ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ
স্যার ফজলে হাসান আবেদ (১৯৩৬-২০১৯) দরিদ্র জনগোষ্ঠীর, বিশেষ করে নারী ও শিশুর উন্নয়নে তাঁর কয়েক দশকব্যাপী নিঃস্বার্থ, নিরলস, নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকায় নিজেই প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলেন। যিনি জীবনজুড়ে মানুষের মর্যাদা, প্রতিকূলতা মোকাবিলার সামর্থ্য, নিষ্ঠা এবং অন্তর্ভুক্তির মূল্যবোধের সপক্ষে কাজ করেছিলেন, তাঁর সেই সব মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল ব্র্যাক এবং ব্র্যাকের আলোয় আলোকপ্রাপ্ত প্রভূত প্রতিষ্ঠান, সেসব প্রতিষ্ঠানের সফল বিকাশ ঘটেছে অসংখ্য অয়োময় কর্মসূচি নিয়ে, যেগুলো দেদীপ্যমান দেশ ও দেশের সীমানা পেরিয়ে।
২০১৯ সালে ফজলে হাসান আবেদকে নেদারল্যান্ডসের নাইটহুড ‘অফিসার ইন দ্য অর্ডার অব অরেঞ্জ-নাসাউ’ খেতাবে রাজকীয় স্বীকৃতিদানের প্রাক্কালে তাদের সাইটেশনে যেমনটি বলা হয়েছে, ‘ব্র্যাকের সব কার্যক্রম ও ব্যবসায় উদ্যোগ পরিচালনায় নারীর ক্ষমতায়ন একটি মূলনীতি হিসেবে কাজ করে আসছে, বিশ্বে দারিদ্র্য ও বঞ্চনার মধ্যে বসবাসকারী মানুষের অবস্থার পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, যা বিশ্বব্যাপী বিশেষভাবে প্রশংসিত।’
ফজলে হাসান আবেদকে উদ্দেশ করে তাঁর এক জন্মদিনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ ও এর বাইরে লাখ লাখ মানুষকে নিজস্ব কাজের মাধ্যমে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি ও মর্যাদা পেতে আপনি সাহায্য করেছেন। উন্নয়ন সম্পর্কে আমরা যা ভাবি, আপনি সে কাজটিই করেছেন বৈপ্লবিকভাবে।’ ২০১০ সালে জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব বান কি মুন বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ‘স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গে’র একজন হিসেবে সম্মানিত করেন ফজলে হাসান আবেদকে।
তাঁর তিরোধানের পর ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দারিদ্র্যবিমোচন এবং টেকসই উন্নয়নে স্যার আবেদের দর্শনকে ‘জাতিসংঘের অনুপ্রেরণার উৎস’ এবং মানুষের জীবন অর্থবহ করা যায় শিক্ষার সুযোগের দ্বারা, এটা আবেদ সম্যক উপলব্ধি করেই শিক্ষা বিস্তারের যে মডেল তিনি গড়েছিলেন, সেটাই গোটা বিশ্বের অনুসরণীয় মডেল বলে অভিহিত। ২০১৯ সালে শিক্ষার উন্নয়ন বিষয়ে অত্যন্ত মর্যাদাসূচক এবং অর্থমূল্যের দিক থেকে সবচেয়ে বড় পুরস্কার ‘ইদান প্রাইজ’ লাভ করেন ফজলে হাসান আবেদ।
নাইট উপাধি দেওয়ার ঘোষণায় ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার ও সামাজিক উন্নয়নে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য চার দশক ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ায় আবেদকে এই সম্মান প্রদান করা হচ্ছে।’ মান্যবর আবেদ ছিলেন ১৯৪৭ সালের পর প্রথম বাংলাদেশি, যিনি নাইট উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।
১৮ বছর বয়সে বিলেতে নেভাল আর্কিটেক্টে অধ্যয়ন করতে গিয়ে শেষমেশ হিসাবশাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ১৯৬৮ সালে দেশে ফিরে বহুজাতিক কোম্পানি শেল অয়েলে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু তাঁর। শেল কোম্পানির অর্থ ও হিসাব বিভাগের বড় কর্তা তিনি তখন—১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর উপকূলীয় দ্বীপাঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। সন্দ্বীপ, হাতিয়া, মনপুরা—এই তিন দ্বীপের লাখ লাখ মানুষ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ হারান। ফজলে হাসান আবেদ, তাঁর বন্ধু ব্যারিস্টার ভিকারুল ইসলাম চৌধুরী, সহকর্মী কায়সার জামান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আকবর কবীর এবং নটর ডেম কলেজের শিক্ষক ফাদার টিম মিলে ‘হেলপ’ নামের একটি সংগঠন গড়ে তুলে মনপুরা দ্বীপের বিপন্ন ও বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা ব্যাপক ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। স্বজন ও সর্বস্ব হারানো মানুষের কাছে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়ার পাশাপাশি বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি আবার দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা।
১৯৭১ সালের মে মাসে কৌশলে পাকিস্তান হয়ে লন্ডনে গিয়ে সমমনা বন্ধুদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য কাজ শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য গড়ে তোলেন ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ ও ‘হেলপ বাংলাদেশ’ নামে দুটো সংগঠন। ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’-এর কাজ ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক সমর্থন আদায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত তৈরি এবং পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরোচিত কার্যকলাপ বন্ধে ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকারকে সক্রিয় করে তোলা। অন্যদিকে ‘হেলপ বাংলাদেশ’-এর কাজ ছিল অর্থ সংগ্রহ করে মুক্তিবাহিনীকে সহযোগিতা করা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরি, প্রচারপত্র বিলি, টাইমস অব লন্ডনে লেখা ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা, রেডিও ও টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেওয়া, ইউরোপীয় দেশগুলোর পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে স্বদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিবিধ কর্মতৎপরতা পরিচালনা করা।
১৯৭২ সালে লন্ডনে নিজের ফ্ল্যাট বিক্রি করার টাকা দিয়ে আবেদ শুরু করেন ব্র্যাকের কাজ। সেই থেকে আজ ব্র্যাকের বয়স ৪৮। এক লাখ কর্মী নিয়ে শুধু বাংলাদেশেই নয়, পৃথিবীর ১১টি দেশের ১২০ মিলিয়ন মানুষকে বিভিন্ন সেবা দিয়ে চলেছে ব্র্যাক। স্যার ফজলে হাসান আবেদ তাঁর কর্মময় জীবনের ৩৭টি বছর (নির্বাহী পরিচালক ১৯৭২-২০০১ এবং চেয়ারপারসন ২০০১-১৯) ব্র্যাককে অকাতরে দান করলেও ব্যক্তিগত নয়, প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছেন। মূলত চারটি মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করে ব্র্যাক। সততা ও নিষ্ঠা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী মনোভাব, সর্বজনীনতা এবং কার্যকারিতা।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ (১৯৩৬-২০১৯) দরিদ্র জনগোষ্ঠীর, বিশেষ করে নারী ও শিশুর উন্নয়নে তাঁর কয়েক দশকব্যাপী নিঃস্বার্থ, নিরলস, নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকায় নিজেই প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলেন। যিনি জীবনজুড়ে মানুষের মর্যাদা, প্রতিকূলতা মোকাবিলার সামর্থ্য, নিষ্ঠা এবং অন্তর্ভুক্তির মূল্যবোধের সপক্ষে কাজ করেছিলেন, তাঁর সেই সব মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল ব্র্যাক এবং ব্র্যাকের আলোয় আলোকপ্রাপ্ত প্রভূত প্রতিষ্ঠান, সেসব প্রতিষ্ঠানের সফল বিকাশ ঘটেছে অসংখ্য অয়োময় কর্মসূচি নিয়ে, যেগুলো দেদীপ্যমান দেশ ও দেশের সীমানা পেরিয়ে।
২০১৯ সালে ফজলে হাসান আবেদকে নেদারল্যান্ডসের নাইটহুড ‘অফিসার ইন দ্য অর্ডার অব অরেঞ্জ-নাসাউ’ খেতাবে রাজকীয় স্বীকৃতিদানের প্রাক্কালে তাদের সাইটেশনে যেমনটি বলা হয়েছে, ‘ব্র্যাকের সব কার্যক্রম ও ব্যবসায় উদ্যোগ পরিচালনায় নারীর ক্ষমতায়ন একটি মূলনীতি হিসেবে কাজ করে আসছে, বিশ্বে দারিদ্র্য ও বঞ্চনার মধ্যে বসবাসকারী মানুষের অবস্থার পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, যা বিশ্বব্যাপী বিশেষভাবে প্রশংসিত।’
ফজলে হাসান আবেদকে উদ্দেশ করে তাঁর এক জন্মদিনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ ও এর বাইরে লাখ লাখ মানুষকে নিজস্ব কাজের মাধ্যমে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি ও মর্যাদা পেতে আপনি সাহায্য করেছেন। উন্নয়ন সম্পর্কে আমরা যা ভাবি, আপনি সে কাজটিই করেছেন বৈপ্লবিকভাবে।’ ২০১০ সালে জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব বান কি মুন বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ‘স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গে’র একজন হিসেবে সম্মানিত করেন ফজলে হাসান আবেদকে।
তাঁর তিরোধানের পর ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দারিদ্র্যবিমোচন এবং টেকসই উন্নয়নে স্যার আবেদের দর্শনকে ‘জাতিসংঘের অনুপ্রেরণার উৎস’ এবং মানুষের জীবন অর্থবহ করা যায় শিক্ষার সুযোগের দ্বারা, এটা আবেদ সম্যক উপলব্ধি করেই শিক্ষা বিস্তারের যে মডেল তিনি গড়েছিলেন, সেটাই গোটা বিশ্বের অনুসরণীয় মডেল বলে অভিহিত। ২০১৯ সালে শিক্ষার উন্নয়ন বিষয়ে অত্যন্ত মর্যাদাসূচক এবং অর্থমূল্যের দিক থেকে সবচেয়ে বড় পুরস্কার ‘ইদান প্রাইজ’ লাভ করেন ফজলে হাসান আবেদ।
নাইট উপাধি দেওয়ার ঘোষণায় ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার ও সামাজিক উন্নয়নে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য চার দশক ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ায় আবেদকে এই সম্মান প্রদান করা হচ্ছে।’ মান্যবর আবেদ ছিলেন ১৯৪৭ সালের পর প্রথম বাংলাদেশি, যিনি নাইট উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।
১৮ বছর বয়সে বিলেতে নেভাল আর্কিটেক্টে অধ্যয়ন করতে গিয়ে শেষমেশ হিসাবশাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ১৯৬৮ সালে দেশে ফিরে বহুজাতিক কোম্পানি শেল অয়েলে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু তাঁর। শেল কোম্পানির অর্থ ও হিসাব বিভাগের বড় কর্তা তিনি তখন—১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর উপকূলীয় দ্বীপাঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। সন্দ্বীপ, হাতিয়া, মনপুরা—এই তিন দ্বীপের লাখ লাখ মানুষ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ হারান। ফজলে হাসান আবেদ, তাঁর বন্ধু ব্যারিস্টার ভিকারুল ইসলাম চৌধুরী, সহকর্মী কায়সার জামান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আকবর কবীর এবং নটর ডেম কলেজের শিক্ষক ফাদার টিম মিলে ‘হেলপ’ নামের একটি সংগঠন গড়ে তুলে মনপুরা দ্বীপের বিপন্ন ও বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা ব্যাপক ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। স্বজন ও সর্বস্ব হারানো মানুষের কাছে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়ার পাশাপাশি বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি আবার দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা।
১৯৭১ সালের মে মাসে কৌশলে পাকিস্তান হয়ে লন্ডনে গিয়ে সমমনা বন্ধুদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য কাজ শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য গড়ে তোলেন ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ ও ‘হেলপ বাংলাদেশ’ নামে দুটো সংগঠন। ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’-এর কাজ ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক সমর্থন আদায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত তৈরি এবং পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরোচিত কার্যকলাপ বন্ধে ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকারকে সক্রিয় করে তোলা। অন্যদিকে ‘হেলপ বাংলাদেশ’-এর কাজ ছিল অর্থ সংগ্রহ করে মুক্তিবাহিনীকে সহযোগিতা করা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরি, প্রচারপত্র বিলি, টাইমস অব লন্ডনে লেখা ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা, রেডিও ও টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেওয়া, ইউরোপীয় দেশগুলোর পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে স্বদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিবিধ কর্মতৎপরতা পরিচালনা করা।
১৯৭২ সালে লন্ডনে নিজের ফ্ল্যাট বিক্রি করার টাকা দিয়ে আবেদ শুরু করেন ব্র্যাকের কাজ। সেই থেকে আজ ব্র্যাকের বয়স ৪৮। এক লাখ কর্মী নিয়ে শুধু বাংলাদেশেই নয়, পৃথিবীর ১১টি দেশের ১২০ মিলিয়ন মানুষকে বিভিন্ন সেবা দিয়ে চলেছে ব্র্যাক। স্যার ফজলে হাসান আবেদ তাঁর কর্মময় জীবনের ৩৭টি বছর (নির্বাহী পরিচালক ১৯৭২-২০০১ এবং চেয়ারপারসন ২০০১-১৯) ব্র্যাককে অকাতরে দান করলেও ব্যক্তিগত নয়, প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছেন। মূলত চারটি মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করে ব্র্যাক। সততা ও নিষ্ঠা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী মনোভাব, সর্বজনীনতা এবং কার্যকারিতা।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে