রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
নরসিংদীর রায়পুরায় ভিড় বেড়েছে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রির (ওএমএস) ডিলারের দোকানে।
বাজারে নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন বাড়ছে। এতে চরম বিপাকে রয়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। পণ্যের দাম বাড়লেও বাড়েনি আয়। তাই পরিবার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। ফলে কম দামে চাল ও আটা কিনতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা ভিড় করছেন অনুমোদিত ডিলারের দোকানে। ডিলাররা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। তাই বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। তবে প্রশাসন বলছে, বরাদ্দ বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে আটার চাহিদা বেশি। তাই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় উপজেলার পৌর এলাকায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত তিনজন ডিলারকে ওএমএস-এর জন্য অনুমোদন দেওয়া আছে। এতে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও আটা ১৮ টাকা দরে সুবিধাভোগীরা ক্রয় করতে পারবেন। একজন ক্রেতার একসঙ্গে পাঁচ কেজি আটা ও পাঁচ কেজি চাল কেনার সুযোগ রয়েছে। পৌর এলাকায় তিনটি পয়েন্টে তিনজন ডিলারকে অনুমোদন দেওয়ায় উপকারভোগীরা চাল-আটা কেনার সুযোগ পাচ্ছেন।
গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার অনুমোদনপ্রাপ্ত তিনটি ডিলার পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে নারী-পুরুষের উপচেপড়া ভিড়। পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা অনেক বেশি। কম দামে আটা ও চাল কিনতে ভোর থেকে অপেক্ষা করছেন ক্রেতারা। এ সময় কথা হয় ক্রেতা ও ডিলারের সঙ্গে।
ছবি বেগম (৭০) বলেন, ‘স্বামী নাই, ছেলেদের পৃথক সংসার। মানুষের কাছ থেকে টাকা চেয়ে কোনো রকমে জীবন চালিয়ে আসছি। বাজারে যে দাম তাতে চাল-আটা কোনো কিছুই কেনার উপায় নাই। এখানে দামে কম হওয়ায় চাল কিনতে এসেছি।’
নাজমা আক্তার নামের আরেকজন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। আটা কিনতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। দিন আনি দিন খাই। এত টাকা কই পামু। কম টাকায় পাঁচ কেজি আটা কেনা যায় কি না দেখি?’
রমজান নামের একজন অটোরিকশাচালক বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে, সেভাবে আয়-রোজগার বাড়ছে না। এখানে কম দামে চাল ও আটা কিনতে পারছি। তাই তিন-চার দিন পরপর এখান থেকে কম দামে চাল ও আটা কিনতে আসি।’
তুলাতলি ডিলার পয়েন্টের পরিচালক মাহিনুর রহমান বলেন, ‘বাজারের তুলনায় চাল ও আটার দাম এখানে কম। তাই প্রতিদিনই ভিড় জমে। ক্রেতাদের মধ্যে চালের তুলনায় আটার চাহিদা বেশি।’
বাবুল মিয়া নামের একজন ডিলার বলেন, ‘প্রতিদিন এক হাজার কেজি চাল ও এক হাজার কেজি আটা বরাদ্দ পাই। কিন্তু যে পরিমাণ লোকজন ভিড় করে, তাতে হিমশিম খেতে হয়। এখান থেকে দেওয়া চাল ও আটার মান খুবই ভালো। বরাদ্দের চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি থাকায় দুপুরের আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। চালের তুলনায় আটার গ্রাহক বেশি। প্রতিদিন ২০০ জনকে আটা দেওয়ার সুযোগ থাকলেও ভিড় করছেন ৩০০ থেকে ৪০০ জন। এতে অনেকেই মন খারাপ করছেন। বরাদ্দ আরও বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
খোলা বাজার তদারকি কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের মধ্যে আটার চাহিদা বেশি লক্ষ করা গেছে। এই মুহূর্তে আটা বন্ধ রয়েছে। শুধু চাল দেওয়া হচ্ছে।’
নরসিংদীর রায়পুরায় ভিড় বেড়েছে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রির (ওএমএস) ডিলারের দোকানে।
বাজারে নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন বাড়ছে। এতে চরম বিপাকে রয়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। পণ্যের দাম বাড়লেও বাড়েনি আয়। তাই পরিবার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। ফলে কম দামে চাল ও আটা কিনতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা ভিড় করছেন অনুমোদিত ডিলারের দোকানে। ডিলাররা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। তাই বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। তবে প্রশাসন বলছে, বরাদ্দ বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে আটার চাহিদা বেশি। তাই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় উপজেলার পৌর এলাকায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত তিনজন ডিলারকে ওএমএস-এর জন্য অনুমোদন দেওয়া আছে। এতে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও আটা ১৮ টাকা দরে সুবিধাভোগীরা ক্রয় করতে পারবেন। একজন ক্রেতার একসঙ্গে পাঁচ কেজি আটা ও পাঁচ কেজি চাল কেনার সুযোগ রয়েছে। পৌর এলাকায় তিনটি পয়েন্টে তিনজন ডিলারকে অনুমোদন দেওয়ায় উপকারভোগীরা চাল-আটা কেনার সুযোগ পাচ্ছেন।
গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার অনুমোদনপ্রাপ্ত তিনটি ডিলার পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে নারী-পুরুষের উপচেপড়া ভিড়। পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা অনেক বেশি। কম দামে আটা ও চাল কিনতে ভোর থেকে অপেক্ষা করছেন ক্রেতারা। এ সময় কথা হয় ক্রেতা ও ডিলারের সঙ্গে।
ছবি বেগম (৭০) বলেন, ‘স্বামী নাই, ছেলেদের পৃথক সংসার। মানুষের কাছ থেকে টাকা চেয়ে কোনো রকমে জীবন চালিয়ে আসছি। বাজারে যে দাম তাতে চাল-আটা কোনো কিছুই কেনার উপায় নাই। এখানে দামে কম হওয়ায় চাল কিনতে এসেছি।’
নাজমা আক্তার নামের আরেকজন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। আটা কিনতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। দিন আনি দিন খাই। এত টাকা কই পামু। কম টাকায় পাঁচ কেজি আটা কেনা যায় কি না দেখি?’
রমজান নামের একজন অটোরিকশাচালক বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে, সেভাবে আয়-রোজগার বাড়ছে না। এখানে কম দামে চাল ও আটা কিনতে পারছি। তাই তিন-চার দিন পরপর এখান থেকে কম দামে চাল ও আটা কিনতে আসি।’
তুলাতলি ডিলার পয়েন্টের পরিচালক মাহিনুর রহমান বলেন, ‘বাজারের তুলনায় চাল ও আটার দাম এখানে কম। তাই প্রতিদিনই ভিড় জমে। ক্রেতাদের মধ্যে চালের তুলনায় আটার চাহিদা বেশি।’
বাবুল মিয়া নামের একজন ডিলার বলেন, ‘প্রতিদিন এক হাজার কেজি চাল ও এক হাজার কেজি আটা বরাদ্দ পাই। কিন্তু যে পরিমাণ লোকজন ভিড় করে, তাতে হিমশিম খেতে হয়। এখান থেকে দেওয়া চাল ও আটার মান খুবই ভালো। বরাদ্দের চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি থাকায় দুপুরের আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। চালের তুলনায় আটার গ্রাহক বেশি। প্রতিদিন ২০০ জনকে আটা দেওয়ার সুযোগ থাকলেও ভিড় করছেন ৩০০ থেকে ৪০০ জন। এতে অনেকেই মন খারাপ করছেন। বরাদ্দ আরও বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
খোলা বাজার তদারকি কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের মধ্যে আটার চাহিদা বেশি লক্ষ করা গেছে। এই মুহূর্তে আটা বন্ধ রয়েছে। শুধু চাল দেওয়া হচ্ছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে