শিক্ষার্থীদের সম্মতি না নিয়ে মাদ্রাসায় ভর্তির আবেদন

মুলাদী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ০৮
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ০১

মুলাদীতে শিক্ষার্থীদের সম্মতি ছাড়াই মাদ্রাসায় ভর্তির আবেদন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের ইসলামাবাদ নেছারিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারী ওই মাদ্রাসার ৫৪ জন শিক্ষার্থীর ভর্তির আবেদন করে দিয়েছেন। ফলে শিক্ষার্থীরা অন্য কোথাও ভর্তির আবেদন করতে পারছেন না।

বিশেষ করে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। বিজ্ঞান পড়ার ইচ্ছা থাকলেও মাদ্রাসার সাধারণ বিভাগে আবেদন করে দেওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশনা অমান্য করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

উচ্চমাধ্যমিক ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের গত ৮ জানুয়ারি উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ভর্তির আবেদন শুরু হয়। সেখানে একজনের আবেদন অন্য কেউ যেন না করে সে বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

ইসলামাবাদ নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. ইয়াসিন মুনির ওই মাদ্রাসার বিজ্ঞান বিভাগের ১১ জন এবং সাধারণ বিভাগের ৪৩ জন শিক্ষার্থীর আবেদন করে দিয়েছেন।

চরডুমুরীতলা গ্রামের এলেম সরদারের ছেলে নাহিদ বলে, ‘কারিগরি ইনস্টিটিউটে পড়ার ইচ্ছা নিয়ে মাদ্রাসার বিজ্ঞান বিভাগে পড়েছি। মাদ্রাসায় আমার রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকায় তারা ৮ জানুয়ারি রাত ১২টার পর ইসলামাবাদ নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসা প্রথম পছন্দ দিয়ে আবেদন করে দিয়েছেন। তাই এখন আমার ইচ্ছা অনুযায়ী আবেদন করতে পারছি না।’

গাছুয়া ইউনিয়নের চরধলেশ্বর গ্রামের মনির ঘরামির ছেলে নাজমুল বলে, ‘উচ্চমাধ্যমিকেও বিজ্ঞান নিয়ে পড়ব। ইসলামাবাদ নেছারিয়া মাদ্রাসায় বিজ্ঞান বিভাগ নেই। তাই অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মাদ্রাসা থেকে আবেদন করে দেওয়ায় আবেদন করতে পারছি না।’

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইয়াসিন মুনির শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে আবেদন করার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অফিস সহকারী শিক্ষার্থীদের আবেদন করে দিয়েছেন। তবে কোনো শিক্ষার্থী অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চাইলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে আবেদন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগ পেলে তাঁদের ইচ্ছা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত