বইয়ের চাহিদা পাঠানো ছিল। ওই চাহিদার ওপর উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে ৭৪ হাজার নতুন পাঠ্যপুস্তক এসেছে।

যে পাঠ্যপুস্তক উপজেলায় এসেছে তা প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছানো হয়েছে। অবশিষ্ট পাঠ্যপুস্তক জানুয়ারির মধ্যে পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার ইবতেদায়ি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি দাখিলের সপ্তম ও নবম শ্রেণি মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণি এবং কারিগরি শিক্ষার্থীদের কোনো পাঠ্যপুস্তক উপজেলায় আসেনি।

তবে অল্প সময়ের মধ্যে এসব বই আসবে বলে জানান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহিদুল হক। তিনি বলেন, ‘এ বছরে চাহিদার তুলনায় অর্ধেকেরও কম বই পেয়েছি আমরা। বইগুলো বছরের প্রথম দিনেই যাতে শিক্ষার্থীরা পায় সে জন্য প্রতিটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মকলেছুর রহমান জানান, উপজেলায় ৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এতে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১৩ হাজার ১১৭ জন। এর মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যপুস্তক এখনো আসেনি। নতুন যেসব পাঠ্যপুস্তক এসেছে তা আমরা ইতিমধ্যে উপজেলায় ৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছি। নতুন বছরের জানুয়ারির ১ তারিখে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসে বই নিতে শিক্ষকেরা বলেন, ‘এ বছরে শিক্ষার্থীদের তুলনায় অনেক কম বই পেয়েছি। এই বইগুলো বিতরণে সমস্যায় পড়তে হবে। অনেক শিক্ষার্থী বই না পেলে মন খারাপ করে।’