মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা
বিশ্বজুড়ে পর্যটন দ্রুত বর্ধনশীল এবং লাভজনক খাত হিসেবে বিবেচিত। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান ১০ শতাংশের বেশি। যদিও বাংলাদেশের জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) পর্যটন খাতের অবদান মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ, যা প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সবচেয়ে কম। তবে খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সরকারের সঠিক পরিকল্পনা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ, সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, সর্বোপরি সেবা খাতে পর্যটকবান্ধব প্রশিক্ষিত জনবল বাড়ানো হলে এ খাত দেশের জিডিপিতে ১০ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের (ডব্লিউটিটিসি) তথ্য বলছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটনশিল্পের মোট অবদান ছিল ৭ হাজার ৮৩৩ মিলিয়ন ডলার, যা দেশের মোট জিডিপির ২ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২০ সালে এটি ছিল ৬ হাজার ২২৭ মিলিয়ন ডলার, যা মোট জিডিপির ১ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ছিল ৯ হাজার ৮১৩ মিলিয়ন ডলার; যা মোট জিডিপির ৩ শতাংশ।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদানে প্রথম অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। দেশটির জাতীয় আয়ের সিংহভাগ আসে পর্যটন থেকে; এরপরই মৎস্যশিল্প। ২০২১ সালে জিডিপিতে পর্যটনশিল্পের মোট অবদান ছিল ২ হাজার ৮৭ মিলিয়ন ডলার, যা দেশটির মোট জিডিপির ৪৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
করোনার আগে ২০১৯ সালে এটি ছিল ৩ হাজার ১৪২ মিলিয়ন ডলার; যা ছিল মোট জিডিপির ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণের মধ্যেও ২০২০ সালে দেশটির পর্যটন থেকে আয় ছিল ২ হাজার ৪০৪ মিলিয়ন ডলার, যা মোট জিডিপির ৩৫ দশমিক ২ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মালদ্বীপ পর্যটকদের উন্নত সেবা দিতে কোনো আপস করে না। এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে থাকে দেশটির সরকারি সংস্থাগুলো। পর্যটকদের প্রতি স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতার কারণে খাদ্যে ভেজাল বা ঠকানোর মতো অপরাধ নেই বললেই চলে। ফলে নিরাপদ বোধ করায় খরচ বেশি হলেও প্রতিবছরই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা ছুটে যান মালদ্বীপে।
ডব্লিউটিটিসির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের জিডিপিতে ২০২১ সালে পর্যটনশিল্পের মোট অবদান ছিল ১৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা দেশটির মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে নেপালের ৪ দশমিক ৩ শতাংশ, পাকিস্তানের ৩ দশমিক ৭ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কার ছিল ৩ দশমিক ১ শতাংশ।
দেশের পর্যটনশিল্পের বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) তথ্য বলছে, বাংলাদেশে পর্যটনের ১ হাজার ৬৮টি গন্তব্য থাকলেও পর্যটকেরা মূলত কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সুন্দরবনের মতো গুটিকয়েক গন্তব্যেই ভ্রমণে যাচ্ছেন। মূলত অন্য গন্তব্যগুলোয় যাতায়াত ও অবকাঠামো উন্নয়ন করা গেলে দেশি পর্যটকের পাশাপাশি বাড়বে বিদেশিও।
দেশে প্রথম জাতীয় পর্যটন নীতিমালা করা হয় ১৯৯২ সালে। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালে তা হালনাগাদ করা হয়। ২০১৫ সালে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ শুরু করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি)। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী মনে করেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাত নিয়ে তৈরি করা মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন হলে তা জিডিপিতে ১০ শতাংশ অবদান রাখবে। যদিও এখন পর্যন্ত খসড়াতেই আটকে রয়েছে সেই মাস্টারপ্ল্যান।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে। মাস্টারপ্ল্যানে গোটা বাংলাদেশকে আটটি রিজিয়ন এবং ৫৩টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১৯টি ক্লাস্টারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গুয়ার হাওর, পদ্মা ব্রিজ, কক্সবাজারের শাহপরীর দ্বীপ, সুন্দরবনের শরণখোলা এবং পাহাড়পুরের সোমপুর বিহারে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে আগামী অর্থবছর থেকেই। সেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আনতেও বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশে ঠিক কতসংখ্যক বিদেশি পর্যটক আসেন, ‘তার সঠিক পরিসংখ্যান কিন্তু আমরা পাই না। গত বছর পাঁচ মাসেই প্রায় তিন লাখ বিদেশি পর্যটক এসেছিলেন। চলতি বছর এ সংখ্যা আরও বেড়েছে। প্রত্যেকেই নিজের সঙ্গে ডলার বহন করেন, যা তাঁরা নিজেরাই অথবা ক্ষেত্রবিশেষে ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ভাঙান। অনেক ক্ষেত্রেই এসব বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে আসে না।
বিশ্বজুড়ে পর্যটন দ্রুত বর্ধনশীল এবং লাভজনক খাত হিসেবে বিবেচিত। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান ১০ শতাংশের বেশি। যদিও বাংলাদেশের জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) পর্যটন খাতের অবদান মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ, যা প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সবচেয়ে কম। তবে খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সরকারের সঠিক পরিকল্পনা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ, সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, সর্বোপরি সেবা খাতে পর্যটকবান্ধব প্রশিক্ষিত জনবল বাড়ানো হলে এ খাত দেশের জিডিপিতে ১০ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের (ডব্লিউটিটিসি) তথ্য বলছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটনশিল্পের মোট অবদান ছিল ৭ হাজার ৮৩৩ মিলিয়ন ডলার, যা দেশের মোট জিডিপির ২ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২০ সালে এটি ছিল ৬ হাজার ২২৭ মিলিয়ন ডলার, যা মোট জিডিপির ১ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ছিল ৯ হাজার ৮১৩ মিলিয়ন ডলার; যা মোট জিডিপির ৩ শতাংশ।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদানে প্রথম অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। দেশটির জাতীয় আয়ের সিংহভাগ আসে পর্যটন থেকে; এরপরই মৎস্যশিল্প। ২০২১ সালে জিডিপিতে পর্যটনশিল্পের মোট অবদান ছিল ২ হাজার ৮৭ মিলিয়ন ডলার, যা দেশটির মোট জিডিপির ৪৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
করোনার আগে ২০১৯ সালে এটি ছিল ৩ হাজার ১৪২ মিলিয়ন ডলার; যা ছিল মোট জিডিপির ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণের মধ্যেও ২০২০ সালে দেশটির পর্যটন থেকে আয় ছিল ২ হাজার ৪০৪ মিলিয়ন ডলার, যা মোট জিডিপির ৩৫ দশমিক ২ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মালদ্বীপ পর্যটকদের উন্নত সেবা দিতে কোনো আপস করে না। এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে থাকে দেশটির সরকারি সংস্থাগুলো। পর্যটকদের প্রতি স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতার কারণে খাদ্যে ভেজাল বা ঠকানোর মতো অপরাধ নেই বললেই চলে। ফলে নিরাপদ বোধ করায় খরচ বেশি হলেও প্রতিবছরই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা ছুটে যান মালদ্বীপে।
ডব্লিউটিটিসির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের জিডিপিতে ২০২১ সালে পর্যটনশিল্পের মোট অবদান ছিল ১৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা দেশটির মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে নেপালের ৪ দশমিক ৩ শতাংশ, পাকিস্তানের ৩ দশমিক ৭ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কার ছিল ৩ দশমিক ১ শতাংশ।
দেশের পর্যটনশিল্পের বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) তথ্য বলছে, বাংলাদেশে পর্যটনের ১ হাজার ৬৮টি গন্তব্য থাকলেও পর্যটকেরা মূলত কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সুন্দরবনের মতো গুটিকয়েক গন্তব্যেই ভ্রমণে যাচ্ছেন। মূলত অন্য গন্তব্যগুলোয় যাতায়াত ও অবকাঠামো উন্নয়ন করা গেলে দেশি পর্যটকের পাশাপাশি বাড়বে বিদেশিও।
দেশে প্রথম জাতীয় পর্যটন নীতিমালা করা হয় ১৯৯২ সালে। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালে তা হালনাগাদ করা হয়। ২০১৫ সালে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ শুরু করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি)। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী মনে করেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাত নিয়ে তৈরি করা মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন হলে তা জিডিপিতে ১০ শতাংশ অবদান রাখবে। যদিও এখন পর্যন্ত খসড়াতেই আটকে রয়েছে সেই মাস্টারপ্ল্যান।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে। মাস্টারপ্ল্যানে গোটা বাংলাদেশকে আটটি রিজিয়ন এবং ৫৩টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১৯টি ক্লাস্টারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গুয়ার হাওর, পদ্মা ব্রিজ, কক্সবাজারের শাহপরীর দ্বীপ, সুন্দরবনের শরণখোলা এবং পাহাড়পুরের সোমপুর বিহারে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে আগামী অর্থবছর থেকেই। সেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আনতেও বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশে ঠিক কতসংখ্যক বিদেশি পর্যটক আসেন, ‘তার সঠিক পরিসংখ্যান কিন্তু আমরা পাই না। গত বছর পাঁচ মাসেই প্রায় তিন লাখ বিদেশি পর্যটক এসেছিলেন। চলতি বছর এ সংখ্যা আরও বেড়েছে। প্রত্যেকেই নিজের সঙ্গে ডলার বহন করেন, যা তাঁরা নিজেরাই অথবা ক্ষেত্রবিশেষে ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ভাঙান। অনেক ক্ষেত্রেই এসব বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে আসে না।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে