সম্পাদকীয়
২৫ মার্চ বোঝা যাচ্ছিল, ইয়াহিয়া সরকার বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা দেবে না। অস্বাভাবিক কিছু ঘটতে পারে, সেটা বোঝা যাচ্ছিল। তাজউদ্দীন আহমদের বাড়িতে উত্তেজনা। মিমি আর সোহেলকে নিয়ে জোহরা তাজউদ্দীনের চলে যাওয়ার কথা জিঞ্জিরায় তাজউদ্দীন আহমদের বন্ধু মি. হামিদের বাড়িতে। হামিদ সাহেব গাড়ি নিয়ে এসেছেন অনেকক্ষণ, কিন্তু তাজউদ্দীন না ফেরায় ওদের নিয়ে যেতে পারছেন না। রাত ১০টা বেজে গেলে হামিদ সাহেব ফিরে গেলেন। সাড়ে ১০টার দিকে ফিরলেন তাজউদ্দীন।
তাজউদ্দীন আহমদের মন ছিল খুব খারাপ। তিনি বললেন, ‘কথা ছিল মুজিব ভাই আর আমি আজ রাতে আত্মগোপন করে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, পর্যবেক্ষণ করব। সেই মতো থাকার ব্যবস্থা আমাদের আগে থেকেই করা ছিল। কিন্তু এখন মুজিব ভাই কিছুতেই বাড়ি থেকে যাবেন না। আমিও যাব না।’
তাজউদ্দীন আহমদ কাপড় ছাড়লেন। লুঙ্গি আর গেঞ্জি পরে বাড়ির লনে পায়চারি করতে লাগলেন। এ সময় একটা জিপ এসে থামল বাড়ির সামনে। জিপে করে এসেছিলেন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম আর ড. কামাল হোসেন। তাঁরা তিনজন বাগানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে লাগলেন।
তাজউদ্দীন আহমদ বললেন, ‘মুজিব ভাই বাসা থেকে গেলেন না। আমিও যাব না।’
কিন্তু কয়েক মুহূর্ত পর তিনি মত বদলে ফেললেন। দ্রুত কাপড় পাল্টে তাঁদের দুজনের সঙ্গে উঠে পড়লেন জিপে। যাওয়ার সময় দ্রুত এক হাতে নিয়ে নিলেন শার্ট আর অন্য হাতে নিলেন একটা রাইফেল।
জোহরা তাজউদ্দীন জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন স্বামীর দিকে। তাজউদ্দীন আহমদ দূর থেকে বললেন, ‘তোমরা কী করবে করো। আমি চললাম।’
জিপটা সাঁ করে বের হয়ে গেল।
ঠিক তার কয়েক মিনিট পরেই প্রচণ্ড গুলির শব্দ। ভীত জোহরা নিজের বাড়ি ছেড়ে বাচ্চাদের নিয়ে ওপরতলার ভাড়াটিয়ার বাড়িতে গিয়ে দাঁড়ালেন। তাজউদ্দীন আহমদের বাড়িতে পাকিস্তানি সৈন্যরা এসে তাণ্ডব চালাল।
সূত্র: সিমিন হোসেন রিমি, আমার ছোটবেলা, ১৯৭১ এবং বাবা তাজউদ্দীন আহমদ, পৃষ্ঠা ৬২-৬৩
২৫ মার্চ বোঝা যাচ্ছিল, ইয়াহিয়া সরকার বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা দেবে না। অস্বাভাবিক কিছু ঘটতে পারে, সেটা বোঝা যাচ্ছিল। তাজউদ্দীন আহমদের বাড়িতে উত্তেজনা। মিমি আর সোহেলকে নিয়ে জোহরা তাজউদ্দীনের চলে যাওয়ার কথা জিঞ্জিরায় তাজউদ্দীন আহমদের বন্ধু মি. হামিদের বাড়িতে। হামিদ সাহেব গাড়ি নিয়ে এসেছেন অনেকক্ষণ, কিন্তু তাজউদ্দীন না ফেরায় ওদের নিয়ে যেতে পারছেন না। রাত ১০টা বেজে গেলে হামিদ সাহেব ফিরে গেলেন। সাড়ে ১০টার দিকে ফিরলেন তাজউদ্দীন।
তাজউদ্দীন আহমদের মন ছিল খুব খারাপ। তিনি বললেন, ‘কথা ছিল মুজিব ভাই আর আমি আজ রাতে আত্মগোপন করে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, পর্যবেক্ষণ করব। সেই মতো থাকার ব্যবস্থা আমাদের আগে থেকেই করা ছিল। কিন্তু এখন মুজিব ভাই কিছুতেই বাড়ি থেকে যাবেন না। আমিও যাব না।’
তাজউদ্দীন আহমদ কাপড় ছাড়লেন। লুঙ্গি আর গেঞ্জি পরে বাড়ির লনে পায়চারি করতে লাগলেন। এ সময় একটা জিপ এসে থামল বাড়ির সামনে। জিপে করে এসেছিলেন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম আর ড. কামাল হোসেন। তাঁরা তিনজন বাগানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে লাগলেন।
তাজউদ্দীন আহমদ বললেন, ‘মুজিব ভাই বাসা থেকে গেলেন না। আমিও যাব না।’
কিন্তু কয়েক মুহূর্ত পর তিনি মত বদলে ফেললেন। দ্রুত কাপড় পাল্টে তাঁদের দুজনের সঙ্গে উঠে পড়লেন জিপে। যাওয়ার সময় দ্রুত এক হাতে নিয়ে নিলেন শার্ট আর অন্য হাতে নিলেন একটা রাইফেল।
জোহরা তাজউদ্দীন জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন স্বামীর দিকে। তাজউদ্দীন আহমদ দূর থেকে বললেন, ‘তোমরা কী করবে করো। আমি চললাম।’
জিপটা সাঁ করে বের হয়ে গেল।
ঠিক তার কয়েক মিনিট পরেই প্রচণ্ড গুলির শব্দ। ভীত জোহরা নিজের বাড়ি ছেড়ে বাচ্চাদের নিয়ে ওপরতলার ভাড়াটিয়ার বাড়িতে গিয়ে দাঁড়ালেন। তাজউদ্দীন আহমদের বাড়িতে পাকিস্তানি সৈন্যরা এসে তাণ্ডব চালাল।
সূত্র: সিমিন হোসেন রিমি, আমার ছোটবেলা, ১৯৭১ এবং বাবা তাজউদ্দীন আহমদ, পৃষ্ঠা ৬২-৬৩
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে