রিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) জন্য জমি অধিগ্রহণ এবং অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প এখন পর্যন্ত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পাস হয়নি। এ পর্যন্ত প্রকল্পটি একনেক সভা পর্যন্ত পৌঁছেনি।
ফলে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কোনো টাকাও পাওয়া যায়নি। অথচ এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এখন শুধু একটি আইন আর পরিপত্রের ওপর ভর করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অধিভুক্ত করে চলছে একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১২ মে জাতীয় সংসদে ‘রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৬’ অনুমোদন পায়। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল নিয়োগ দেওয়া হয় উপাচার্য। তারপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষকদের একটি তিনতলা আবাসিক ভবন এবং বিভাগীয় কন্টিনিউইং এডুকেশন সেন্টারের দোতলায় শুরু হয় রামেবির কার্যক্রম। আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ২৬টি মেডিকেল কলেজ ও ১৬টি নার্সিং কলেজ-ইনস্টিটিউটকে ২০১৭ সালে নিজেদের অধিভুক্তও করেছে রামেবি। কিন্তু এখনো রামেবি স্থায়ী রূপ পায়নি। রামেবির প্রথম উপাচার্য ডা. মাসুম হাবিব এ বিষয়ে এগোতে পারেননি। তাঁর সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য ৮৬ একর জায়গা পছন্দ করা হয়েছিল। নানা জটিলতায় সে জমিও বাদ দিতে হয়। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এবং রামেবি কর্তৃপক্ষ নগরীর সিটিহাট এলাকায় বাজেসিলিন্দা ও বড়নবগ্রাম মৌজায় ৬৮ একর জায়গা পছন্দ করেছে।
নতুন এই জমিতে এক হাজার ২০০ শয্যার হাসপাতাল, একাডেমিক ভবন, প্রশাসন ভবন, স্কুল, মসজিদ, হোস্টেল, ডরমেটরি, বঙ্গবন্ধু চত্বর, বঙ্গবন্ধু কর্নার, পাওয়ার হাউজসহ মোট ৪২টি ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা। জমি অধিগ্রহণসহ এসব ভবন নির্মাণে দরকার প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি নিয়ে পিইসিতে একটি বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। ফলে প্রকল্পটি একনেকে যায়নি।
জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, ‘মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ক্ষেত্রে শুধু জমি অধিগ্রহণের কাজটা জেলা প্রশাসনের। আমরা জমি পছন্দ করেছি। টাকা পেলেই অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারব। কিন্তু প্রকল্পই অনুমোদন হয়নি। আমরা সবকিছু প্রস্তুত করে এখন উপাচার্যকে চাপ দিচ্ছি যেন প্রকল্পটা দ্রুত পাস করিয়ে আনা হয়।’
এতদিনেও প্রকল্প পাস না হওয়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দুষছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রাজশাহী শিল্পে পিছিয়ে। এটি শিক্ষা নগরী। এখানে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হলে পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা হবে। এশিয়ার নানা দেশ থেকে শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা আসবেন। রাজশাহীর অর্থনীতি চাঙা হবে। পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের চিকিৎসা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। স্থানীয় রাজনীতিকেরা সক্রিয় হলে প্রকল্পটি পাস হয়ে যেত।’ তিনি বলেন, ‘মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসাশিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রিও দেওয়া হবে। একই সঙ্গে কার্যক্রম শুরু হয়ে দেশের কয়েকটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কিন্তু অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আর প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা সত্ত্বেও রাজশাহীর এমন একটি মহৎ প্রকল্প কেন পিছিয়ে পড়ে আছে সেটি তদন্তের দাবি রাখে। এ ব্যাপারে স্থানীয় রাজনীতিক এবং সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি করতে হবে।’
রামেবির উপাচার্য হিসেবে গত মে মাসে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. এজেডএম মোস্তাক হোসেন তুহিন। তিনি বলেন, ‘রামেবিতে এখন শুধু অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে ভালোভাবে একাডেমিক কার্যক্রম চলছে। কিন্তু স্থায়ী ভবন না থাকায় রামেবিতে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়নি। নানা কারণে কোনো প্রকল্পও একনেকে পাস হয়নি। এখন আমরা দ্রুত সময়ে করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) জন্য জমি অধিগ্রহণ এবং অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প এখন পর্যন্ত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পাস হয়নি। এ পর্যন্ত প্রকল্পটি একনেক সভা পর্যন্ত পৌঁছেনি।
ফলে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কোনো টাকাও পাওয়া যায়নি। অথচ এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এখন শুধু একটি আইন আর পরিপত্রের ওপর ভর করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অধিভুক্ত করে চলছে একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১২ মে জাতীয় সংসদে ‘রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৬’ অনুমোদন পায়। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল নিয়োগ দেওয়া হয় উপাচার্য। তারপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষকদের একটি তিনতলা আবাসিক ভবন এবং বিভাগীয় কন্টিনিউইং এডুকেশন সেন্টারের দোতলায় শুরু হয় রামেবির কার্যক্রম। আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ২৬টি মেডিকেল কলেজ ও ১৬টি নার্সিং কলেজ-ইনস্টিটিউটকে ২০১৭ সালে নিজেদের অধিভুক্তও করেছে রামেবি। কিন্তু এখনো রামেবি স্থায়ী রূপ পায়নি। রামেবির প্রথম উপাচার্য ডা. মাসুম হাবিব এ বিষয়ে এগোতে পারেননি। তাঁর সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য ৮৬ একর জায়গা পছন্দ করা হয়েছিল। নানা জটিলতায় সে জমিও বাদ দিতে হয়। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এবং রামেবি কর্তৃপক্ষ নগরীর সিটিহাট এলাকায় বাজেসিলিন্দা ও বড়নবগ্রাম মৌজায় ৬৮ একর জায়গা পছন্দ করেছে।
নতুন এই জমিতে এক হাজার ২০০ শয্যার হাসপাতাল, একাডেমিক ভবন, প্রশাসন ভবন, স্কুল, মসজিদ, হোস্টেল, ডরমেটরি, বঙ্গবন্ধু চত্বর, বঙ্গবন্ধু কর্নার, পাওয়ার হাউজসহ মোট ৪২টি ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা। জমি অধিগ্রহণসহ এসব ভবন নির্মাণে দরকার প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি নিয়ে পিইসিতে একটি বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। ফলে প্রকল্পটি একনেকে যায়নি।
জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, ‘মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ক্ষেত্রে শুধু জমি অধিগ্রহণের কাজটা জেলা প্রশাসনের। আমরা জমি পছন্দ করেছি। টাকা পেলেই অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারব। কিন্তু প্রকল্পই অনুমোদন হয়নি। আমরা সবকিছু প্রস্তুত করে এখন উপাচার্যকে চাপ দিচ্ছি যেন প্রকল্পটা দ্রুত পাস করিয়ে আনা হয়।’
এতদিনেও প্রকল্প পাস না হওয়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দুষছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রাজশাহী শিল্পে পিছিয়ে। এটি শিক্ষা নগরী। এখানে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হলে পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা হবে। এশিয়ার নানা দেশ থেকে শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা আসবেন। রাজশাহীর অর্থনীতি চাঙা হবে। পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের চিকিৎসা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। স্থানীয় রাজনীতিকেরা সক্রিয় হলে প্রকল্পটি পাস হয়ে যেত।’ তিনি বলেন, ‘মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসাশিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রিও দেওয়া হবে। একই সঙ্গে কার্যক্রম শুরু হয়ে দেশের কয়েকটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কিন্তু অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আর প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা সত্ত্বেও রাজশাহীর এমন একটি মহৎ প্রকল্প কেন পিছিয়ে পড়ে আছে সেটি তদন্তের দাবি রাখে। এ ব্যাপারে স্থানীয় রাজনীতিক এবং সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি করতে হবে।’
রামেবির উপাচার্য হিসেবে গত মে মাসে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. এজেডএম মোস্তাক হোসেন তুহিন। তিনি বলেন, ‘রামেবিতে এখন শুধু অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে ভালোভাবে একাডেমিক কার্যক্রম চলছে। কিন্তু স্থায়ী ভবন না থাকায় রামেবিতে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়নি। নানা কারণে কোনো প্রকল্পও একনেকে পাস হয়নি। এখন আমরা দ্রুত সময়ে করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে