ইমাম হাসান মুক্তি, লালপুর (নাটোর)
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নাটোরের লালপুরে তিন ফসলি জমিতে চলছে অবৈধভাবে পুকুর খনন। অবাধে পুকুর খনন বন্ধ না করা হলে স্থায়ী জলাবদ্ধতাসহ কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকেরা। এতে কৃষিজমি নষ্টের পাশাপাশি পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। গত দুই বছরে লালপুর উপজেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে মৎস্য চাষ বেড়েছে।
জানা গেছে, নাটোর জেলায় কৃষিজমিতে পুকুর খনন বন্ধ করতে গত ২০১৯ সালের ১২ মে হাইকোর্টে একটি রিট শুনানি করা হয়। এ সময় জেলার পাঁচটি উপজেলার অভ্যন্তরে কৃষিজমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ফসলি জমিতে নতুন করে ৩০টি পুকুর খনন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ২৪ মার্চ ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে লিখিত অভিযোগ, উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি এলাকায় ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন। অর্জুনপুর-বরমহাটি, দুয়ারিয়া, কদিমচিলন, চংধুপইল, দুড়দুড়িয়া, ঈশ্বরদী, ওয়ালিয়া, লালপুর, বিলমাড়িয়া ও আড়বাব ইউনিয়নের জয়কৃষ্টপুর, উধনপাড়া, গখুরাবাদ, বোয়ালিয়াপাড়া, বালিতিতা, লক্ষ্মীপুর, চামটিয়া, রাকশা, পানঘাটা, বাহাদিপুর এবং বসন্তপুর গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পুকুর খনন করা হচ্ছে। ওই সব এলাকায় প্রায় ১৫টি স্থানে খনন যন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে তিন ফসিল জমিতে পুকুর খননের কাজ চলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রিজভী কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঈশ্বরদী ইউনিয়নের চামটিয়া উত্তরপাড়া (জয়ন্তিপুর) গ্রামে ওয়াদ আলীর আমবাগানসহ ফসলি জমি থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে পুকুর খনন করছে। সেই মাটি ১৮-২০টি ট্রাক্টরে করে নিয়ে গিয়ে লালপুর-ঈশ্বরদী সড়কের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বসন্তপুর বিল এলাকার কয়েকজন শ্রমিক ও কৃষক বলেন, উধনপাড়া, জয়কৃষ্টপুর, গখুরাবাদ, বোয়ালিয়াপাড়া, বসন্তপুর বিলে অবৈধ পুকুর খনন করে বিলের পানি নিষ্কাশনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতায় তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। একসময় সবুজের বুক চিরে বিলের আনাচ-কানাচে সোনার ফসল ফলত। কিন্তু পরিবেশ বিপর্যয়ে হারাতে বসেছে বিলের সবুজ সৌন্দর্য, কাজ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এই এলাকার খেটে খাওয়া শ্রমিকেরা।
এলাকার কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন, অনেকেই এখন ভিটেমাটিতে করা আম, লিচু, কাঁঠালবাগান কেটে সাময়িক লাভের আশায় পুকুর খনন করছেন। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের লোকজন দু-একটা অভিযান চালান। তাতে কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না কৃষিজমির এই ধ্বংসযজ্ঞ।
খনন যন্ত্রের চালকেরা বলেন, ‘পুকুর খননের জন্য কৃষকদের সঙ্গে চুক্তিসহ সবাইকে ম্যানেজ করেই কৃষিজমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। ওই সব মাটি ইটভাটায় প্রতি গাড়ি সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুকুর খননকারী বলেন, ‘আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করছি। সবাই বিষয়টি জানেন। সাংবাদিকেরাও জানেন। সবার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তা ছাড়া লিখিত অনুমতি না থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তাঁদের মৌখিক অনুমতিতে পুকুর খনন করছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত দুই বছরে উপজেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে মৎস্য চাষ বেড়েছে। কৃষিজমিতে পুকুর খননের ফলে ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। কমছে কৃষিজমি। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, পুকুর খনন বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় কৃষিজমিতে পুকুর খননের অভিযোগে ইটভাটা মালিক, পুকুরের মালিক ও গাড়ির চালককে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে খনন যন্ত্রের ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে। ইউএনও আরও বলেন, অবৈধ খনন বন্ধে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিসহ সবার সার্বিক সহযোগিতার প্রয়োজন।
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নাটোরের লালপুরে তিন ফসলি জমিতে চলছে অবৈধভাবে পুকুর খনন। অবাধে পুকুর খনন বন্ধ না করা হলে স্থায়ী জলাবদ্ধতাসহ কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকেরা। এতে কৃষিজমি নষ্টের পাশাপাশি পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। গত দুই বছরে লালপুর উপজেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে মৎস্য চাষ বেড়েছে।
জানা গেছে, নাটোর জেলায় কৃষিজমিতে পুকুর খনন বন্ধ করতে গত ২০১৯ সালের ১২ মে হাইকোর্টে একটি রিট শুনানি করা হয়। এ সময় জেলার পাঁচটি উপজেলার অভ্যন্তরে কৃষিজমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ফসলি জমিতে নতুন করে ৩০টি পুকুর খনন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ২৪ মার্চ ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে লিখিত অভিযোগ, উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি এলাকায় ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন। অর্জুনপুর-বরমহাটি, দুয়ারিয়া, কদিমচিলন, চংধুপইল, দুড়দুড়িয়া, ঈশ্বরদী, ওয়ালিয়া, লালপুর, বিলমাড়িয়া ও আড়বাব ইউনিয়নের জয়কৃষ্টপুর, উধনপাড়া, গখুরাবাদ, বোয়ালিয়াপাড়া, বালিতিতা, লক্ষ্মীপুর, চামটিয়া, রাকশা, পানঘাটা, বাহাদিপুর এবং বসন্তপুর গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পুকুর খনন করা হচ্ছে। ওই সব এলাকায় প্রায় ১৫টি স্থানে খনন যন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে তিন ফসিল জমিতে পুকুর খননের কাজ চলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রিজভী কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঈশ্বরদী ইউনিয়নের চামটিয়া উত্তরপাড়া (জয়ন্তিপুর) গ্রামে ওয়াদ আলীর আমবাগানসহ ফসলি জমি থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে পুকুর খনন করছে। সেই মাটি ১৮-২০টি ট্রাক্টরে করে নিয়ে গিয়ে লালপুর-ঈশ্বরদী সড়কের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বসন্তপুর বিল এলাকার কয়েকজন শ্রমিক ও কৃষক বলেন, উধনপাড়া, জয়কৃষ্টপুর, গখুরাবাদ, বোয়ালিয়াপাড়া, বসন্তপুর বিলে অবৈধ পুকুর খনন করে বিলের পানি নিষ্কাশনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতায় তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। একসময় সবুজের বুক চিরে বিলের আনাচ-কানাচে সোনার ফসল ফলত। কিন্তু পরিবেশ বিপর্যয়ে হারাতে বসেছে বিলের সবুজ সৌন্দর্য, কাজ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এই এলাকার খেটে খাওয়া শ্রমিকেরা।
এলাকার কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন, অনেকেই এখন ভিটেমাটিতে করা আম, লিচু, কাঁঠালবাগান কেটে সাময়িক লাভের আশায় পুকুর খনন করছেন। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের লোকজন দু-একটা অভিযান চালান। তাতে কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না কৃষিজমির এই ধ্বংসযজ্ঞ।
খনন যন্ত্রের চালকেরা বলেন, ‘পুকুর খননের জন্য কৃষকদের সঙ্গে চুক্তিসহ সবাইকে ম্যানেজ করেই কৃষিজমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। ওই সব মাটি ইটভাটায় প্রতি গাড়ি সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুকুর খননকারী বলেন, ‘আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করছি। সবাই বিষয়টি জানেন। সাংবাদিকেরাও জানেন। সবার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তা ছাড়া লিখিত অনুমতি না থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তাঁদের মৌখিক অনুমতিতে পুকুর খনন করছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত দুই বছরে উপজেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে মৎস্য চাষ বেড়েছে। কৃষিজমিতে পুকুর খননের ফলে ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। কমছে কৃষিজমি। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, পুকুর খনন বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় কৃষিজমিতে পুকুর খননের অভিযোগে ইটভাটা মালিক, পুকুরের মালিক ও গাড়ির চালককে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে খনন যন্ত্রের ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে। ইউএনও আরও বলেন, অবৈধ খনন বন্ধে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিসহ সবার সার্বিক সহযোগিতার প্রয়োজন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে