সংস্কারের পরও অতিরিক্ত ভাড়া

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬: ০২
Thumbnail image

সংস্কারের পরও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফরিদগঞ্জ-রূপসা সড়কে। এখনো আঞ্চলিক এই সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি হারে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

উপজেলার পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সদর উপজেলার যোগাযোগের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ হচ্ছে এই ‘ফরিদগঞ্জ-রূপসা সড়ক’। এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূর্বে ফরিদগঞ্জ থেকে রূপসা যাতায়াতের ভাড়া নির্ধারিত ছিল ২০ টাকা। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরা এই সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যার ফলে চালকদের কেউ কেউ বিকল্প সড়ক দিয়ে যাতায়াতের কারণ দেখিয়ে ভাড়া বাড়িয়ে নেয়।

আবার কোন কোন অটোরিকশা চালক সেই খনা খন্দের বেহাল সড়কটি দিয়েই যাতায়াত করে গাড়ির বিভিন্ন পার্টস দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে ২০ টাকা ভাড়া ৩০ টাকা আদায় করতেন। সে সময়ে সড়কের এমন অবস্থার কারণে অনেকটা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে এ পথের যাত্রীদের। কিন্তু গত কয়েক দিন আগে সড়কটির সংস্কারকাজ শেষ হয়ে পূর্বের ন্যায় পিচ ঢালা মসৃণ সড়কে পরিণত হলেও নির্দিষ্ট ভাড়ার ৫০ শতাংশ অধিক ভাড়াই আদায় করছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকেরা।

এ সড়ক সংস্কারের এক সপ্তাহ পার হলেও কমেনি বর্ধিত ভাড়া। বিভিন্ন সময় এ রাস্তার যাত্রীরা চালকদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চালকেরা ২০ টাকার ভাড়া ৩০ টাকাই আদায় করছেন। এমন পরিস্থিতি সমাধানে এ পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন, সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির প্রতিনিধি কেউই কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। যেন অভিভাবকহীন সড়কটি দেখার কেউ নেই। এ রুটে নিয়মিত যাতায়াত করা যাত্রীদের যেন ভোগান্তির শেষ হয়েও হয়নি শেষ।

আঞ্চলিক এ রুটে চলাচলকারী কয়েকজন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকের কাছে জানতে চাওয়া হয়-কেন নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া? এমন প্রশ্নের জবাবে মনির হোসেন নামের চালক বলেন, ‘সবকিছুর দামই তো বাড়ছে। বাজার কোনডার দাম কমছে বলেন। আমরা যে গ্যাস দিয়ে অটোরিকশা চালাই সেই গ্যাসের দামও তো কয়েকবার বেড়েছে। যেটার দাম একবার বাড়ে, সেটা আর কমে না।’

দূরত্ব অনুযায়ী অন্য রাস্তায় ভাড়া আরও কম। তা হলে এই রাস্তায় কেন আদাই করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া?-এমন প্রশ্নের জাবাবে ইকবাল হোসেন নামকের আরেক চালক বলেন, ‘সবকিছুর দামই বাড়ে। চালকদের কাছে ভাড়া দিতে আসলে সব সমস্যা দেখা দেয় মানুষের।’

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মিজির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক দিন জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকার পর রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসেনি। যেহেতু আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি আমরা শিগগিরই সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের ডেকে ওদের নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিউলী হরির কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত