চীনের বাণিজ্য জোটে বাংলাদেশের সায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১১: ২০

বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক জোট রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপে (আরসেপ) বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির পক্ষে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা। এ জোটে যোগ দিলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে স্থানীয় শিল্পের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। তাই আগে থেকেই দেশীয় শিল্পকে আন্তর্জাতিক বাজারের উপযোগী পণ্য উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

চীনের নেতৃত্বাধীন এ জোটে যোগ দিতে গত মঙ্গলবার এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্ত এখন মন্ত্রিপরিষদ সভায় উপস্থাপন করা হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আরসেপ চীনের নেতৃত্বাধীন জোট হিসেবে পরিচিত হলেও জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মতো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা এই জোটের সদস্য। ভারতের জন্যও দরজা খোলা আছে। আসিয়ানসহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো এর অন্তর্ভুক্ত। জোটের বাইরে থাকলেও বাংলাদেশের কাঁচামাল আমদানির মূল উৎস চীন। এ অবস্থায় আরসেপে যোগ দেওয়ায় সুফল আসবে। কারণ, বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম ইতিমধ্যে আরসেপভুক্ত দেশগুলোর ভ্যালু চেইনের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই বাংলাদেশেরও এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকা যৌক্তিক হবে। তবে আরসেপে যুক্ত হলে শুল্ক কমাতে হবে। তাই স্থানীয় শিল্পকে আরও সক্ষম করে তুলতে হবে। এর জন্য ১০ থেকে ১৫ বছর সময় পাওয়া যাবে।

ট্যারিফ কমিশনও তাদের এক সমীক্ষায় বলেছে, আরসেপে যোগ দিলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি ১৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ বাড়বে, যার পরিমাণ ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সার্বিক দিক চিন্তা করে অর্থনৈতিক এ জোটে অংশগ্রহণ করলে দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের জন্য ভালোই হবে। ভিয়েতনাম, চীনসহ আমাদের প্রতিযোগী বেশ কিছু দেশ এ জোটে আছে। আমাদেরও থাকা উচিত। চীন ও অন্য দেশের মতো বড় অর্থনীতির দেশে আমাদের উপস্থিতি অনেক কম। তাই সম্ভাবনাও বেশি। তাই দেশগুলোতে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে দেশীয় সক্ষমতাও বাড়াতে হবে।’

২০২২ সালের জানুয়ারিতে ১৫ দেশের বাণিজ্যিক জোট আরসেপ যাত্রা শুরু করে। দেশগুলোতে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মানুষ বা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের বসবাস। এ বাজারের আকার ২৬ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত