রাজীব কুমার সাহা
অর্থ প্রকাশক ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে আমরা বলি শব্দ। শব্দ হলো ভাষার প্রাণ। যে ভাষার শব্দভান্ডার যত বেশি সমৃদ্ধ, সেই ভাষা তত বেশি উন্নত। আর ভাষায় ব্যবহৃত শব্দের সংগ্রহমূলক গ্রন্থ হলো অভিধান। আমরা অভিধানে শব্দের একটি অর্থ যেমন পাই, তেমনি একটি শব্দের একাধিক অর্থও পাই। শব্দের অর্থ সব সময় একই রকম থাকে না। কালের পরিক্রমায় একটি শব্দ একাধিক নতুন নতুন অর্থ পরিগ্রহ করে। ভুক্তি শব্দের সঙ্গে অর্থের সব সময় যে মিল থাকে, এমনটিও নয়। আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারে ভুক্তি শব্দের কখনো আক্ষরিক আবার কখনো আলংকারিক অর্থ প্রধান হয়ে ওঠে। আর এসব অর্থের ঠাঁই হয় অভিধানে। এ জন্যই অভিধান হলো শব্দের রহস্যঘেরা এক বিস্ময়কর জগৎ। এতে অবগাহন করে নিরবচ্ছিন্ন সম্পর্ক স্থাপন করে শব্দের মণিমুক্তা কুড়াতে হয়। ভুক্তি শব্দের সঙ্গে অর্থ গঠনের যে বোঝাপড়া তার পেছনে কাজ করে মানুষের বহু বিচিত্র সব চিন্তাভাবনা। এ সূত্র ধরেই আমরা ধারাবাহিকভাবে জানব কোনো শব্দ বা শব্দবন্ধের অর্থের গল্প।
বাংলা ভাষায় একটি অতিপরিচিত শব্দ হলো গৌরচন্দ্রিকা। সাধারণত কোনো গ্রন্থের শুরুতে ভূমিকা অর্থে আমরা গৌরচন্দ্রিকা শব্দটি দেখতে পাই। যদিও ভূমিকা অর্থে বর্তমানে এর ব্যবহার তুলনামূলক কম। আবার কেউ কেউ সচরাচর কথাবার্তায় বলেন, ‘গৌরচন্দ্রিকা না দিয়ে আসল কথাটি বলো।’ তাহলে গৌরচন্দ্রিকা অর্থ কী? এর মূল অর্থ এবং আভিধানিক অর্থ কি একই? গৌরচন্দ্র শব্দ থেকে হয়েছে গৌরচন্দ্রিকা, তাহলে গৌরচন্দ্র মানে কী? তবে চলুন জেনে নিই গৌরচন্দ্রিকা শব্দের ইতিবৃত্ত।
‘গৌর’ এবং ‘চন্দ্রিকা’ শব্দসহযোগে গঠিত হয়েছে গৌরচন্দ্রিকা পদটি। এটি বিশেষ্য পদ। গৌরচন্দ্রিকা শব্দের প্রচলিত অর্থ হলো ভূমিকা, মুখবন্ধ, অবতরণিকা, উপক্রমণিকা; ভণিতা; মূল কাজ শুরু করার আগে সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ; গীতিকাহিনির ভূমিকারূপে শ্রীচৈতন্যদেবের বন্দনা। শেষের অর্থটিই হলো গৌরচন্দ্রিকা শব্দের প্রকৃত অর্থ আর বাকি অর্থগুলো পরিস্থিতির প্রসঙ্গভেদে এখান থেকেই জাত।
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে বিশিষ্ট একটি ধারা হলো ‘বৈষ্ণব পদাবলী’। রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা মাহাত্ম্য বর্ণনাই ‘বৈষ্ণব পদাবলী’র মূল উদ্দেশ্য। এটি বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের কাছে সাধনসংগীত হিসেবেও গণ্য। বৈষ্ণব ধর্মের অন্যতম পুরোধাব্যক্তি হলেন গৌরাঙ্গ বা চৈতন্যদেব। এই চৈতন্যদেবেরই আরেক নাম গৌরচন্দ্র। ‘চন্দ্রিকা’ শব্দের একটি অর্থ হলো জ্যোৎস্না। চন্দ্রের কিরণ যেমন অন্ধকার পৃথিবীকে আলোকিত করে, তেমনি চৈতন্য মহাপ্রভুর বন্দনাগীতিও রাধাকৃষ্ণের লীলাপ্রসঙ্গে আলোকপাত করে। এ ছাড়া এই সংগীত শ্রবণে শ্রোতা ও গায়কের মধ্যকার মালিন্য তিরোহিত হয়। ‘বৈষ্ণব পদাবলী’র মূল পালাকীর্তনের আগে ভূমিকা হিসেবে যে গৌরাঙ্গবিষয়ক পদ গাওয়া হয় এবং যার মাধ্যমে মূল পালাকীর্তনের বিষয় সম্পর্কে আভাস পাওয়া যায়, তাকেই ‘গৌরচন্দ্রিকা’ বলে। বিষয়টি আরেকটু বিশদভাবে বলি।
‘বৈষ্ণব পদাবলী’ মূলত লেখা হয়েছিল কীর্তনগানের মাধ্যমে রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলাকে জনমানসে ছড়িয়ে দিয়ে বৈষ্ণবধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে। বৈষ্ণব কবিরা রাধাকৃষ্ণের প্রেমের ক্রমবিকাশের ধারাকে পূর্বরাগ, অনুরাগ, অভিসার, মান, কলহান্তরিতা, মাথুর, ভাবসম্মেলন প্রভৃতি ভাগে বিভক্ত করেছেন। কীর্তনগানের আসরে এই সব পর্যায়ের কোনো একটিকে গ্রহণ করে পালা হিসেবে উপস্থাপন করা হতো।
তবে মূল পালাকীর্তনের আগে অনুরূপ ভাবমূলক গৌরাঙ্গবিষয়ক পদ ভূমিকা হিসেবে গাওয়া হতো। ভূমিকার এ পদটি শুনেই দর্শকেরা বুঝতে পারতেন যে মূল পালাকীর্তনের বিষয়বস্তু কী হবে। এরূপ মূল পালাকীর্তনের সঙ্গে ভাব সাদৃশ্যমূলক যে গৌরাঙ্গবিষয়ক পদগুলো মূল পালাকীর্তনের আগে ভূমিকা হিসেবে গাওয়া হতো, সেগুলোকেই গৌরচন্দ্রিকা বলা হয়; অর্থাৎ ঢালাওভাবে গৌরাঙ্গবিষয়ক যেকোনো পদই গৌরচন্দ্রিকা নয়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘জাপান যাত্রী ৩’ প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘কিন্তু ঢেউগুলোকে নিয়ে রুদ্রতালের করতাল বাজাবার মতো আসর জমেনি, যেটুকু খোলের বোল দিচ্ছে তাতে ঝড়ের গৌরচন্দ্রিকা বলেও মনে হয়নি।’ এখানে গৌরচন্দ্রিকা মানে আরম্ভ বা শুরুর পূর্বাবস্থা। পুরো রবীন্দ্ররচনায় ‘গৌরচন্দ্রিকা’ শব্দটি এই একবারই ব্যবহৃত হয়েছে। এ ছাড়া বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, দীনবন্ধু মিত্রসহ খ্যাতনামা সাহিত্যিকদের রচনায় গৌরচন্দ্রিকা শব্দের ব্যবহার রয়েছে।
মূলত গৌরাঙ্গবিষয়ক পদগুলোর এই সূচনামূলক ভূমিকা থেকেই গৌরচন্দ্রিকা শব্দটি জাত। এভাবেই পরবর্তীকালে সাহিত্য এবং কথ্যভাষায় ভূমিকা বা উপক্রমণিক অর্থে গৌরচন্দ্রিকা শব্দটি ব্যবহৃত হতে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে ভাষাভাষীদের মধ্যে ভণিতা বা কথার আড়ম্বরপূর্ণ সূচনা অর্থেও গৌরচন্দ্রিকা শব্দের ব্যবহার বেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে পালাগানের আসর সূচনার আগে গৌরচন্দ্রিকা যেমন প্রয়োজন, তেমনি যাপিত জীবনে জরুরি প্রসঙ্গে অযাচিত গৌরচন্দ্রিকা এড়িয়ে চলাই সমীচীন।
লেখক: রাজীব কুমার সাহা, আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
অর্থ প্রকাশক ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে আমরা বলি শব্দ। শব্দ হলো ভাষার প্রাণ। যে ভাষার শব্দভান্ডার যত বেশি সমৃদ্ধ, সেই ভাষা তত বেশি উন্নত। আর ভাষায় ব্যবহৃত শব্দের সংগ্রহমূলক গ্রন্থ হলো অভিধান। আমরা অভিধানে শব্দের একটি অর্থ যেমন পাই, তেমনি একটি শব্দের একাধিক অর্থও পাই। শব্দের অর্থ সব সময় একই রকম থাকে না। কালের পরিক্রমায় একটি শব্দ একাধিক নতুন নতুন অর্থ পরিগ্রহ করে। ভুক্তি শব্দের সঙ্গে অর্থের সব সময় যে মিল থাকে, এমনটিও নয়। আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারে ভুক্তি শব্দের কখনো আক্ষরিক আবার কখনো আলংকারিক অর্থ প্রধান হয়ে ওঠে। আর এসব অর্থের ঠাঁই হয় অভিধানে। এ জন্যই অভিধান হলো শব্দের রহস্যঘেরা এক বিস্ময়কর জগৎ। এতে অবগাহন করে নিরবচ্ছিন্ন সম্পর্ক স্থাপন করে শব্দের মণিমুক্তা কুড়াতে হয়। ভুক্তি শব্দের সঙ্গে অর্থ গঠনের যে বোঝাপড়া তার পেছনে কাজ করে মানুষের বহু বিচিত্র সব চিন্তাভাবনা। এ সূত্র ধরেই আমরা ধারাবাহিকভাবে জানব কোনো শব্দ বা শব্দবন্ধের অর্থের গল্প।
বাংলা ভাষায় একটি অতিপরিচিত শব্দ হলো গৌরচন্দ্রিকা। সাধারণত কোনো গ্রন্থের শুরুতে ভূমিকা অর্থে আমরা গৌরচন্দ্রিকা শব্দটি দেখতে পাই। যদিও ভূমিকা অর্থে বর্তমানে এর ব্যবহার তুলনামূলক কম। আবার কেউ কেউ সচরাচর কথাবার্তায় বলেন, ‘গৌরচন্দ্রিকা না দিয়ে আসল কথাটি বলো।’ তাহলে গৌরচন্দ্রিকা অর্থ কী? এর মূল অর্থ এবং আভিধানিক অর্থ কি একই? গৌরচন্দ্র শব্দ থেকে হয়েছে গৌরচন্দ্রিকা, তাহলে গৌরচন্দ্র মানে কী? তবে চলুন জেনে নিই গৌরচন্দ্রিকা শব্দের ইতিবৃত্ত।
‘গৌর’ এবং ‘চন্দ্রিকা’ শব্দসহযোগে গঠিত হয়েছে গৌরচন্দ্রিকা পদটি। এটি বিশেষ্য পদ। গৌরচন্দ্রিকা শব্দের প্রচলিত অর্থ হলো ভূমিকা, মুখবন্ধ, অবতরণিকা, উপক্রমণিকা; ভণিতা; মূল কাজ শুরু করার আগে সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ; গীতিকাহিনির ভূমিকারূপে শ্রীচৈতন্যদেবের বন্দনা। শেষের অর্থটিই হলো গৌরচন্দ্রিকা শব্দের প্রকৃত অর্থ আর বাকি অর্থগুলো পরিস্থিতির প্রসঙ্গভেদে এখান থেকেই জাত।
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে বিশিষ্ট একটি ধারা হলো ‘বৈষ্ণব পদাবলী’। রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা মাহাত্ম্য বর্ণনাই ‘বৈষ্ণব পদাবলী’র মূল উদ্দেশ্য। এটি বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের কাছে সাধনসংগীত হিসেবেও গণ্য। বৈষ্ণব ধর্মের অন্যতম পুরোধাব্যক্তি হলেন গৌরাঙ্গ বা চৈতন্যদেব। এই চৈতন্যদেবেরই আরেক নাম গৌরচন্দ্র। ‘চন্দ্রিকা’ শব্দের একটি অর্থ হলো জ্যোৎস্না। চন্দ্রের কিরণ যেমন অন্ধকার পৃথিবীকে আলোকিত করে, তেমনি চৈতন্য মহাপ্রভুর বন্দনাগীতিও রাধাকৃষ্ণের লীলাপ্রসঙ্গে আলোকপাত করে। এ ছাড়া এই সংগীত শ্রবণে শ্রোতা ও গায়কের মধ্যকার মালিন্য তিরোহিত হয়। ‘বৈষ্ণব পদাবলী’র মূল পালাকীর্তনের আগে ভূমিকা হিসেবে যে গৌরাঙ্গবিষয়ক পদ গাওয়া হয় এবং যার মাধ্যমে মূল পালাকীর্তনের বিষয় সম্পর্কে আভাস পাওয়া যায়, তাকেই ‘গৌরচন্দ্রিকা’ বলে। বিষয়টি আরেকটু বিশদভাবে বলি।
‘বৈষ্ণব পদাবলী’ মূলত লেখা হয়েছিল কীর্তনগানের মাধ্যমে রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলাকে জনমানসে ছড়িয়ে দিয়ে বৈষ্ণবধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে। বৈষ্ণব কবিরা রাধাকৃষ্ণের প্রেমের ক্রমবিকাশের ধারাকে পূর্বরাগ, অনুরাগ, অভিসার, মান, কলহান্তরিতা, মাথুর, ভাবসম্মেলন প্রভৃতি ভাগে বিভক্ত করেছেন। কীর্তনগানের আসরে এই সব পর্যায়ের কোনো একটিকে গ্রহণ করে পালা হিসেবে উপস্থাপন করা হতো।
তবে মূল পালাকীর্তনের আগে অনুরূপ ভাবমূলক গৌরাঙ্গবিষয়ক পদ ভূমিকা হিসেবে গাওয়া হতো। ভূমিকার এ পদটি শুনেই দর্শকেরা বুঝতে পারতেন যে মূল পালাকীর্তনের বিষয়বস্তু কী হবে। এরূপ মূল পালাকীর্তনের সঙ্গে ভাব সাদৃশ্যমূলক যে গৌরাঙ্গবিষয়ক পদগুলো মূল পালাকীর্তনের আগে ভূমিকা হিসেবে গাওয়া হতো, সেগুলোকেই গৌরচন্দ্রিকা বলা হয়; অর্থাৎ ঢালাওভাবে গৌরাঙ্গবিষয়ক যেকোনো পদই গৌরচন্দ্রিকা নয়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘জাপান যাত্রী ৩’ প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘কিন্তু ঢেউগুলোকে নিয়ে রুদ্রতালের করতাল বাজাবার মতো আসর জমেনি, যেটুকু খোলের বোল দিচ্ছে তাতে ঝড়ের গৌরচন্দ্রিকা বলেও মনে হয়নি।’ এখানে গৌরচন্দ্রিকা মানে আরম্ভ বা শুরুর পূর্বাবস্থা। পুরো রবীন্দ্ররচনায় ‘গৌরচন্দ্রিকা’ শব্দটি এই একবারই ব্যবহৃত হয়েছে। এ ছাড়া বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, দীনবন্ধু মিত্রসহ খ্যাতনামা সাহিত্যিকদের রচনায় গৌরচন্দ্রিকা শব্দের ব্যবহার রয়েছে।
মূলত গৌরাঙ্গবিষয়ক পদগুলোর এই সূচনামূলক ভূমিকা থেকেই গৌরচন্দ্রিকা শব্দটি জাত। এভাবেই পরবর্তীকালে সাহিত্য এবং কথ্যভাষায় ভূমিকা বা উপক্রমণিক অর্থে গৌরচন্দ্রিকা শব্দটি ব্যবহৃত হতে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে ভাষাভাষীদের মধ্যে ভণিতা বা কথার আড়ম্বরপূর্ণ সূচনা অর্থেও গৌরচন্দ্রিকা শব্দের ব্যবহার বেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে পালাগানের আসর সূচনার আগে গৌরচন্দ্রিকা যেমন প্রয়োজন, তেমনি যাপিত জীবনে জরুরি প্রসঙ্গে অযাচিত গৌরচন্দ্রিকা এড়িয়ে চলাই সমীচীন।
লেখক: রাজীব কুমার সাহা, আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে