বিশ্বনাথ উপজেলার মাঠে মাঠে এখন শীতকালীন আগাম সবজি শোভা পাচ্ছে। উপজেলায় এবার শীতের আগাম সবজি চাষ বেশি হয়। এরই মধ্যে এসব সবজি কৃষকেরা বাজারজাত করতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে মুলা, শিম, বাঁধাকপি, আলু, লাল শাক, ফুলকপি, টমেটো।

প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে শীতকালীন সবজি নিয়ে ভিড় করছেন কৃষকেরা। তবে এসব সবজির দাম একটু বেশি। তারপরও লোকজন নতুন সবজি কিনছেন। আগাম সবজি বাজারে তুলতে পারলে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব সেই চিন্তা থেকেই এবার উপজেলার কৃষকেরা আগাম সবজি চাষ করেন।

উপজেলার খাজাঞ্চি ও অলঙ্কারী ইউনিয়নে শীতকালীন সবজি বেশি চাষাবাদ হয়। ফলে এসব ইউনিয়নের আগাম সবজি চাষিরা কেউ কেউ সবজি তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। অপরদিকে যারা আগাম সবজি চাষ করেননি তাঁরা এখন সবজি চাষে ব্যস্ত।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথে এ বছর ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এখন পর্যন্ত মাত্র ৬৩০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। তবে এখনো সবজি আবাদ চলমান রয়েছে।

উপজেলার কর্মকলাপতি, মাধবপুর, রহিমপুর, হরিপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, শীতকালীন সবজি চাষ শুরু হয়েছে কয়েক দিন আগেই। যারা পিছিয়ে পড়েছেন তারা এখন চাষে তোড়জোড় শুরু করেছেন। সবজি চাষে এখন খরচ বাড়ছে। কীটনাশক, সার, শ্রমিক, সেচ খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকেরা চাষাবাদে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন।

তেলিকোনা গ্রামের আগাম সবজি চাষি নুরুল হক বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে আমাদের সবজি চারা কিছুটা নষ্ট হলেও ফলন ভালো হয়েছে। লাল শাক, আগাম জাতের চিচিঙ্গা, ঝিঙের আবাদ করেছি। আশা করি লাভবান হব।’

খাজাঞ্চি ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে সব চেয়ে বেশি সবজি চাষাবাদ হয়। এখানে আগাম জাতের সবজি চাষ হয়েছে। বর্তমানে এলাকার সবজি চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে আগাম চাষ কম হয়েছে। তবে শীতকালীন সবজি চাষে কোনো প্রভাব পড়বে না।