সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জেলার সব কটি উপজেলার গ্রামের প্রায় ঘরেই এখন হাঁটু বা গলাপানি। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
সারা দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। পাওয়া যাচ্ছে না মোবাইলের নেটওয়ার্ক। পানির উচ্চতা ক্রমে বাড়ছে। এদিকে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের। তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে আশ্রয় ও খাদ্যের অভাবে। বন্যাকবলিতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছ, ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতেও গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সুনামগঞ্জে হয়েছে ১৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ২০২০ সালে বড় বন্যার সময় পানির উচ্চতা ছিল বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপরে। গত বৃহস্পতিবার তা অতিক্রম করেছে। এখন বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে সুরমার পানি।
জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ, শান্তিগঞ্জ, ও সুনামগঞ্জ সদরের ৫ শতাধিক গ্রামের ৪ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সুনামগঞ্জ শহরের সুরমা নদীর তীরবর্তী সব এলাকার ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে হাঁটু থেকে কোমরপানি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী এলাকাগুলোতে পানি ওঠায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ। সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার নবীনগর, ষোলঘর, উকিলপাড়া, জেলরোড, জগন্নাথবাড়ি, মধ্যবাজার ও পশ্চিমবাজার এলাকার বাড়িঘর ও দোকানপাটে হাঁটু বা কোমরপানি। শহরের পূর্ব-পশ্চিম নতুনপাড়া, বড়পাড়া, তেঘরিয়া, বাঁধনপাড়া, শান্তিবাগ, আরপিননগর, কালীপুরসহ বর্ধিত এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। দুর্ঘটনা এড়াতে ছাতক ও সুনামগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে সুনামগঞ্জ জেলা ও তৎসংলগ্ন এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা ও নলজুর নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। তলিয়ে গেছে সড়ক। গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। ২০টি বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে দুই শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আরও কয়েক শ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের। তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে আশ্রয় ও খাদ্যের অভাবে।
উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের সবক’টি এলাকার গ্রামীণ জনপথ বন্যায় তলিয়ে গেছে।
বানভাসিরা জানান, ঘরে বানের পানি ঢুকে পড়েছে। কারও বাড়িতে কমরপানি। আবার কারও ঘরে হাঁটুপানি। দেখা দিয়েছে খাদ্যসংকট। আবার অনেকে গৃহপালিত পশু নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে ৷
বিশেষ করে জগন্নাথপুর পৌরসভা, কলকলিয়া, চিলাউড়া-হলদিপুর, রানীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের প্রত্যেক গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া উপজেলার ২০টি বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে দুই শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলাজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠাসহ বিদ্যালয়ের যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ১৫৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে অধিকাংশতে পাঠদান সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারে পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।’
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জেলার সব কটি উপজেলার গ্রামের প্রায় ঘরেই এখন হাঁটু বা গলাপানি। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
সারা দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। পাওয়া যাচ্ছে না মোবাইলের নেটওয়ার্ক। পানির উচ্চতা ক্রমে বাড়ছে। এদিকে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের। তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে আশ্রয় ও খাদ্যের অভাবে। বন্যাকবলিতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছ, ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতেও গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সুনামগঞ্জে হয়েছে ১৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ২০২০ সালে বড় বন্যার সময় পানির উচ্চতা ছিল বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপরে। গত বৃহস্পতিবার তা অতিক্রম করেছে। এখন বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে সুরমার পানি।
জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ, শান্তিগঞ্জ, ও সুনামগঞ্জ সদরের ৫ শতাধিক গ্রামের ৪ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সুনামগঞ্জ শহরের সুরমা নদীর তীরবর্তী সব এলাকার ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে হাঁটু থেকে কোমরপানি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী এলাকাগুলোতে পানি ওঠায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ। সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার নবীনগর, ষোলঘর, উকিলপাড়া, জেলরোড, জগন্নাথবাড়ি, মধ্যবাজার ও পশ্চিমবাজার এলাকার বাড়িঘর ও দোকানপাটে হাঁটু বা কোমরপানি। শহরের পূর্ব-পশ্চিম নতুনপাড়া, বড়পাড়া, তেঘরিয়া, বাঁধনপাড়া, শান্তিবাগ, আরপিননগর, কালীপুরসহ বর্ধিত এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। দুর্ঘটনা এড়াতে ছাতক ও সুনামগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে সুনামগঞ্জ জেলা ও তৎসংলগ্ন এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা ও নলজুর নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। তলিয়ে গেছে সড়ক। গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। ২০টি বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে দুই শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আরও কয়েক শ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের। তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে আশ্রয় ও খাদ্যের অভাবে।
উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের সবক’টি এলাকার গ্রামীণ জনপথ বন্যায় তলিয়ে গেছে।
বানভাসিরা জানান, ঘরে বানের পানি ঢুকে পড়েছে। কারও বাড়িতে কমরপানি। আবার কারও ঘরে হাঁটুপানি। দেখা দিয়েছে খাদ্যসংকট। আবার অনেকে গৃহপালিত পশু নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে ৷
বিশেষ করে জগন্নাথপুর পৌরসভা, কলকলিয়া, চিলাউড়া-হলদিপুর, রানীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের প্রত্যেক গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া উপজেলার ২০টি বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে দুই শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলাজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠাসহ বিদ্যালয়ের যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ১৫৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে অধিকাংশতে পাঠদান সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারে পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে